সহিহ হাদিসের আলোকে শবে বরাত, আমল ও করণীয়
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১ এএম

হাল-যামানায় এক শ্রেণির লোক নিজেদের অতিগবেষণার মাধ্যমে ইসলামের দেড় হাজার বছর ধরে সূত্র পরষ্পপরায় চলে আসা সুপ্রমাণিত অনেক বিষয়কে সর্বসাধারণের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছেন। সেগুলো থেকে একটি হলো শবে বরাত। তারা বলছেন, শবে বরাতের হাদীসগুলো সহীহ নয়। তাই এ রাতে ইবাদত করা বিদআত। অথচ শবে বরাত এবং এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হযরত মুয়ায বিন জাবাল রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, অর্ধ শাবানের রাতে [শবে বরাতে] আল্লাহ তাআলা তাঁর সমস্ত মাখলুকের প্রতি মনযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। [সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬৬৫, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭৫৪, আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৭৭৬, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-২১৫, সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস নং-১৩৯০, মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২০৩, মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৪৭৯, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২০৪]
মরহুম শায়খ নাসীরুদ্দীন আলবানীর বক্তব্য
উপরোক্ত হাদিসের ব্যাপারে শবে বরাতকে অস্বীকারকারী গায়রে মুকাল্লিদদের ইমাম শায়েখ আলবানি কি বলেন শুনুন। তিনি বলেন, এই হাদিসটি সহিহ। এটি সাহাবাদের এক জামাত বর্ণনা করেছেন বিভিন্ন সূত্রে, যার একটি অন্যটিকে শক্তিশালী করেছে। বর্ণনাকারী সাহাবীদের মাঝে রয়েছেন , মুয়াজ বিন জাবাল রা.আবু সালাবা রা., আব্দুল্লাহ বিন আমর রা. আবু মুসা আশয়ারী রা. আবু হুরায়রা রা. আবু বকর সিদ্দীক রা.আউফ বিন মালিক রা. আয়েশা রা.প্রমুখ সাহাবাগণ। উপরে বর্ণিত সবকটি বর্ণনাকারীর হাদিস তিনি তার কিতাব সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহায় এনে সুদীর্ঘ আলোচনার শেষে বলেন, সারকথা এই যে, নিশ্চয় এই হাদিসটি এই সকল সূত্র পরম্পরার দ্বারা সহীহ, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর সহীহ হওয়া এর থেকে কম সংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায়। যতক্ষণ না মারাত্মক কোন দুর্বলতা থাকে, যেমন এই হাদিসটি হয়েছে। [সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহা:৩/১৩৫-১৩৮, হাদীস. ১১৪৪]
শায়খ ইবনে তাইমিয়া রাহ.(মৃ. ৭২৮ হি.)এর বক্তব্য
শায়খ ইবনে তাইমিয়া রাহ.[গায়রে মুকাল্লিদদের নিকট ব্যাপকভাবে সমাদৃত] বলেন, অর্ধ শাবানের রাতের ফযীলত সম্পর্কে বেশ কিছু মারফু’ হাদীস ও আছার বর্ণিত হয়েছে। যার দাবী হচ্ছে, এটা একটি ফযীলতপূর্ণ রাত। অনেক আলেম, বরং অধিকাংশই এ রাত ফযীলতপূর্ণ হওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। কেননা এ রাত সম্পর্কীয় হাদীসসমূহ একাধিক সূত্রে বিভিন্ন হাদীসগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। [ইকতিযাউস সিরাতিল মুস্তাকীম পৃ. ২৫৮] তিনি অন্যত্র বলেন, অর্ধ শাবানের রাতের ফযীলত সম্পর্কে বেশ কিছু মারফু হাদীস ও আছার বর্ণিত হয়েছে এবং পূর্ববর্তীদের এক জামাআত এ রাতে সালাত আদায় করতেন। তাই শবে বরাতে কেউ যদি একাকী নামায আদায় করে তাতে দোষের কিছু নেই। কেননা এ ক্ষেত্রে দলীল রয়েছে। কাজেই এমন বিষয়কে অস্বীকার করা যাবে না। [মাজমূউল ফাতাওয়া ২৩/৮১] এ ছাড়াও প্রসিদ্ধ আহলে হাদীস আলেম মাওলানা আব্দুর রহমান ও উবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী উভয়ে বলেন, শবে বরাত সম্পর্কীয় হাদীসসমূহ সমষ্ঠিগতভাবে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দলীল, যে মনে করে শরীয়তে শবে বরাতের কোন ভিত্তি নেই। [তুহফাতুল আহওয়াযী ৩/৪৪২ ও মিরআতুল মাফাতীহ ৪/৩২৫] শবে বরাত, শবে বরাতের হাদিস ও তার আমলের ব্যাপারে মুকাল্লিদ-গায়রে মুকাল্লিদ ও চার মাযবের বর্ণিত অবস্থানের পরও কারও জন্য এ কথা বলা উচিত যে, শবে বরাত প্রমাণিত নয়? ভালোভাবে না জেনে কথা বলা থেকে আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নিরাপদ রাখুন।
