সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-১
১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ এএম

সম্রাট আকবরের মৃত্যু হলো। মুঘল নিয়মে ক্ষমতায় বসলেন তার জ্যেষ্ঠপুত্র শাহজাদা সেলিম। পুরো নাম মির্জা নূরউদ্দিন বেগ মোহাম্মদ খান সেলিম জাহাঙ্গীর। ১৬০৫ সালে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হওয়ার সময় তিনি ‘নূরউদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বাদশাহ গাজী’ উপাধি গ্রহণ করেন। এ কারণে ক্ষমতায় আসার পর যুবরাজ সেলিম জাহাঙ্গীর নামেই অধিক পরিচিত হন। অল্প বয়সেই ফারসি, তুর্কি ও হিন্দি ভাষা এবং গণিত, ইতিহাস, ভূগোলসহ নানা বিষয়ে পাঠগ্রহণ করেন। যোগ্য শিক্ষকদের পরিচর্যায় শাহজাদা সেলিম বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হন। কাব্যপ্রতিভা প্রস্ফুটিত হয় কৈশোরেই। সামরিক প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা তাকে আগামীর সম্রাট হিসেবেই হাজির করেছিলো। ১৫৮১ সালে তার নেতৃত্বে কাবুল অভিযান সাফল্যের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। বিচারিক ও সাংস্কৃতিক সাংগঠনিকতায় তার দক্ষতার পরীক্ষাও নেওয়া হলো। বিচার বিভাগ ও রাজকীয় উৎসবের কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। বিবেচনা ও বুদ্ধিমত্তা এবং নেতৃত্বগুণ প্রদর্শন করেন তিনি। ১৫৭৭ সালে দশ হাজারী মনসব লাভ করেন। ১৫৮৫ সালে লাভ করেন ১২ হাজারী মনসব।
আকবরের ছিলো তিন সন্তান; সেলিম, মুরাদ ও দানিয়েল। সেলিম সবার বড়। যোগ্য হলেও আয়েশী ছিলেন তিনি। বেয়াড়া আচরণ ছিলো তার মধ্যে। ফলে আবুল ফজলের মতো দরবারি প-িতরা তার প্রতি ছিলেন রুষ্ট। মুরাদ ছিলেন অধিক মাত্রায় পানাসক্ত। মারা যান অতিরিক্ত মদপানের কারণে। আকবরের সুদৃষ্টি ছিলো ছোট ছেলে দানিয়েলের প্রতি, যা সেলিমকে ধন্দে ফেলে দেয়। সিংহাসন ছোট ভাইয়ের হাতে চলে যাবার শঙ্কা দেখা দেয় তার মনে। এই শঙ্কা নিয়ে পিতার মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইলেন না সেলিম। আকবরের জীবদ্দশাতেই তিনি বিদ্রোহের জন্য তৈরি হলেন।
আকবর যখন দাক্ষিণাত্যে ব্যস্ত, ক্লান্ত, সেলিম তখন এলাহাবাদে উড়িয়ে দিলেন স্বাধীন রাষ্ট্রের পতাকা। নিজ নামে চালু করলেন মুদ্রা। বিতরণ করতে থাকলেন জায়গীর। তার মোকাবেলায় বৃদ্ধ আকবরকে পেরেশান থাকতে হয় ১৬০১ থেকে ১৬০৪ সাল পর্যন্ত।
সেলিমের বিদ্রোহ দমনের নানা চেষ্টা অব্যাহত থাকে। মানসিংহ চেষ্টা করেন সেলিমের পুত্র খসরুকে আকবরের উত্তরাধিকারী নির্বাচনের জন্য। সেটা সেলিমকে বিচলিত করে। পিতার কাছে আত্মসমর্পণই তার নিয়তি হয়ে উঠে। তিনি আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু আকবর কি তাকে রেহাই দেবেন? রেহাই দিতে হলো নিয়তির চাপে। দানিয়েল অল্পবয়সে মারা গেলেন। শোকে কাতর ও বিপন্ন সম্রাট সেলিমকে বুকে নিলেন। ক্ষমা করে দিলেন। এরপর মাত্র কিছু দিন। আকবর নিরাময়হীন অসুখে শয্যাশায়ী হলেন। ১৬০৫ সালের ২৫ অক্টোবর মারা গেলেন তিনি। এর আগে সেলিমকেই তিনি পরবর্তী মুঘল সম্রাট হিসেবে নিশ্চিত করলেন। সেলিম সম্রাট হয়ে রাজ্য বিস্তারের নীতি গ্রহণ করলেন।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনের দায়ে ৩ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কর্মি আটক

বেগম খালেদা জিয়া যে হাতটা উড়াইবো এই হাতের পক্ষে ৮০ পার্সেন্ট সিট পাবে- এডভোকেট ফজলুর রহমান

ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে- শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম

সপ্তাহে কর্মদিবস হবে ২ দিন, ভবিষ্যদ্বাণী বিল গেটসের

রাজবাড়ীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

কলাপাড়ায় জালপাতাকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলা, গুরুতর আহত-২

ছেলের জানাযার নামাজে হাসপাতালের বিল পরিশোধে পিতার আকুতির সাড়া দিলেন - বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক

শৈলকুপায় দিলীপ-সাধনা দম্পতির বাড়িতে শোকের মাতম

দিল্লি বসে হাসিনার কোনো নসিহত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না

কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে - সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের তৃতীয় দিনেও লঞ্চ ও ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও বাজার নিরাপত্তায় টহল জোরদার

নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশার কিছু নেই - তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

মোরেলগঞ্জে শত বছরেও গড়ে ওঠেনি বিনোদন কেন্দ্র,পানগুছির তীরই ভরসা স্হানীয়দের

গাজীপুরে অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রাইভেট কার চালকের

চৌদ্দগ্রামে নদী-খাল দখলমুক্ত করতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের মানববন্ধন

মার্চ মাসে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৮ ভুল তথ্য শনাক্ত

ঈদের দীর্ঘ টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে বান্দরবানে

সাড়ে ১৫ বছরে আমরা যা পারিনি তোমরা তা করে দেখিয়েছ

মুকসুদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৩৫, ৮টি বাড়ী ভাংচুর