আল-কুরআন তাজকেরায়ে মীলাদ নামায়ে আম্বিয়া (আ:)
১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
কুরআনুল হাকীম হুযুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-কে আল্লাহর ফজল এবং তাঁর রহমত নির্ধারণ করত : অন্য এক স্থানে ঘোষণা করেছেÑ
(২) সুতরাং যদি তোমাদের উপর আল্লাহর ফজল এবং তাঁর রহমত না হত তাহলে নিশ্চিত তোমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হতে। (সূরা বাকারাহ : আয়াত-৬৪)।
নি¤েœালিখত আয়াতে কারীমাও রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর আল্লাহর ফজল এবং রহমত হওয়ার প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করে। ইরশাদ হয়েছে : ৩। “এবং (হে মুসলমানগণ!) যদি তোমাদের উপর আল্লাহর ফজল এবং তাঁর রহমত না হত তাহলে নিশ্চয়ই কয়েকজন ছাড়া (সকলেই) শয়তানের পায়রবী করতে শুরু করতো।” (সূরা নিসা: আয়াত-৮৩)।
এই স্থানে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের খেতাবের উপলক্ষ হল সাধারণ মুমেনীন সাহাবায়ে কেরাম (রা:)। তিনি তাঁর প্রিয় হাবীবের আগমন ও নবী হিসেবে প্রেরণকে স্বীয় ফজল সাব্যস্ত করত: এরশাদ করেছেন যে, “যদি তোমাদের নিকট আমার প্রিয় হাবীব তশরীফ না আনতেন, তাহলে তোমাদের অধিকাংশ লোক শয়তানের অনুসারী হয়ে যেত। সুতরাং আমার মাহবুব ও পয়গাম্বরের তোমাদের প্রতি প্রেরিত হওয়া তোমাদের উপর আল্লাহর ফজল হয়ে গেছে যে, তাঁর আগমনের সদকায় তোমাদের হেদায়েত নসীব হয়েছে এবং তোমরা শয়তানের পায়রবী ও গোমরাহী হতে বেঁচে গেছ।”
এটা শুধু আল্লাহর অনুগ্রহ যে, তিনি হেদায়েতের পথ হতে বিচ্যুত মানবতার মধ্যে স্বীয় হাবীব (সা:)-কে প্রেরণ করেছেন এবং মানবজাতি শয়তানের আক্রমণ হতে বেঁচে গেছে। রাসূলে করীম (সা:)-এর দুনিয়ায় তশরীফ আনয়নের পর কর্ম সম্পাদনের বিষয়াবলীর বিশ্লেষণ ও কুরআনুল কারীম এভাবে করেছে। ইরশাদ হয়েছে :
(ক) নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা মুসলমানদের উপর বড় ইহসান করেছেন যে, তাদের মধ্যে তাদেরই সম্প্রদায় হতে (মর্যাদাপূর্ণ) রাসূল প্রেরণ করেছেন। যিনি তাদের নিকট আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে পবিত্র করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন। যদিও তারা এর পূর্বে প্রকাশ্যে গোমরাহীতে নিমগ্ন ছিল। (সূরা আলে ইমরান : আয়াত-১৬৪)।
রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর আগমনের পূর্বে মানবিক জগত গোমরাহী ও অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। আল্লাহতায়ালা এই সময়ে স্বীয় মাহবুব (সা:)-কে প্রেরণ করেছেন। তিনি মানুষকে তিলাওয়াতে কুরআন ও কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে জেহালাত ও গোমরাহীর অন্ধকার হতে বের করে এনেছেন। তাদেরকে ঈমানের নূর দ্বারা আলোকিত করেছেন এবং তাদের প্রাণ ও আত্মাগুলোকে নবুয়তী তালীম ও তরবিয়তের মাধ্যমে সকল জাগতিক আবর্জনা হতে পাক-সাফ করেছেন। এটা প্রকৃত ইনসানিয়াতের উপর আল্লাহপাকের ফজল ও রহমত যে, তিনি স্বয়ং ইহাকে সর্বশ্রেষ্ঠ এহসান বলে উল্লেখ করেছেন। হুযুর রাসূলে আকরাম (সা:)-এর আবির্ভাব আল্লাহ তায়ালার এত বড় এনাম বা পুরস্কার যে ‘ফাল ইয়াফরাহু’ নির্দেশের প্রেক্ষিতে যত খুশিই মানানো হোক না কেন, তা কমই বটে। এই খুশি শুধু কেবল অনুভব ও অনুভূতিই নয় বরং এর খোলাখুলি প্রকাশ হওয়া খুবই জরুরি।