শবে বরাত অন্যান্য রাত থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ
কেউ কেউ উপর্যুক্ত হাদীসসমূহ মেনে নেন, তবে ভিন্ন আঙ্গিকে শবে বরাতের ফযীলতকে অস্বীকারের অপপ্রয়াস চালান। আর তা এভাবে যে, এ রাতের ফযীলত অন্যান্য রাতের চেয়ে ব্যতিক্রম নয়। কেননা এ রাতে যেভাবে আল্লাহ পাক নিচের আসমানে আসেন এবং বহু সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করেন, তেমনিভাবে প্রতি রাতের শেষভাগেও তিনি দুনিয়ার আসমানে এসে অনেক বান্দাকে ক্ষমা করেন, যা বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ হাদীসে এসেছে। কাজেই এ রাতকে বছরের অন্যান্য রাত থেকে বিশেষভাবে ফযীলতপূর্ণ মনে করার কোন যৌক্তিকতা নেই! এ প্রসঙ্গে সঠিক কথা হল, যদিও অগভীর চিন্তার কারণে বাহ্যিকভাবে মনে হয় এ রাত এবং বছরের অন্য রাতের মাঝে তেমন কোন ফরক নেই। কিন্তু হাদীস বিশারদদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ থেকে এ রাতের আরো বৈশিষ্ট্য জানা যায়। যেমন হাফেজ ইরাকী রাহ. (মৃ. ৮০৬ হি.) বলেন, বছরের প্রতি রাতে আল্লাহ পাক অবতরণ করলেও ভিন্ন দু’টি কারণে অর্ধ শাবানের রাতটি অন্যান্য রাত থেকে বৈশিষ্ট্যম-িত। এক. অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, যা অন্যান্য রাতে হয় না। দুই. এ রাতে সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে অবতরণ করেন, যা অন্যান্য রাতে রাত্রির শেষাংশে বা তৃতীয়াংশে হয়। (ফয়যুল কাদীর, মুনাবী ২/৩১৭) এভাবে মোল্লা আলী কারী রাহ. (মৃ. ১০১৪ হি.) বলেন, হাদীসের ভাষ্য থেকে এ কথা প্রকাশ পায় যে, এ রাতে আল্লাহ পাক নিচের আসমানে অবতীর্ণ হওয়াটা অন্যান্য রাত থেকে ভিন্ন। কেননা অন্যান্য রাতে অবতীর্ণ হওয়াটা রাতের তৃতীয়াংশে হয়। আর এখানে পুরো রাত জুড়েই হয়। ফলে এর মাধ্যমে রাতটি অন্যান্য রাত থেকে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৩/৩৭৫)
শবে বরাতের আমল ও করণীয়
হযরত আয়েশা রা. বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে নামাযে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে,আমার ধারণা হল তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি উঠে তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন, তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন হে আয়েশা অথবা বলেছেন, হে হুমাইরা! তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন? আমি উত্তরে বললাম- না, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশংকা হয়েছিল, আপনি ইনতিকাল করেছেন কিনা। নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি জান এটা কোন রাত? আমি বললাম- আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন ইরশাদ করলেন- এটা হল শবে বরাত। আল্লাহ তাআলা এ রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থনাকারীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। ইমাম বাইহাকী রাহ. এই হাদীসটি বর্ণনার পর এর সনদের ব্যাপারে বলেছেন-হাদীসটি মুরসাল তবে তার সনদ সেরা ও উৎকৃষ্ঠ মানের। [শু’আবুল ঈমান, হাদিস: ৩৫৫৪, ৩/৩৮২-৩৮৩] এই হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়, এ রাতে দীর্ঘ নফল নামায পড়া, যাতে সেজদাও দীর্ঘ হবে শরীয়তের দৃষ্টিতে কাম্য। তবে মনে রাখতে হবে, কতিপয় অনির্ভরযোগ্য বই-পুস্তকে ‘শবে বরাতের নামায’ এর নামে যে নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন লেখা আছে। অর্থাৎ এত রাকাআত হতে হবে, প্রতি রাকাআতে সূরা ইখলাস বা এই এই সূরা এতবার পড়তে হবে এগুলো ঠিক নয়। হাদীস শরীফে এসব নেই। এ সংক্রান্ত যে সমস্ত বর্ণনা রয়েছে, সেগুলোকে মুহাদ্দিসগণ জাল ও বানোয়াট বলেছেন। কাজেই এগুলো মানুষের মনগড়া পন্থা। সঠিক পদ্ধতি হল, নফল নামাযের সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী দুই রাকাআত করে যত রাকাআত সম্ভব হয় এবং যেই সূরা দিয়ে সম্ভব হয় পড়তে থাকা। চার মাযহাবের একাধিক গ্রন্থসমূহে রয়েছে, শবে বরাতে রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত করা মুস্তাহাব। (ফাতাওয়ায়ে শামী ২/৪৬৯)
