সম্রাট জাহাঙ্গীর : রূপান্তরের বাদশাহী-২
১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম

মেবার অঞ্চলে ১৫৯৭, ১৬০৮ ও ১৬১৩ সালে পরপর তিনবার আক্রমণ করলেন। অজেয় ও বিদ্রোহপ্রবণ এলাকাগুলো বশীভূত হলো। দাক্ষিণাত্য ও পূর্ব ভারতে প্রতিষ্ঠা করলেন আধিপত্য। কিন্তু তাকে ধাওয়া করছিলো অভিজাতদের বিদ্রোহ, একের পর এক। জাহাঙ্গীরের শাসনের আকাশকে প্রথম দিকে অন্ধকার করে রাখে এই সঙ্কট।
সম্রাট জাহাঙ্গীর বিয়ে করেন মাত্র ১২ বা ১৫ বছর বয়সে। তার মামা রাজা ভগবান দাসের কন্যা মনা বাঈ ছিলেন তার স্ত্রী। ১৫৮৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হিন্দু ও মুসলিম রীতির সমন্বয়ে বিপুল আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে ‘শাহবেগম’ উপাধি দিয়ে মনা বাঈকে বিয়ে করেন তিনি। তারই হতভাগা সন্তান ছিলেন শাহজাদা খসরু। জাহাঙ্গীর বিদ্রোহ করেছিলেন তার পিতার বিরুদ্ধে। খসরু বিদ্রোহ করলেন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। এই সঙ্ঘাত সইতে না পেরে ৩৫ বছর বয়সে অতিরিক্ত আফিম খেয়ে আত্মহত্যা করেন মনা বাঈ। ১৬০৪ সালের এই ঘটনা জাহাঙ্গীরকে অত্যন্ত ব্যথিত করে। চারদিন পর্যন্ত তিনি কোনো প্রকার খাদ্য ও পানীয় স্পর্শ করেননি। ১৮ বছর বয়সে খসরু এমন বহু দক্ষতার অধিকারী ছিলেন, যা তার পিতা ছিলেন না। খসরু ছিলেন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, সাহসী, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিভাবান সেনাপ্রধান। সম্রাট আকবর, মানসিংহ, ভগবান দাস, খান-এ-খানান, জাহাঙ্গীরের সৎ মাতা রুকাইয়াহ বেগম ও সেলিমা বেগম পর্যন্ত খসরুকে সিংহাসনে বসাতে চেয়েছিলেন। খসরু প্রথমে অনাগ্রহী হলেও একসময় তার মধ্যে উচ্চাভিলাস জেগে ওঠে। জাহাঙ্গীর সম্রাট হবার পরে খসরু প্রায় বন্দী জীবন কাটাতে বাধ্য হন। আগ্রার দুর্গে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতে পারলেও দুর্গের বাইরে যাবার অনুমতি তার ছিল না। কিন্তু সেকেন্দ্রাতে পিতামহ আকবরের সমাধি দেখার অনুমতি নিয়ে ১৬০৬ সালের ৬ এপ্রিল ৩৫০ জন ঘোড়সওয়ার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন খসরু। এরপর মথুরা হয়ে লাহোরে যান। সেনাবাহিনী গঠন করেন, করেন বিদ্রোহ। জাহাঙ্গীরের বাহিনীর হাতে মার খান লাহোরে। তারপর দিল্লী আক্রমণের অভিপ্রায়ে চেনাব নদী পার হওয়ার সময় নিজের লোকের হাতেই খসরু বন্দি হন। খসরুকে করা হয় বন্দি ও অন্ধ। ১৬২২ সালের জানুয়ারি মাসের এক রাতে নিহত হন খসরু। এতে জনতা আক্রোশে ফেটে পড়ে। এ মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয় খসরুর ভাই খুররমকে, কিন্তু তিনিও জাহাঙ্গীরের জীবনের শেষভাগে বিদ্রোহ করেন। এসবের মূলে ছিল অভিজাতদের উসকানি, যার মোকাবেলা করতে জাহাঙ্গীরকে মনোযোগ ও শক্তির বিপুল অংশ ব্যয় করতে হয়েছে।
বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

বগুড়ায় পুলিশ কর্মকর্তার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরনের দায়ে ৩ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কর্মি আটক

বেগম খালেদা জিয়া যে হাতটা উড়াইবো এই হাতের পক্ষে ৮০ পার্সেন্ট সিট পাবে- এডভোকেট ফজলুর রহমান

ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে- শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম

সপ্তাহে কর্মদিবস হবে ২ দিন, ভবিষ্যদ্বাণী বিল গেটসের

রাজবাড়ীতে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

কলাপাড়ায় জালপাতাকে কেন্দ্র করে অতর্কিত হামলা, গুরুতর আহত-২

ছেলের জানাযার নামাজে হাসপাতালের বিল পরিশোধে পিতার আকুতির সাড়া দিলেন - বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্প বিষয়ক সম্পাদক

শৈলকুপায় দিলীপ-সাধনা দম্পতির বাড়িতে শোকের মাতম

দিল্লি বসে হাসিনার কোনো নসিহত বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না

কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে - সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঈদের তৃতীয় দিনেও লঞ্চ ও ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও বাজার নিরাপত্তায় টহল জোরদার

নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশার কিছু নেই - তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

মোরেলগঞ্জে শত বছরেও গড়ে ওঠেনি বিনোদন কেন্দ্র,পানগুছির তীরই ভরসা স্হানীয়দের

গাজীপুরে অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রাইভেট কার চালকের

চৌদ্দগ্রামে নদী-খাল দখলমুক্ত করতে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের মানববন্ধন

মার্চ মাসে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ২৯৮ ভুল তথ্য শনাক্ত

ঈদের দীর্ঘ টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে বান্দরবানে

সাড়ে ১৫ বছরে আমরা যা পারিনি তোমরা তা করে দেখিয়েছ

মুকসুদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৩৫, ৮টি বাড়ী ভাংচুর