আল কুরআনের অন্য এক স্থানে আল্লাহপাক হুযুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-এর উল্লিখিত গুণাবলীকে এই শব্দাবলীর দ্বারা প্রকাশ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে : তিনিই সেই সত্তা যিনি অশিক্ষিত লোকদের মধ্যে তাদেরই মধ্য হতে এক (মর্যাদাপূর্ণ) পয়গাম্বর ও রাসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদেরকে আয়াতসমূহ পাঠ করে শোনান এবং তাদেরকে (ভিতর ও বাহিরকে) পবিত্র করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেন, নিশ্চয়ই সেইসব লোক তাঁর (আগমনের) পূর্বে প্রকাশ্য গোমরাহিতে নিমগ্ন ছিল। (সূরা জুমআ: আয়াত-২)।
এই আয়াতে কারীমা বলে দিচ্ছে যে, হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সা:)-ই সেই রাসূল, যিনি আগমন করে কুফর এবং গোমরাহিতে নিমগ্ন লোকদেরকে আল্লাহতায়ালার আয়াত শুনিয়েছেন এবং স্বীয় দূরদৃষ্টির দ্বারা তাদের অন্তরের ময়লা এবং আবর্জনকে দূরীভূত করেছেন এবং তাদের মানসিক দুনিয়াকে পাক-সাফ করেছেন। তিনিই তাদেরকে কিতাব শিক্ষা দিয়েছেন এবং হেকমত ও বিজ্ঞানের নূর দান করেছেন। যার বদৌলতে মানুষ হেদায়েত ও মারেফাতে ইলাহীর অমূল্য নেয়ামত লাভে ধন্য হয়েছে। পক্ষান্তরে এর পূর্বে মানবিক জগৎ প্রকাশ্য গোমরাহীতে নিমগ্ন ছিল। মোহাম্মদ মোস্তফা (সা:)-এর আগমনই হেদায়েতে ইলাহীর নূরের বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং এটাই আল্লাহপাকের ফজল এবং রহমত। যা অর্জিত হলে ঈমানদারদের উপর অবশ্য কর্তব্য যে, তারা আল্লাহপাকের শোকর আদায় করবে এবং এর প্রকাশকল্পে আনন্দ উৎসব উদযাপন করবে।
এর পরবর্তী আয়াতসমূহে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তায়ালা কেয়ামত পর্যন্ত আগমনকারী মানব শ্রেণীকেও রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর এই ফয়েজে রেসালাতে শামিল করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর পৃথিবীতে প্রেরণকে স্বীয় ফজল ঘোষণা করে ইরশাদ করেছেন :
‘এবং তাদের মধ্য থেকে অন্যান্য লোকের মধ্যেও (এই রাসূল সা:-কে তালীম ও তাজকিয়ার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে) যারা এখনও তাদের সাথে মিলিত হয়নি (যারা বর্তমান আছে, তাদের পরবর্তীকালে আগমন করবে) এবং তিনি বড়ই শক্তিশালী ও বিজ্ঞানী ইহা (অর্থাৎ রাসূল সা:-এর আগমন এবং তাঁর ফয়েজ ও হেদায়েত) আল্লাহপাকের ফজল তিনি যাকে চান এর দ্বারা মর্যাদাবান করেন এবং আল্লাহ খুবই অনুগ্রহশীল। (সূরা জুমআ: আয়াত-৩,৪)।
সূরা জুমআর আল্লিখিত আয়াতসমূহে আল্লাহপাক হুযুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-কে প্রথম রাসূল বলেছেন এবং তারপরে এই নেয়ামতে রেসালাতকে ফজল ও অনুগ্রহ বলে বিশ্লেষণ করেছেন। এই আয়াতসমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহতায়ালা স্বীয় মাহবুব (সা:)-কে প্রত্যেক যুগে আগমনকারী মাখলুকের জন্য স্বীয় পয়গাম্বর ও রাসূল বানিয়ে প্রেরণ করেছেন এবং এতে কোন বংশ, স্থান এবং কালের বৈপরীতা ও প্রভেদ নেই। রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর সান্নিধ্যের দ্বারা সরাসরি ফয়েজ লাভকারী লোকগণ আউয়্যালীনদের পর্যায়ে আসে। তাঁরা হচ্ছে ওই সকল লোক যাদের মাঝে রাসূলুল্লাহ (সা:) জন্মগ্রহণ করেছেন।
