হযরত গাউসুল আ’যম মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর আদর্শে জীবনচর্চা
৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১১ এএম | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১১ এএম

হযরত গাউসুল আযম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) যখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন তখন ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের ঘোরতর দুর্দিন। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮২৬ সালে। তাঁর জন্মের ৬৯ বছর পূর্বে পলাশীর বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ ঘটনা ঘটেছিল, যা ছিল বাঙালী মুসলমানের জন্য দ্বিতীয় কারবালা। তিনি ৩১ বছর বয়সে প্রত্যক্ষ করেছেন ১৮৫৭ সালের প্রথম ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম যা উপনিবেশিক বৃটিশ শাসকগোষ্ঠীর দৃষ্টিতে ছিল ‘সিপাহী বিদ্রোহ’। এরপর সারাদেশে শুরু হয়ে যায় দখলদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার। অপরাধী হোক বা নাহোক যে কোন ভারতীয় বিশেষত মুসলমানদের উপর তারা নির্মম প্রতিশোধ নেয়। যেহেতু তারা রাজ্য ক্ষমতা দখল করেছিল মুসলমানদের থেকে স্বভাবতই তাদের জুলুমের টার্গেট ছিল মুসলমানরাই। ১৮৫৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর এমন কোন গাছ ছিল না যেখানে স্বাধীনতাকামী মানুষের লাশ ঝুলেনি। ভারতের নামমাত্র শেষ মুসলিম বাদশাহ বাহাদুর শাহ জাফরকে তারা সুদূর রেঙ্গুনে (বর্তমানে ইয়াঙ্গুন) নির্বাসন দেয়। গ্রেফতারের পর তাঁর জোয়ান ছেলেদের কাটামুন্ডু থালিতে কাপড় দিয়ে ঢেকে তাঁকে উপহার দিয়েছিল ইংরেজরা। তখন তারা নিষ্ঠুর রসিকতা করে বলেছিল: “আমরা আপনার জন্য খাবার নিয়ে এসেছি।” উল্লেখ্য যে, বৃদ্ধ বন্দী বাদশাহ তখন ছিলেন তিনদিনের ক্ষুধার্ত। এই ছিল বৃটিশ বেণিয়াদের পৈশাচিক আচরণ। বৃটিশ লেখক উইলিয়াম হান্টার তাঁর ঙঁৎ ওহফরধহ গঁংধষসধহং বইতে লিখেছেন ইংরেজদের শোষণে শাসনে সর্বস্ব হারা এককালের সম্পদশালী সচ্ছল মুসলমানেরা কালক্রমে হয়ে পড়েছে: ঐববিৎং ড়ভ ড়িড়ফ ্ উৎধবিৎং ড়ভ ধিঃবৎ. অর্থাৎ কাঠুরিয়া ও ভিস্তিওয়ালা। রাজনৈতিক ক্ষমতা হারানোর পথ ধরে তাদের শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনে নেমে এসেছিল ঘোর অমানিশা। এমন ঘোর অমানিশার মাঝেও মুসলমানদের আধ্যাত্মিক চিন্তা চেতনার ধারা শুষ্ক হয়ে যায়নি।
যুগে যুগে মহান আল্লাহ্্তায়ালা মুসলমানদের মধ্যে এ ধারার স্ফুরণ ঘটিয়েছেন। আধ্যাত্মিক আলোর পাবনে উদ্ভাসিত করেছেন কোন কোন মহৎ ব্যক্তির হৃদয়। হৃদয়ের সে আলো দূর করেছে সমাজের বিদ্যমান অমানিশার অন্ধকার। ১৮২৬ সালে বাংলাদেশের জমিনে তেমন এক আলোর সওদাগরের উদ্ভব ঘটেছিল। হযরত গাউসুল আযম মাইজভা-ারী (ক.) ছিলেন সে উজ্জ্বল আলোর মশালবাহী। আমরা জানি সমুদ্রের মধ্যে সবসময় দু’টো ¯্রােত বইতে থাকে। একটা বহিঃ¯্রােত আরেকটা অন্তঃ¯্রােত। এ দু’ ¯্রােতের সঞ্চালন সবসময় বিপরীতমুখী। বহিঃ¯্রােত ঊর্ধগামী হলে অন্তঃ¯্রােত হয় নি¤œগামী। আর বিপরীতে বহিঃ¯্রােত নি¤œগামী হলে অন্তঃ¯্রােত হয় ঊর্ধগামী। সমাজ যখন জাগতিক দিক থেকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় তখন অন্তঃশক্তি জাগ্রত হয়। নবুয়তের ধারা বন্ধ হয়ে যাবার পর (৬২৩ খৃস্টাব্দ) অলি-আল্লাহ্্দের মাধ্যমে এ শক্তির বহিঃপ্রকাশ ও বিকাশ ঘটতে থাকে। মুসলিম সমাজের এটাই মূল শক্তি। কারণ বাহ্যিক রীতির চেয়ে অভ্যন্তরীণ নীতিরই গুরুত্ব বেশি। পোশাকের চাকচিক্যের চেয়ে তার পবিত্রতাই বেশি কাম্য। সাধু সাজা নয়, সাধু হওয়াই জরুরি। ভঙ্গীর চাইতে আন্তরিক অভিব্যক্তিই অধিক গ্রহণযোগ্য। ভান নয় বিশুদ্ধতাই মূল্যবান।
