সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-৯
০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৯ এএম
প্রতাপ, জনকল্যাণ ও ন্যায়বিচার ছিলো সম্রাট জাহাঙ্গীরের কেন্দ্রীয় অঙ্গীকার। তিনি প্রথম যেদিন সিংহাসনে বসেন, সেদিনের অভিষেককে স্মরণীয় রাখবার জন্য এক লক্ষ কূপ ও জলাশয় খনন এবং পঞ্চাশ হাজার পান্থনিবাস নির্মাণের ঘোষণা হয়। কর আদায়ের জন্য কোনো দ্রব্যের পরিমাপের জন্য গাঁট খোলার নিয়ম রহিত করা হয়। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের প্রদত্ত হিসাবের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়। ছয় মাসের জন্য প্রজাবর্গের সকল রাজকর মওকুফ করা হয়। দরিদ্র ও রুগ্ন প্রজাগণের চিকিৎসার জন্য সম্রাটের ব্যয়ে চিকিৎসকগণকে নিযুক্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়। মদ্যবিক্রয় রহিত হয়। ছয় মাস ধরে দিবারাত্রি গরিব-মিসকিনদের খাবার বিতরণের কাজ শুরু হয়। ঘোষণা করা হয়, যারা মজলুম, তারা যেন সম্রাটের প্রাসাদের বাইরে সংরক্ষিত ঘণ্টার রজ্জুতে টান দেয়। সম্রাট নিজেই তার সুবিচার করবেন।
সম্রাট জাহাঙ্গীর প্রতিদিন দীর্ঘ সময় ধরে প্রজাদের অভিযোগ শুনতেন। ন্যায়বিচার বিতরণে কোনদিন কুণ্ঠিত ছিলেন না। ধনী দরিদ্র সবার জন্য তার বিচারের প্রতিশ্রুতি ছিলো সমান।
একদিন ধীরভাবে বিশেষ মনোযোগ-সহকারে রাজকর্মে নিযুক্ত ছিলেন সম্রাট। সহসা বালাখানার পাশে ঘণ্টা বেজে উঠলো ঠুন্ ঠুন্ শব্দে। তিনি ঘণ্টাধ্বনি শুনে এক অমাত্যকে আদেশ করলেন, ‘যাও বাইরে গিয়ে দেখে আসো, কোন মজলুম ঘণ্টা বাজায়! যদি কোনো প্রজা উৎপীড়িত হয়ে আসে, তাকে আমার সামনে হাজির কর।’ দেখা গেলো এক দরিদ্র হিন্দু বৃদ্ধা। সম্রাটের সামনে তিনি এলেন। নালিশ করলেন, ‘জাহাপনা! আমার ছেলে আপনার সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। রাজধানীর কাছেই আমার বাড়ি। প্রত্যেক রাতে এক দুর্বৃত্ত এসে আমার বাড়িতে হানা দেয়। আমার পুত্রবধুর সতীত্ব হরণের চেষ্টা করে। আমি আমার পুত্রবধুর ইজ্জতের নিরাপত্তা চাই।’
সম্রাট জাহাঙ্গীর কিছু বললেন না। বৃদ্ধা রেগে গেলেন। বললেন, ‘জাহাঙ্গীর, তুমি চুপসে গেলে কেন অভিযোগ শুনে? তুমি যদি আমার পুত্রবধুর ইজ্জতের দায়িত্ব না নাও, আমি তোমার স্রষ্টার আদালতের কাঠগড়ায় তোমাকে দাঁড় করাবো। আমার পুত্রবধু যদি ইজ্জত নিয়ে বাঁচতে না পারে, তাহলে দুইদিনের মধ্যে আমাকে তোমার রাজ্যের বাইরে চলে যাবার ব্যবস্থা করো।’
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
শেরপুর সীমান্তে জাল টাকার নোটসহ আটক ১
জুলাই সনদ ও গণভোট নিয়ে ড.এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর মন্তব্য
জোড়া গোলের পর অ্যাসিস্টে নতুন উচ্চতায় মেসি, সেমি-ফাইনালে মায়ামি
শেষ মৃতদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
লেবাননে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানাল ইইউ
গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও থামেনি ইসরায়েলি হামলা, নিহত ছাড়াল ৬৯ হাজার
সৈয়দপুরে ট্রেনে কাটা মরদেহ উদ্ধার
৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন
দেশের ১৫ জেলায় নতুন ডিসি, মধ্যরাতে প্রজ্ঞাপন জারি
অটো চার্জার ছিনতাইয়ের চেষ্টায় ড্রাইভারকে ছুরিকাঘাত
আওয়ামী লীগ নেতা এখন ইসলামী আন্দোলনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ভারতের গোলামী আর দাসত্ব করার জন্য নয়: শাহজাহান
৮ ম্যাচ পর গোল হজম করে আর্সেনালের হোঁচট
কিছু দল নির্বাচন বিলম্বিত করে ক্ষমতার স্বাদ নিতে চায়: মেজর হাফিজ
আইন ভাঙায় জরিমানা দিতে বাধ্য হলেন কাতারের আমির
জি-২০ সম্মেলন বয়কট করছে যুক্তরাষ্ট্র
গাঁজা বিক্রি নিষেধ করায় খুন
ফরাসী নাগরিকদের জরুরী ভিত্তিতে মালি ত্যাগের পরামর্শ
অনুষ্ঠিত হলো উদ্ভাবন, নীতি ও সহযোগিতাকে কেন্দ্র করে ৫ম বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট
স্বাস্থ্যের মিঠু চক্র এখনো সক্রিয়, মানি লন্ডারিং মামলা থেকে রেহাই পেতে সিআইডির কর্মকর্তাদের ম্যানেজের চেষ্টা
