রুমানা আহমেদ সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন গত বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে। আরেক অভিজ্ঞ নারী ক্রিকেটার জাহানারা আলমকে সর্বশেষ জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা গেছে গত বছরের মে মাসে। আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় শুরু হতে যাওয়া মেয়েদের এশিয়া কাপের জন্য ঘোষিত দলে রাখা হয়েছে দুজনকেই।
কদিন আগে শেষ হওয়া মেয়েদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন রুমানা। লিগের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দল মোহামেডানের হয়ে ৬ ইনিংসে ব্যাট করা রুমানা ২৪১ রানের পাশাপাশি ৯ ইনিংসে বল করে উইকেট নিয়েছেন ১৭টি। আবাহনীর হয়ে খেলা জাহানারা ৯ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার ছিলেন। নারী ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ জানিয়েছেন, দুজনের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পারফরম্যান্স তাঁদের কাজটা সহজ করে দিয়েছে।
বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় সাজ্জাদ আহমেদ দুজনের পেশাদার মানসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, ‘রুমানা ও জাহানারার ব্যাপারে একটা জিনিসই বলব, ওরা প্রায় এক বছর দলের বাইরে ছিল। আমাদের মেয়েদের ক্রিকেটে জাতীয় দলের বাইরে অনুশীলন করার সুযোগ-সুবিধা খুব কম। এরপরও ওরা যে এই লেভেলের ফিটনেস ধরে রেখেছে, প্রিমিয়ার লিগে পারফর্ম করেছে, এটা সত্যি কথা বলতে গেলে দারুণ ব্যাপার।’ পরে যোগ করেছেন, ‘এটা (প্রত্যাবর্তন) বিশাল ব্যাপার ওদের দুজনের জন্য এবং আমাদের জন্যও। ওদের অভিজ্ঞতা আমাদের দলের জন্য অনেক ইতিবাচকতা নিয়ে আসবে। দলের মধ্যে আমরা এই ভারসাম্যটা রাখতে চেয়েছিলাম। তাদের ভালো করা আমাদের কাজটা সহজ করে দিয়েছে।’
১৫ সদস্যের দল নিয়ে ২৯ জুন থেকে বিকেএসপিতে বিশেষ ক্যাম্প শুরু হবে। সেখানে প্রিমিয়ার লিগে ভালো খেলা ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা নিগারদের। লক্ষ্য আসন্ন এশিয়া কাপ। নির্বাচক সাজ্জাদ আহমেদ এশিয়া কাপে ভালো করার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘এশিয়া কাপে আমাদের দারুণ সম্ভাবনা আছে। প্রথম ম্যাচটা আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ওই ম্যাচটা যদি আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিতে যাই, তাহলে আমাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।’
বাংলাদেশ নারী দল
নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার (সহ-অধিনায়ক), মুরশিদা খাতুন, দিলারা আক্তার, জাহানারা আলম, রুমানা আহমেদ, রিতু মনি, মারুফা আক্তার, স্বর্ণা আক্তার, রাবেয়া খান, সুলতানা খাতুন, রাবেয়া হায়দার, শরিফা খাতুন, ইসমা তানজিম, সাবিকুন নাহার।
স্ট্যান্ডবাই : তাজ নেহার, ফাহিমা খাতুন, সোবহানা মোস্তারি ও পূজা চক্রবর্তী।