হযরত গাউসুল আযম মাইজভা-ারী (ক.) সমাজের বাহ্যিক বিকৃতি, চাকচিক্য ও ভান ও ভঙ্গীকে ভেঙে দিয়ে মানুষের মাঝে নীতি ও পবিত্রতার, সততা ও সাধুতার, বিশুদ্ধতা ও আন্তরিকতার স্ফুরণ ঘটিয়েছেন। আর্থিক দারিদ্র্যকে অগ্রাহ্য করে তিনি মানুষের মধ্যে আত্মিক শক্তির জাগরণ ঘটিয়েছেন। রক্ত যখন বিশুদ্ধ হয় স্বাস্থ্য তখন উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
তাঁর অনেক কথা ও কাজ সমকালীন মানুষের বোধগম্য হয়নি। এটা তাদের অপরাধ ছিল না। কারণ পুরো রহস্য ব্যাখ্যা না করা পর্যন্ত হযরত মূসা আলাইহিস সালাম-এর মত উচ্চ মর্যাদাশীল নবীও হযরত খিজির আলাইহিস সালামের খেয়াপারাপারের নৌকা ভেঙে দেয়া, ক্রীড়ারত সুবোধ বালককে হত্যা করা ও ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত শরীরে বিনা পারিশ্রমিকে জনসাধারণ কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত জনপদে পতনোম্মুখ দেয়াল পুনঃনির্মাণ করে দেয়ার মর্মার্থ বুঝতে পারেন নি। তাই মূসাভী ত্বরিকার আলেমরা খিজরী ত্বরিকার কর্মধারার গোপন রহস্য ভেদ করতে তাৎক্ষণিকভাবে সমর্থ হননি। আলেমরা যেখানে বুঝতে অপারগ ছিলেন সেখানে সাধারণ মানুষদের কথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু যখন বোধশক্তি শাণিত হয়েছে তখন বিরোধিতাকারী আলেমদেরই মোহমুক্তি ঘটেছে সর্বাগ্রে। ঘটনার বাহ্যিক মুখোশ খসে পড়ে আভ্যন্তরীণ স্বরূপ প্রকাশ হয়ে পড়েছে। তখন তাঁরা গেয়ে উঠেছেন: “কেন চিনলি নারে মন, গাউসুল আযম মাইজভা-ারী মাওলানা কেমন।” অথচ ইতোপূর্বে সুর ও সঙ্গীত বিষয়ে তাঁদের কোন দৃশ্যযোগ্য অনুরাগ ও সক্ষমতা ছিল না। তাঁর আধ্যাত্মিক ছোঁয়া এমন মর্মস্পর্শী ছিল যে আজীবনের গদ্যকারকে পদ্যকারে রূপান্তরিত করে ফেলেছিল। চরম বিদ্বিষ্টকে করে ফেলেছিল পরম অনুরাগী। এভাবে মানুষকে ভেতর থেকে বদলে ফেলা এমন এক শক্তির পক্ষেই সম্ভব যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল মহাসাধক বরখিয়ার জীবনে যিনি চোখের পলকে সূদুর ইয়েমেন থেকে বিলকিস রাণীর সিংহাসন নিয়ে এসেছিলেন হযরত সোলাইমান আলাইহিস সালাম-এর দরবারে। আর হযরত গাউসুল আযম মাইজভা-ারীও একজন বিপদগ্রস্ত অসহায় হজ্বযাত্রীকে সুদূর মক্কাশরীফ থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন একটি মোমবাতির আলো হাতে ধরিয়ে দিয়ে।
তাঁর (হযরত মাইজভা-ারীর) প্রথম অনুসারীদের মধ্যে সাধারণ মানুষরাই ছিল সংখ্যায় বেশি। যেমন করে সাধারণ মানুষ, সমাজে যাদের ছিল প্রান্তিক অবস্থান তাঁরাই ছিলেন নবীদের প্রথম অনুসারী। সাধারণ মানুষকে সহজে আকর্ষণ করার সহজাত ক্ষমতা শুধু মহৎ ব্যক্তিদেরই আছে।
আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান সাধারণ জ্ঞানের মত নয়। সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধির মাধ্যমে ধারণ করতে হয়। আধ্যাত্মিক জ্ঞান শুধু বুদ্ধিকে ধারণ করে রাখেনা এটা বোধিকেও জাগ্রত করে। যে জ্ঞান দ্বারা বোধি জাগ্রত হয় তা যুক্তির বন্ধনে আবদ্ধ নয়। এটা বুদ্ধির অতীত। এটা বস্তুর ধর্মকে পাল্টে দিতে পারে। প্রকৃতির নিয়মকে অতিক্রম করে যেতে পারে। গাউসুল আযম মাইজভা-ারী বলেছেন: ‘আমি ছাগল দিয়া ভইষ (মহিষ) দাবাই’। এ শক্তি এক প্রচ- শক্তি। এর পরিমাপ করা দূরূহ। দৃষ্টিশক্তির বাইরে তার বিস্তার। শুধু কিতাবলব্ধ জ্ঞান দিয়ে মানুষের দৃষ্টিসীমার এমন সম্প্রসারণ সম্ভব হয় না। কিতাবলব্ধ জ্ঞান ধীরে ধীরে আয়ত্ব হয়। একসময় তা স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। বোধিলব্ধ জ্ঞান ম্মৃতিবিভ্রম ঘটায় না। এটা বর্তমানের সীমাকে অতিক্রম করে ভবিষ্যতকে প্রত্যক্ষ করে। কারণ সীমার বাঁধন ছেড়ে অসীমের সাধনার মাধ্যমেই এ জ্ঞান অর্জিত হয়। এ জ্ঞান মুহূর্তের মধ্যে অন্যের অন্তরে প্রবিষ্ট হতে পারে। এ এক অনন্য স্কুলের অনন্য লেখাপড়া। হযরত গাউসুল আযম মাইজভা-ারী (ক.) তেমন এক স্কুল খুলেছিলেন। ‘সে স্কুলের এমনি ধারা, বিচার নাইরে জোয়ান বুড়া, সিনায় সিনায় লেখাপড়া শিক্ষা দিতাছে, গাউসুল আযম মাইজভা-ারী স্কুল খুলেছে।’ কেউ যদি তাঁর খলিফাগণের নামের তালিকার দিকে তাকান তাহলে তিনি বিস্ময়ে বিমূঢ় হবেন। ভাববেন, মাইজভা-ার সত্যিই এক অলি বানানোর কারখানা। দুনিয়ার কোন মিস্ত্রি ইঞ্জিনিয়ার এ কারখানা বানায়নি। এর কোন কাঠামোগত অবস্থান নেই। এটা অশরীরি।
মানুষ এখন কিতাবী জ্ঞানে সমৃদ্ধ। তাদের মাঝে রূহানী জ্ঞানের প্রতি তেমন কোন আগ্রহ নেই। কিতাবী জ্ঞান তাকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিসে তার চূড়ান্ত মঙ্গল সে তা জানতে পারছে না। কোন্ যাত্রা তার জন্য কল্যাণযাত্রা, কোন্ পথ তার জন্য কল্যাণকর, কোন্ গন্তব্য তার জন্য কল্যাণময় সে অভিযাত্রা, সে পথ ও সে গন্তব্য তার জানা নেই। তাই তার যাত্রা উদ্দেশ্যহীন, তার পথ কন্টকাকীর্ণ, তার গন্তব্য অনির্দিষ্ট। আজকে কোন শিক্ষার্থীকে সে কী হতে চায় জিজ্ঞেস করলে সে জবাব দেয়: সে হয়তো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, একাউন্টেন্ট, বড় আমলা, বড় আলিম, মিলিটারি অফিসার, উকিল ব্যারিস্টার জজ রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ইত্যাদি হতে চায়, কেউ রূহানী শক্তির অধিকারী হতে চায় না। পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় যে প্রয়োজন তা হচ্ছে: তার প্রভুর সাথে সাক্ষাতের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তোলা, সে চিন্তা তার মনে উদয় হয় না, সে পথে ও লক্ষ্যে অভিযান শুরু করার কোন আকাক্সক্ষা তার মনে জাগ্রত হয় না। কীসে মানুষকে তার প্রভু থেকে বিমুখ ও উদাসীন করে রেখেছে? এ প্রশ্ন তার কাছে কোন গুরুত্ব বহন করে না। সে নগদের জন্য লালায়িত, ভবিষ্যতের প্রয়োজনের কথা স্মরণ রাখে না।
মানুষের এই বিস্মরণকে প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছেন হযরত গাউসুল আযম মাইজভা-ারী (ক.)। সম্পদের পেছনে তার অন্তহীন অভিযাত্রা মানুষকে কখনো কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে না। তিনি বলেছেন, কবুতরের মত বেছে খাও’। কিন্তু মানুষ এখন ইঁদুর ও পিঁপড়ার মত সঞ্চয় করে। সে ¯্রষ্টার শ্রেষ্ঠ জীব হয়েও রিজিকের জন্য পেরেশান থাকে। সে নিজে উৎপাদন না করে ভোগ করতে চায়। অন্যের শ্রমলব্ধ সম্পদে ভাগ বসাতে চায়। কিন্তু তিনি বলেছেন: ‘নিজ হাতে পাকিয়ে খাও। পরের পাকানো খানা খেয়োনা।’ অর্থাৎ তিনি মানুষকে বলেছেন স্বাবলম্বী হতে। এখন মানুষ চায় পরের সম্পদ গ্রাস করতে, পরের অধিকার হরণ করতে, পররাজ্য দখল করতে।
তিনি মানুষকে বলেছেন বারো মাস রোজা রাখতে। অর্থাৎ সংযমের সাধনা করতে। কিন্তু মানুষ এখন করছে লাগামহীন জীবনচর্চা। আসলে এটা জীবন চর্চা নয়, জীবনের অপচয়।
হযরত গাউসুল আযম মাইজভা-ারীর জীবন দর্শন ও শিক্ষার অনুসরণ করলে আধুনিক কালের বিভ্রান্ত মানুষ নিজেদের জীবনকে অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে।
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

