মুজাদ্দিদে আলফেসানী (রহ.) : দ্বীন ও মিল্লাতের নবায়ন-৩
০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১২:১২ এএম
ভারতে বসবাসকারী মানুষজনের সমস্ত ধর্মকে স্থান দেয়ার চেষ্টা হয় দ্বীনে এলাহীতে। শিখরা হয়তো এই যুগে পুরোপুরি বিকশিত হয়নি। দ্বীনে এলাহীতে হিন্দু, খ্রিস্টান, পার্সি, অগ্নিপূজক এবং ইসলামের মধ্যে সমন্বয় বিধান করা হয়। সূর্যের উপাসনা এবং আল্লাহর উপাসনা ছিল এ ধর্মের বিধান। হালাল ও হারামের আদেশ বদলে দেয়া হয়। শূকরের মাংস এবং মদকে জায়েজ ঘোষণা করা হয়। ব্যভিচারকেও কিছু শর্তে জায়েজ করা হয়। দ্বিতীয় বিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আরো বহু সর্বনাশের দরোজা খুলে দেয়া হয়।
অতঃপর আকবরের পুত্র জাহাঙ্গীর এই সর্বধর্ম সমন্বয় ও ধর্মের নামে অধর্মাচারের পথ থেকে সরে আসেন। তিনি ক্রমেই শায়খের প্রতি ইতিবাচক হতে থাকেন। তিনি শায়খের পয়গাম ও শিক্ষার প্রতি মনোযোগী হন। ধীরে ধীরে প্রত্যাবর্তন করেন বাবর-শাহজাহানের কর্মপন্থায়। পিতার মতাদর্শ থেকে সরতে থাকেন। আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের বিশ্বাসের প্রতি নিজের আস্থার বহু নমুনা রাখেন জাহাঙ্গীর।
মোল্লা নুরুল্লাহ শুস্ত্রী ছিলেন একজন মহান দরবারী আলেম। তিনি একটি বই লিখে হযরত ওমরকে অপমান করেছিলেন। এর জন্য জাহাঙ্গীরের আদালতে মোল্লা নূরুল্লাহ শুস্ত্রীর বিচার হয় এবং তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়। নূরুল্লাহ শুস্ত্রী শিয়াদের শহীদ হিসেবে পরিচিত। রানী নূরজাহান নিয়ে প্রচলিত আছে বহু গল্প। তিনি শিয়া ছিলেন প্রথম দিকে। তখন পর্দার আড়ালে বসতেন। জাহাঙ্গীরের প্রায় সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতেন, তাতে হস্তক্ষেপ করতেন। জাহাঙ্গীর যখন মোল্লা শুস্ত্রীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন, তখন নুরজাহান হস্তক্ষেপের চেষ্টা করলে সম্রাট বললেন, নুরজাহান, আমি আমার প্রাণ তোমার হাওয়ালা করেছি কিন্তু আমার ঈমান তোমাকে অর্পণ করিনি।
ক্রমেই জাহাঙ্গীর দ্বীনে ইলাহী পরিহার করেন। এরপর শায়খ সেরহিন্দি জাহাঙ্গীরের কাছেই থেকে যান। সম্রাট তাকে নিজের কাছে রেখেছিলেন যাতে তিনি দরবারীদের সংশোধন করতে পারেন। এভাবে হযরত মুজাদ্দিদে আলফে সানীর কঠোর সাধনা, আত্মত্যাগ ও দুনিয়া বিরাগের ফলে আকবরের দ্বীনে ইলাহী তার পুত্রের শাসনামলে অবসিত হয়।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
গুজব উড়িয়ে দিয়ে পুরোদমে অফিস করলেন প্রধান উপদেষ্টা
রাজশাহী থেকে চালু হচ্ছে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন
ফরিদপুরের পদ্মায় চলছে ইলিশ মাছ ধরার মহা উৎসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব নিথর।
নোবিপ্রবি বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিনিময়
তথ্য ও সস্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নবনিযুক্ত সচিবের মতবিনিময়
সরকারি ইন্ধনে তাণ্ডব হিন্দুদের, বাহরাইচে আতঙ্কে মুসলমানরা
রাজশাহীতে রেড ক্রিসেন্টের পিপিপি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা
কেরানীগঞ্জে অবৈধ শিশা কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, জরিমানা ২ লক্ষ টাকা
বন, বনভূমি, ডলফিন সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ইরানের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া চালাতে চায় সৌদি
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের ২০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি চার শতাধিক শিশু
সুন্দরবনে ৯০ অফিসের ৮শতাধিক বনকর্মীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ জেলায় প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয় কেন্দ্র
পুলিশের ৬ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন
পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে যেভাবে নিউইয়র্কে পালিয়ে যান হারুন
তবে কি ঐশী-শুভ'র প্রেমের গুঞ্জন সত্যি? সংসার জীবনের ইতি টানতে চলেছেন আরিফিন শুভ?
লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি,লঞ্চঘাটে আটকা পড়েছে ভোলাগামী শতাধিক যাত্রী
সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেপ্তার
সাড়ে ৩ বছর পর ফিরে ওয়াশিংটনের রেকর্ড গড়া বোলিং
৮ম আন্তর্জাতিক সম্মেলন করতে যাচ্ছে রাবির পরিসংখ্যান বিভাগ