শবে বরাতে কবর যিয়ারত
আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রাতে জান্নাতুল বাকী নামক কবরস্থানে তাশরীফ নিয়ে গেছেন। [তিরমিযী, হাদিস ৭৩৯; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৬০১৮ ]
আর এটি ছিল তাঁর হুজরা মুবারকের নিকটবর্তী। এ থেকে প্রতীয়মান হয়, মুসলমানদের জন্য এ রাতের আরেকটি আমল হল, প্রত্যেকে নিজ নিজ নিকটবর্তী কবরস্থানে গিয়ে যিয়ারত করা এবং কবরবাসীদের জন্য দু’আ করা। তবে প্রতি শবে বরাতে নিয়মিত কবরস্থানে যাওয়া সুন্নাত নয়, যদিও তা জায়েয। তবে মাঝে মাঝে যাওয়া সুন্নাত। কেননা হাদীসের সুবিশাল ভা-ার থেকে তাঁর জীবনে এ রাতে একবারই কবরস্থানে যাওয়া প্রমাণিত। এটাকে সর্বদা করেছেন এমন কোন প্রমাণ নেই। এভাবে সাহাবায়ে কেরাম থেকেও এটাকে সব সময় করারও প্রমাণ পাওয়া যায় না। [আকাবিরে দেওবন্দ কেয়া থে? তাকী ওসমানী দা. বা. পৃ. ১৫-১৬]
শবে বরাত ও শাবান মাসের রোজা
হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন শাবান মাসের অর্ধ রজনী [শবে বরাত] আসে, তখন তোমরা রাতে ইবাদত কর, আর দিনের বেলা রোযা রাখ। নিশ্চয় আল্লাহ এ রাতে সূর্য ডুবার সাথে সাথে পৃথিবীর আসমানে এসে বলেন, কোন ক্ষমাপ্রার্থী আছে কি আমার কাছে? আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। কোন রিজিকপ্রার্থী আছে কি? আমি তাকে রিজিক দিব। কোন বিপদগ্রস্থ মুক্তি পেতে চায় কি? আমি তাকে বিপদমুক্ত করে দিব। আছে কি এমন, আছে কি তেমন? এমন বলতে থাকেন ফযর পর্যন্ত। হাদিসটি সনদের দিক থেকে জয়ীফ আর ফাযাইল ও আমলের ক্ষেত্রে ‘জয়ীফ’ হাদিস গ্রহণযোগ্য।[সূনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৮৮, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৩৮২২] এ হাদীস থেকে প্রমাণ গ্রহণ করে উলামায়ে কিরাম বলেছেন, শবে বরাতের পরের দিন ১৫ ই শাবান রোজা রাখা মুস্তাহাব। তা ছাড়া ১ লা শাবান থেকে ২৭ শাবান পর্যন্ত রোজা রাখার যথেষ্ট গুরুত্ব ও ফযীলত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। তাই ২৭ শাবান পর্যন্ত প্রতিদিনের রোজাই অত্যন্ত বরকতপূর্ণ। উপরন্তু শাবানের ১৫ তারিখটি ‘আইয়্যামে বীযের’ অন্তর্ভুক্ত। আর ‘আইয়্যামে বীয’ তথা প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখা মুস্তাহাব। সুতরাং কোন ব্যক্তি যদি এ সকল বিষয় সামনে রেখে ১৫ ই শাবান রোজা রাখে, তাহলে ইনশাআল্লাহ সাওয়াবের অধিকারী হবে।
শবে বরাতে বিদআত ও কুসংস্কার
শবে বরাতের শুভ মুহূর্তে যখন আল্লাহর রহমতের বারিধারা বর্ষণ হতে থাকে এবং পাপিষ্ঠ বান্দাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা হয়ে থাকে, এমন মুহূর্তেও বনী আদমকে আল্লাহর ইবাদত থেকে বিমুখ এবং আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত থেকে বঞ্চিত করার জন্য শয়তানের ফন্দি-ফিকিরের অন্ত থাকে না। আর তাই সে মানুষকে শবে বরাতের মত বরকতময় রাতেও আতশবাজি, হালুয়া-রুটি বা রুটি-গোস্তের বিশেষ আয়োজন, ঘরে বা মসজিদসমূহে প্রয়োজনাতিরিক্ত আলোকসজ্জা, গোরস্থানে বা মাযারে মেলা ও উৎসব, মাইক দ্বারা খতমে শবীনা, আমলের নামে শরীয়তের নির্ধারিত পথ ও পন্থার বিপরীত ইবাদত করা। যেমন ইবাদতের জন্য বিশেষ কোন পন্থা উদ্ভাবন করা, দলবদ্ধতার সাথে ইবাদত করা এবং রাতটি উদযাপনের জন্য মসজিদে মসজিদে বা বিভিন্ন মাযারে সমবেত হওয়া ইত্যাদি যাবতীয় বিদআত ও কুসংস্কারে মশগুল করে দেয়। যাতে এ রাতে রহমতের পরিবর্তে আযাবই তার ভাগ্যে জোটে। অতএব শয়তানের এসব চক্রান্ত থেকে সতর্ক থাকা একান্ত প্রয়োজন। কারণ এ কাজগুলো বিদআত ও নাজায়েয। (আল বাহরুর রায়েক ২/৫৬, ৫/৩৩২; আল-ইবদা’ ২৬৭; মা ছাবাতা বিস-সুন্নাহ ২১৪)
লেখক : ইমাম ও খতীব, মসজিদুল আমান, গাঙ্গিনারপাড়, মোমেনশাহী
বিভাগ : ধর্ম দর্শন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