চা শিল্পে সংকট, শৃঙ্খলা ভাঙলে ব্যবস্থার নেয়ার ঘোষণা

কানাডায় ভারতীয় নাগরিক ছুরিকাঘাতে নিহত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

মরণ বাঁধ ফারাক্কার প্রভাবে পদ্মা নদীতে পানির বড় আকাল

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র নদে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমীস্নান

পাঁচবিবিতে বাস ভাড়া আদায় রোধে প্রশাসনের অভিযান

গাজার ভয়াবহ চিত্র, জীবন বাজি রেখে ক্যামেরাবন্দী করছেন ফটোসাংবাদিকরা

ধবলধোলাই হয়ে রিজওয়ান বললেন, ‘হতাশার সিরিজ’

মাগুরায় সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

রংপুরে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক সেমিনার

জুলাই বিপ্লবে শহীদ রাকিবুলের কবর জিয়ারত করলেন এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতা তারেক রেজা

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কোথাও নেই বাংলাদেশের মত, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নগরকান্দায় বিয়ের ১ মাস হতেই ডাকাতের হাতে প্রান গেল প্রবাসীর

বায়ার্নের সঙ্গে ২৫ বছরের সম্পর্কের ইতি টানছেন মুলার

নিকলীর হাওরে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৯৭ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন

মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে জরুরি সভা ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা

ভারতে মুসলিমদের সম্পত্তি দখল এবং সংখ্যালঘু নিধনের গভীর ষড়যন্ত্র–ওয়াকফ বিল

বুড়িচং উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মিজান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কামাল ও সদস্য সচিব কবির

আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত বিএনপি নেতা জাকিরকে দেখতে হাসপাতালে ব্যারিস্টার সায়েম

দুমকিতে মাইক্রোবাসের চাপায় এক নারীর মৃত্যু

কলাপাড়ায় দুই সন্তানের জননীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