মুজাদ্দিদে আলফেসানী (রহ.) দ্বীন ও মিল্লাতের নবায়ন-৫
১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৬ এএম

মুজাদ্দিদে আলফেসানী (রহ.) এর কর্মপন্থা পরবর্তী উপমহাদেশকে গভীর ও ব্যাপক অর্থে প্রভাবিত করে। বিশেষত মুসলিম সংস্কারক ও চিন্তকদের সামনে হাজির করে পথের এমন দিশা, যা দীর্ঘমেয়াদে ফলপ্রসূ। মুজাদ্দিদে আলফেসানী (রহ.) আপন সময়ের প্রবল পরাক্রান্ত শাসক ও রাষ্ট্রশক্তির ইসলামবৈরী অবস্থানের প্রেক্ষিতে সমাজ ও বাস্তব জগতবিচ্ছিন্ন সুফিবাদে সমর্পিত হতে পারতেন। কোনো নির্জন অবস্থানে ইবাদত-বন্দেগীতে পারতেন ডুবে থাকতে। এটা ছিলো জনপ্রিয় ও সহজসাধ্য একটা উপায়। তিনি সেটা অবলম্বন করেননি। বিপরীতে তিনি যা পারতেন, তা হলো সশস্ত্র মোকাবেলা। জিহাদ ঘোষণা করা। এতে দীর্ঘ মেয়াদী জটিলতার আশঙ্কা ছিলো।
প্রক্রিয়াটি সংঘাতপূর্ণ এবং সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে অত্যন্ত ঝুঁকির্পূণ। এর কোনো সক্ষমতাও তার অনুকূলে ছিলো না। ফলে তিনি তৃতীয় বিকল্পকে অবলম্বন করলেন। রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন প্রভাবশালী মন্ত্রী-আমলা, জমিদার এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উপর চিন্তা, আধ্যাত্মিকতা ও আখলাকী প্রভাব বিস্তার করতে থাকলেন। সংশোধনের প্রক্রিয়াকে গতিশীল করলেন। তাদেরকে বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় এনে ইসলামের পথ প্রদর্শন করতে থাকলেন।
শায়খে সেরহিন্দির প্রধান এক হাতিয়ার ছিলো হিকমাহ; বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা। রাষ্ট্র যারা চালায়, তাদের চিন্তাপদ্ধতি ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবার মহান মিশন তার। তাদের সম্বোধন করে তিনি পত্র রচনা করতেন, যেগুলোকে বলা হতো মাকতুব, বহুবচন মাকতুবাত। জাহাঙ্গীরের শাসনামলে মোগল সাম্রাজ্যে চৈন্তিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের যে জোয়ার জন্ম নিলো, তার মূলে ছিলো এই সব মাকতুবাত। পত্রগুলো বহন করতো বিপ্লবকে, যা রচিত হয়েছিলো সাম্রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নবাব সৈয়দ ফরিদ, রাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল, শাহি মোহর নিয়ন্ত্রক ও পরে গুজরাটের সুবেদার খানে আজম মির্জা কোকা, খানে জাহান লুধি, লালাবেগ জাহাঙ্গিরী, সদরে জাহান পাহানিসহ নির্ধারক পদবীধারীদের প্রতি।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

রাজবাড়ীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

কলাপাড়ায় জালপাতাকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলা, গুরুতর আহত-২

ছেলের জানাযার নামাজে হাসপাতালের বিল পরিশোধে পিতার আকুতির সাড়া দিলেন - বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক

শৈলকুপায় দিলীপ-সাধনা দম্পতির বাড়িতে শোকের মাতম

দিল্লি বসে হাসিনার কোনো নসিহত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না

কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে - সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের তৃতীয় দিনেও লঞ্চ ও ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও বাজার নিরাপত্তায় টহল জোরদার

নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশার কিছু নেই - তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

মোরেলগঞ্জে শত বছরেও গড়ে ওঠেনি বিনোদন কেন্দ্র,পানগুছির তীরই ভরসা স্হানীয়দের

গাজীপুরে অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রাইভেট কার চালকের

চৌদ্দগ্রামে নদী-খাল দখলমুক্ত করতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের মানববন্ধন

মার্চ মাসে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৮ ভুল তথ্য শনাক্ত

ঈদের দীর্ঘ টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে বান্দরবানে

সাড়ে ১৫ বছরে আমরা যা পারিনি তোমরা তা করে দেখিয়েছ

মুকসুদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৩৫, ৮টি বাড়ী ভাংচুর

ইয়েমেনে নতুন হামলায় নিহত ৪, আরকটি বিমানবাহী জাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

টিকটক করার সময় ট্রেনের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে ২ যুবক নিহত

তারেক রহমানের নেতৃত্বে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে: এ্যানি

আগে মুসলিমদের সঙ্গে আচরণের প্রভাব স্বীকার করা উচিত ভারতের: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য