সূরা জুমআর তৃতীয় আয়াতে ‘ওয়া আখারীনা মিন্ হুম’ এর উল্লেখ আছে। তারা ওই সকল লোক যারা রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর জাগতিক হায়াতের পরে আগমন করবে। তাদের মধ্যে অন্য সকল বংশে, গোত্র, পরিবেশ ও সভ্যতার মানুষ ও অন্তর্ভুক্ত। যারা রাসূল (সা:)-এর দ্বীনে প্রবেশ করবে এবং তাঁর উম্মতে শামিল হতে থাকবে। তারাই হচ্ছে এই সকল লোক যারা ‘লামা ইয়ালহাকুবিহিম’-এর অন্তর্ভুক্ত। যারা রাসূলে আকরাম (সা:)-এর সময়ে জন্মগ্রহণ করেনি, সান্নিধ্য পায়নি, সাক্ষাৎ লাভ করেনি। তারা সময়ের বিবর্তনে বিভিন্ন যুগে আগমন করবে এবং তারা হবে ‘আখারুনা’ পরবর্তীদের অন্তর্ভূক্ত। হুযুর নবীয়ে আকরাম (সা:)-এর বেলাদত ও তাঁকে প্রেরণের উল্লেখ করার পর সূরায়ে জুমআর মধ্যে আল্লাহপাক ‘জালিকা ফাদলুল্লাহি’ ইরশাদ করেছেন। এর দ্বারা মুরাদহল মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:)-এর পবিত্র সত্তা। হয়তো আল্লাহতায়ালা এর দ্বারা এ কথাই বুঝাচ্ছেন যে, ইহা আমার ফজল ও অনুগ্রহ। আমি যাকে ইচ্ছা এই ফজল ও অনুগ্রহণ দ্বারা সৌভাগ্যশালী করি। সুতরাং যারা আমার হাবীবের মহব্বতের প্রতি অনুরক্ত এবং যারা যেভাবে আমি নবীর যুগের লোকদেরকে স্বীয় রহমত ও ফজলের দৌলত বিতরণ করছি। সূরা ইউনূসের ৫৮ নম্বর আয়াতের অর্থ ও মর্ম উত্তমরূপে অনুধাবন করা। নি¤েœ আমরা উক্ত আয়াতের তফসীর ও বিশ্লেষণ উপস্থাপন করছি।
(গ) ‘ওয়াল্লাহু জুল ফাদলিল আজীম’ এর অর্থ ও মর্ম।
এই আয়াতের অর্থ হলো-অবশ্যই আল্লাহ বড় অনুগ্রহশীল। আল্লাহতায়ালা সকল কায়েনাতের সৃষ্টিকর্তা, সকল শ্রেষ্ঠত্ব ও সকল বুযুর্গীর মালিক। তিনি ফজল ও অনুগ্রহণের ক্ষেত্রেও সর্বশ্রেষ্ঠ। সকল অনুগ্রহের উপর তাঁরই কর্তৃত্ব ও তাঁরই রাজত্ব বিস্তৃত রয়েছে। ইহা একটি খুবই অর্থবহ কথা, যা অনুধাবন করা জরুরি যে, তিনি সকল অনুগ্রহের মালিক কিভাবে হয়েছেন এবং তিনি নিজে কেন অনুগ্রহ নন? ইহার উদাহরণ এভাবে দেয়া যায় যে, কোন গৃহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, এই গৃহটি কার? তখন উত্তরদাতা বলবে যে, এই গৃহটি অমুক ব্যক্তির। এমনিভাবে যখন কেউ কারও উপর এহসান করে তখন বলে যে, তোমাদের উপর আমার এহসান রয়েছে। অর্থাৎ আমি এহসানকারী। আর অধিক এহসানকারী ব্যক্তির জন্য ‘জুল এহসান’ শব্দটি ব্যবহার করা যাবে। যদি আপনি আরবী অভিধানের নীতিগুলো দেখেন, তাহলে দেখবেন যে, ইহাতে ‘মুজাফ’ এবং মুজাফে ইলাইহ সম্পর্ক হয়। এই উভয়টিই পৃথক পৃথক হয়ে থাকে। কিন্তু এই দুটি একসাথেই আসে। এক ব্যক্তি মুজাফ হয় এবং অপর ব্যক্তি মুজাফ ইলাইহ হয় যেমন-জ্বল ফিজার, আইনুল কিতাব এবং জুলফাদল-এর মধ্যে মুজাফ এবং মুজাফ ইলাইহ্ আলাদা আলাদা আছে। এমনটি হতেই পারে না যে, উভয়ে একই ব্যক্তি হবে। ইহার একটি উদাহরণ রাসূলুল্লাহ এখানে রাসূল শব্দটি মুজাফ এবং তিনি আল্লাহ হতে পারেন না এবং আল্লাহ ও রাসূল হতে পারেন না।
এই বিশেষত্বটি অনুধাবন করার পর আমরা পুনরায় কুরআনুল কারীমেরদিকে ফিরে আসছি এবং উল্লিখিত নিয়ম ও নীতির ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করছি। উল্লিখিত আয়াতে কারীমায় আল্লাহর জন্য কি বলা হয়েছে ‘ওয়াল্লাহু জুলফাদলিল আজীম’ অর্থাৎ আল্লাহ বড়ই অনুগ্রহকারী। এখানে জুল হল মুজাফ এবং আল ফাদল হল মুজাফ ইলাইহ। নীতি ও বিধান অনুসারে মুজাফ এবং মুজাফ ইলাইহ সর্বদা একটি অন্যটি হতে ভিন্ন হয়। সুতরাং জানা গেল যে, ফাদল এবং জুল ফাদল দুই পৃথক পৃথক সত্তা। আল্লাহতায়ালা সেই ফাদল-এর মালিক কিন্তু তিনি স্বয়ং ফাদল নন। কেননা, ফাদল হচ্ছে ঐ বস্তুু, যা আল্লাহর তরফ হতে প্রদত্ত হয়েছে।
