হযরত রাসূল (সা) ঃ আধার রাতে,আলোর প্রদীপ
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম

সারা পৃথিবী অন্ধকার।শান্তি কোথায়?অশান্তির কোড়াল ঘ্রাসে সারা দুনিয়া অতিষ্ট।সত্য পথ ছেড়ে মিথ্যা পথে ছুটছে মানুষজন। শান্তির অভাবে ব্যক্তি পারিবারিক,সমাজ,অর্থনৈতিক,সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বিদ্যমান অশান্তি।আধার ঘেরা সমাজে মারা-মারি,কাটা-কাটি,চুরি-ডাকাতি,জেনা-ব্যভিচার,সন্ত্রাস,দখলদারীরসহ ঘটছে নিত্য নতুন ঘটনা। মহা আল্লাহ তাআলা অশান্ত সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যুগে যুগে নবী ও রাসুল প্রেরন করেছেন। নবী ও রাসুল গণ মানব জাতিকে আলোর পথে আনার চেষ্টা করে গেছেন। আল্লাহ এরশাদ করেন,‘আল্লাহই হচ্ছেন আসমান সমুহ ও জমিনের তাবৎ নুর বা জ্যোতির উৎসব ও আধার’।আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর পুর্বে হযরত রাসুল (দ) পৃথিবীর মধ্যেস্থল মক্কা নগরীতে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ছিলেন সর্ব ¤্রষ্ঠে রাসুল ও শেষ নবী। সারা বিশ^ বাসির জন্য রহমাতুল্লিল আলামিন। এরশাদ হচ্ছে-‘হে নবী আমি আপনাকে গোটা বিশ^ বাসীর জন্য রহমত স্বরুপ প্রেরন করেছি’।(সুরা আম্বিয়া-১০৭)।মহান আল্লাহ আরো বলেন,‘হে নবী! আমি আপনাকে সুসংংবাদদাতা সর্তককারী,আল্লাহর দিকে আহ্বান কারী ও প্রদীপ্ত প্রদীপরুপে প্রেরণ করেছি’।(সুরা আহযাব-৪৫-৪৬)। বিশ^ নবী (দ) নবুয়ত লাভের ২৩ বছর জীবনে যথাযথ ভাবে দ্বীনের কাজ করেছেন। দাওয়াতি তৎপরতায় সারা বিশ^কে জ্যোসনার আলোয় উদ্ভাসিত কওে তুলেন। সারা পৃথিবী থেকে আধার দুর করে আলোর প্রদীপ জে¦লে তুলেন। মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষনা করেন,‘হে মানব মন্ডলী! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে তোমাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণ এসেছে এবংং আমি তোমাদের প্রতি স্পষ্ট জ্যোতি অবতৃীন করেছি’।(সুরা সিনা-১৭৪)।পবিত্র কোরআনের বাণী দ্বারা সুস্পষ্ঠ ভাবে প্রতীয়মান হলো যে, নুর বা জ্যোতির আবিভাবের পুর্ব কাল হচ্ছে জাহিলিয়াত বা অন্ধকার যুগ। বিশ^ নবী (দ) বলেন,‘আমার নুর হচ্ছে,আমার হিদায়াত’। অন্ধকার যুগ মানে হিদায়াত শুন্য যুগ। আল্লাহ তাআলা রাসুলকে উদ্দেশ্য করে ঘোষনা করেন-‘পুবে আপনি হে রাসুল অনবহিত বৈ কিছুই ছিলেন’।মহান আল্লাহ আরো বলেন,‘ইতিপুর্বে হে রাসুলল্লাহ! আপনি নিসন্দেহে পুর্ণ বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন’। আরো বলেন,‘আর তিনি আপনাকে পেলেন দিশেহারা,তারপর তিনি পথের দিশা বলে দিলেন এবং আপনাকে হিদায়াতের পথে নিয়ে আসলেন’।(সুরা দোহা)। জাহিরিয়াত শব্দটি অর্থ হচ্ছে- মুখতা,অজ্ঞতা। কিন্তু জাহিলিয়াত শব্দটি একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ।জাহিলিয়াত যুগটি ছিল মুখতা,অজ্ঞতার যুগ।জ্ঞানী,গুনি,কবি,সাহিত্যিকসহ আল্লাহ প্রেমিক মানুষের অভাব ছিল না। আবার জাতীগত ভাবে অনেক প্রশংসার দাবী দার ব্যক্তি ছিল।আল কোরআনের চারিটি স্থানে জাহিলিয়া শব্দটি এসেছে। এরশাদ হেেচ্ছ-‘তারা আল্লাহ সর্ম্পকে মিথ্যা ধারনা পোষন করে,জাহিলিয়া যুগের ধারনার মতো’।(সুরা ইমরান-১৫৪)।‘তারা কি জাহিলিয়াত যুগের বিধি-বিধান কামনা করে,অথচ আল্লাহর চাইতে সুন্দর বিধান দাতা আর কে হতে পারবে’।(সুরা মায়েদা-৫০)।(‘হে নবী পতœীগণ)তোমরা তোমাদের স্বগৃহ সমুহে অবস্থান করবে এবং পুর্বেকার জাহিলিয়া যুগের মত করে নিজেদের(রুপ) প্রদর্শন করে বেড়াবে না’।(সুরা আহযাব-৩৩)।‘কাফিররা যখন তাদের অন্তরে জাহিলিয়াতের ঐদ্ধতা অহমিকা জমিয়ে নেয় তখন আল্লাহ তার রাসুল ও মুমিনদের উপর তার পক্ষ থেকে প্রশান্তি দান করেন এবং তিনি তাদেরকে তাকওয়ার উপর বদ্ধ মুল করে দেন। আর তারা এর অধিকতর হকদার ও যোগ্যতার পাত্র ছিল। আল্লাহ তাআলা সর্ব ব্যাপারে সম্যক অবগত’।( সুরা ফাতাহ-২৬)। আল্লাহ বানী দ্বারা সুস্পষ্টা ভাবে বুঝা গেল জাহিলিয়া শব্দটি একটি বিশেষ অর্থে নয়,ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এ চারটি আয়াত দ্বারা,চার বিষয়ে শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।(ক)জাহিলিয়াতের ধ্যান ধারনা(খ)জাহিলিয়াতের বিধি-বিধান(গ) জাহিলিয়া সুলভ প্রদর্শনেচ্ছা বা রুপের বড়াই (ঘ)জাহিলিয়াতে গোড়ামী ও ঐদ্ধত্য।সুতরাং আল্লাহর প্রেম ও বিশ^ নবীর আর্দশ মত জীবন-যাপন করার জন্য রাসুল (স) এর অনুপম আর্দশের দিকে ফিরে যেতে হবে।
জাহিলি যুগে বিশেষ বিশেষ জ্ঞান ও সাহিত্যে চর্চার প্রচেষ্টা ছিল।ভাষা,কাব্য,বাগ্নিতা,বংশ লতিকা জ্ঞান,জন শ্রুতি,প্রবাদ বাক্য ও লোক কাহিনী ছিল উল্লেখ্য যোগ্য।চিকিৎসা বিদ্যা,পশু চিকিৎসা,জ্যোতি বিদ্যা,চরিত্র,বিনয়,ন¤্রতা জ্ঞান আহরন কারী, বায়ু প্রবাহের দিক নিনয় জ্ঞান এবং বৃষ্টি পাতের পুর্বাভাষ জ্ঞান সমুহ আরব দেশের বিশেষ আগ্রহ ছিল। তাছাড়া জাহিলি যুগে কাব্য চর্চার ব্যাপক প্রচলন ছিল।সেই যুগে মেহমার দারী রক্ষা করা বিশেষ খ্যাতি ছিল।গোত্র প্রধানের অনুগত্য নিষেধ পালন অপরিহার্য বলে গণ্য করা হতো।অনেক সময় গোত্র প্রধানকে নতি স্বীকার করতে হতো। (চলবে)
লেখক পরিচিতি: সহকারী অধ্যাপক, গ্রন্থকার
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