দাউদকান্দিতে শিক্ষার মানউন্নয়ন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

দাউদকান্দিতে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষ গুলিবিদ্ধ -৩

সার্বজনীন স্বাস্থ্য-কল্যাণে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান: অধ্যাপক সায়েদুর রহমান

গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে দৌলতখানে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল

ব্যাংকিং সেবার আধুনিকায়নে বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের চুক্তি

কঙ্গোর উত্তেজনার মধ্যে রুয়ান্ডায় গণহত্যার ৩১তম বার্ষিকী পালিত

কিশোরগঞ্জে ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আড়াইহাজারে সুইডিশ কোম্পানির কারখানা স্থাপনে সমঝোতা সই

ফেসবুকে লুট করা জুতা বিক্রির পোস্ট, সিলেটে আটক ১৪

নারায়ণগঞ্জে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শনে বিনিয়োগকারীরা

সারাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯

প্রবাসীদের ভোটের সুযোগ খুব সহজ নয় : সিইসি

তেল আবিব-লোহিত সাগরে মার্কিন নৌবহরে হামলার দাবি হুথিদের

বিচ্ছেদকে প্রাঙ্ক বলে ঢাকার চেষ্টা,প্রাক্তনের সম্মান রক্ষার্থে অভিনেতার মিথ্যার আশ্রয়

গাজাবাসীকে অন্য দেশে পাঠাতে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠক

আপাতত স্বাধীনতা কনসার্ট হচ্ছে না

জিম্মি মুক্তির লক্ষ্যে নতুন আলোচনা চলছে: নেতানিয়াহু

প্লাস্টিক দূষণ রোধে দক্ষিণ এশীয় ঐক্যের ডাক দিলো বাংলাদেশ

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে নিহত ৩৬০০, নিখোঁজ শতাধিক

চোখের সামনে যাকে পেয়েছি, তাকেই হত্যা করেছি : ইসরায়েলি সেনার স্বীকারোক্তি