মুজাদ্দিদে আলফেসানী (রহ.) : দ্বীন ও মিল্লাতের নবায়ন-৪
০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
মুজাদ্দিদে আলফে সানীর সংগ্রামের আরেকটি দিক হলো আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। তিনি মুঘল পরিবারের বিভিন্ন স্তরে কাজ করেন পরিকল্পিতভাবে। দীর্ঘ ও ধারাবাহিক সাধনার মাধ্যমে তিনি এই পরিবারে প্রবেশ করেন। তিনি জানতেন, মুঘলদের পতনের সম্ভাবনা নেই, শাসনটা তারাই করবে। শাসক হবে তারা, মন্ত্রী হবে তারা, সাম্রাজ্যের পদবিসমূহে নিয়োগ দেবে তারা। তারা ক্ষমতার কেন্দ্রে, সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তাদের সাথে যুক্ত। জনগণ আছে প্রান্তে। প্রান্ত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সফল হবে না। ফলে শাসকশ্রেণীর সাথে দ্বন্দ্বের পরিবেশ সৃষ্টি না করে তাদের প্রভাবিত করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করা, লেগে থাকা, সব ধরনের ত্যাগ স্বীকার ও উত্তম আদর্শের নজির স্থাপনের মাধ্যমে তাদের সঠিক পথে আনতে হবে, সেটাই উত্তম। পারিবারিক সংস্কৃতি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কৃতির মধ্যে আনতে হবে বদল। যেন কয়েক প্রজন্ম এই পরিবর্তনের ধারায় বিকশিত হতে পারে। আমরা দেখি, তাই ঘটেছিলো। রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন আওরঙ্গজেব আলমগীরের মতো সম্রাট। ঐতিহাসিকরা তার ব্যক্তিত্বকে হযরত সেরহিন্দির আন্দোলনের অন্যতম ফসল বলে মনে করেন।
শায়খ সেরহিন্দির সামনে পাঠানরা ছিলো একটা বিকল্প। তাদের অনেকেই রাষ্ট্র কর্তৃক অত্যাচারিত হয়ে ক্ষমতা ফিরে পাবার স্বপ্ন পুষতেন। কিন্তু শায়খ দেখলেন এদের হাতে নেবার চেষ্টা ভুল হবে। কারণ, ক্ষমতার পরিবর্তনটাই মুখ্য নয়। মুখ্য হলো সংস্কার ও সংশোধন। ফলে কোনো গোত্র-জাতি তার কাছে আলাদা ছিলো না। তার বিচারে মুঘলদের সংস্কার যেমন চাই, তেমনি চাই পাঠানদের। মুসলিম হিন্দুস্তানে অতীতের ধারাবাহিকতায় মুঘল ও পাঠানদের মধ্যে সংঘাত লেগেই আছে। মাহমুদ গজনভী ও শের শাহ সুরির মতো শাসকরা পাঠান ছিলেন। মুঘলরা ছিল আধা-উদারপন্থী এবং শিয়া-প্রভাবিত, তবে পাঠানরা ছিল সম্পূর্ণরূপে ধার্মিক এবং সম্পূর্ণরূপে সুন্নি। মুঘলরা বলতে গেলে ধর্মনিরপেক্ষ সংস্কৃতির চর্চা করতো। তারা ধর্মে বিশ্বাস করত এবং তা পালন করত, কিন্তু একই সঙ্গে সহনশীলতা ও জাগতিকতা ইত্যাদির চর্চা করত স্বাধীনভাবে। সেখানে আওরঙ্গজেব আলমগীরের মতো প্রবল ধর্মাবেগসম্পন্ন সম্রাটের জন্ম এক বিস্ময়।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
জাতীয়তাবাদী নাম ব্যবহার করে কেউ সংগঠন সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: রিজভী
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ দিবে ইউজিসি
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ
গুজব উড়িয়ে দিয়ে পুরোদমে অফিস করলেন প্রধান উপদেষ্টা
রাজশাহী থেকে চালু হচ্ছে কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন
ফরিদপুরের পদ্মায় চলছে ইলিশ মাছ ধরার মহা উৎসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরব নিথর।
নোবিপ্রবি বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকদের সঙ্গে উপাচার্যের মতবিনিময়
তথ্য ও সস্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নবনিযুক্ত সচিবের মতবিনিময়
সরকারি ইন্ধনে তাণ্ডব হিন্দুদের, বাহরাইচে আতঙ্কে মুসলমানরা
রাজশাহীতে রেড ক্রিসেন্টের পিপিপি প্রকল্পের অবহিতকরণ সভা
কেরানীগঞ্জে অবৈধ শিশা কারখানায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, জরিমানা ২ লক্ষ টাকা
বন, বনভূমি, ডলফিন সংরক্ষণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ইরানের সঙ্গে যৌথ নৌ মহড়া চালাতে চায় সৌদি
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের ২০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি চার শতাধিক শিশু
সুন্দরবনে ৯০ অফিসের ৮শতাধিক বনকর্মীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ জেলায় প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয় কেন্দ্র
পুলিশের ৬ কর্মকর্তাকে বদলি ও পদায়ন
পাসপোর্ট জালিয়াতির মাধ্যমে যেভাবে নিউইয়র্কে পালিয়ে যান হারুন
তবে কি ঐশী-শুভ'র প্রেমের গুঞ্জন সত্যি? সংসার জীবনের ইতি টানতে চলেছেন আরিফিন শুভ?
লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে থেমে থেমে বৃষ্টি,লঞ্চঘাটে আটকা পড়েছে ভোলাগামী শতাধিক যাত্রী
সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন গ্রেপ্তার