দাউদকান্দিতে শিক্ষার মানউন্নয়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

দাউদকান্দিতে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ -৩

সার্বজনীন স্বাস্থ্য-কল্যাণে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান: অধ্যাপক সায়েদুর রহমান

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে দৌলতখানে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল

ব্যাংকিং সেবার আধুনিকায়নে বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের চুক্তি

কঙ্গোর উত্তেজনার মধ্যে রুয়ান্ডায় গণহত্যার ৩১তম বার্ষিকী পালিত

কিশোরগঞ্জে ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আড়াইহাজারে সুইডিশ কোম্পানির কারখানা স্থাপনে সমঝোতা সই

ফেসবুকে লুট করা জুতা বিক্রির পোস্ট, সিলেটে আটক ১৪

নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে বিনিয়োগকারীরা

সারাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯

প্রবাসীদের ভোটের সুযোগ খুব সহজ নয় : সিইসি

তেল আবিব-লোহিত সাগরে মার্কিন নৌবহরে হামলার দাবি হুথিদের

বিচ্ছেদকে প্রাঙ্ক বলে ঢাকার চেষ্টা,প্রাক্তনের সম্মান রক্ষার্থে অভিনেতার মিথ্যার আশ্রয়

গাজাবাসীকে অন্য দেশে পাঠাতে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠক

আপাতত স্বাধীনতা কনসার্ট হচ্ছে না

জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে নতুন আলোচনা চলছে: নেতানিয়াহু

প্লাস্টিক দূষণ রোধে দক্ষিণ এশীয় ঐক্যের ডাক দিলো বাংলাদেশ

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ৩৬০০, নিখোঁজ শতাধিক

চোখের সামনে যাকে পেয়েছি, তাকেই হত্যা করেছি : ইসরায়েলি সেনার স্বীকারোক্তি