এ পর্যায়ে প্রশ্ন উত্থাপি হতে পারে যে, আল্লাহপাক স্বয়ং ফাদল নন, তবে ফাদল কে? এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে এই যে, ফাদল হলেন রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর পবিত্র সত্তা, যাঁকে আল্লাহতায়ালা সকল মানবতার জন্য রহমত ও হেদায়েত বানিয়ে প্রেরণ করেছেন এবং যার নাম হচ্ছে মোহাম্মদ (সা:)। নি¤েœ আমরা এই অবস্থানের স্বপক্ষে কতিপয় প্রসিদ্ধ তফসীর গ্রন্থের ভাষ্য পরিবেশন করব। যাতে কোন রকমের সন্দেহের অবকাশ না থাকে।
(ঘ) তফসীর শাস্ত্রের ইমামগণের দৃষ্টিতে ‘ফাদ্লুল্লাহ’ শব্দের মুরাদ বা উদ্দেশ্য : সূরা জুমআর আয়াত নম্বর-৪-এর শব্দাবলী জালিকা ফাদলুল্লাহি এবং ওয়াল্লাহু জুল ফাদলিল আজীমের মধ্যে রাসূলে রহমত হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা:)-এর আবির্ভাবের কথা অহীযোগে ব্যক্ত করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর সৌভাগ্যপূর্ণ আবির্ভাব ঘটেছে বিশ্ব মানবতার জন্য। আল্লাহতায়ালা তাঁকে স্বীয় ফজল ও অনুকম্পার দ্বারা পূর্ণতা দান করেছেন। যদি কেউ ফজলকে জীবন্ত ও জাগ্রত অবস্থায় দেখতে চায়, তাহলে সে যেন রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর আকৃতি ও সুরতের মধ্যে প্রত্যক্ষ করে। (এই লক্ষ্য মাত্রার বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্যা স্বয়ং কুরআন মজীদ করেছে)। নি¤েœ আমরা সুনির্দিষ্ট কতিপয় আয়াতে কারীমার সৌজন্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তফসীর গ্রন্থের দিক-নির্দেশনা উপস্থাপন করতে প্রয়াস পাব।
১। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) [মৃত্যু-৬৮ হি:]
আল ফাদলুল আজীম-এর উদ্দেশ্যকে এভাবে ব্যক্ত করেছেন : ফজলে আজীম। অর্থাৎ দ্বীন ইসলাম এবং নবুওতে মোহাম্মদীর সুরতে এহসানে আজীম বা শ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ। আর একথাও বলা হয়েছে যে, মুমিনদের উপর ইসলামের সুরতে শ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ করা হয়েছে। আর এ কথাও বলা হয়েছে যে, মাখলুকের উপর মোহাম্মাদ মোস্তফা (সা:)-এর অস্তিত্ব এবং নুজুলে কুরআনের সুরতে শ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ করা হয়েছে। (ফিরোজ আবাদী : তানভীরুল মিকবাদ মিন তফসীরে ইবনে আব্বাস, পৃষ্ঠা ৪৭১)। (চলবে)
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন
কলাপাড়ায় অটোরিকশা উল্টে শিশুর মৃত্যু
আগামীকাল পঞ্চগড়ে বিএনপির জনসমাবেশ
ব্যাক্তিস্বার্থ পরিহার করে, দেশ ও দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে: ইলিয়াস পাটোয়ারী
সখিপুরে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে ডিস ব্যবসায়ীর মৃত্যু
যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই দেশের সাথে বেঈমানী করেছে: ডা. মু. তাহের
পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মৌমাছি ও মধু সম্মেলন