স্কটল্যান্ড ০ :১ হাঙ্গেরি

শেষ ষোলোর সহজ সমীকরণ অনুযায়ী দুই দলের গ্রুপের শীর্ষ দুই স্থানে থেকে শেষ করার সুযোগ ছিল কম। তবে ২৪ দলের ইউরো প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থানে শেষ করা চারটি শীর্ষ দলও টিকেট পায় দ্বিতীয় রাউন্ডের।

সেই দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে 'এ' গ্রুপের তলানির দুই দল হাঙ্গেরি ও স্কটল্যান্ড মুখোমুখি রবিবার জার্মানির স্টুটগার্টে মুখোমুখি হয়েছিল।

যেখানে জয়ের কোন বিকল্প ছিলনা দুই দলের সামনে। তবে ম্যাচজুড়ে ম্যাড়মেড়ে ফুটবল খেলা দুই দলের কেউই পাচ্ছিলনা গোলের দেখা । ড্র হলে আগেই ১ পয়েন্টে থাকা স্কটল্যান্ডের খানিক সুবিধা হত প্রথম দুই ম্যাচে পয়েন্টের খাতা খুলতে না পারা হাঙ্গেরির চেয়ে।

তবে নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগোনো ঘটনাবহুল ম্যাচে শেষ মুহুর্তে চমক দেখায় হাঙ্গেরি।গোলের জন্য মরিয়া দলের কোচ মার্কো রসি নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে বদলি নামান কেভিন চোবোথকে।অতিরিক্ত হিসেবে এদিন ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল।অর্থাৎ খেলা গড়ায় মোট ১০০ মিনিটে।আর শততম এবং শেষ মিনিটে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন ২৪ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।

এত লম্বা সময় অতিরিক্ত টাইম দেয়ার কারণ অবশ্য একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।৬৮তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিতে গিয়ে বক্সে স্কটল্যান্ডের গোলরক্ষকের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হাঙ্গেরির ফরোয়ার্ড বার্নাবাস ভার্গা।সংঘর্ষের পর আঘাত বেশ গুরুতর বলেই মনে হয়েছিল। তাকে মাঠেই দেওয়া হয় চিকিৎসা।এ সময় তাকে তার পাশ থেকে পর্দা দিয়ে ঘিরে রেখেছিল খেলোয়াড়েরা।এতে খেলা বন্ধ থাকে অনেকটা সময়। মাঠে চিকিৎসার পর স্ট্রেচারে করে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় ভার্গাকে।

নাটকীয় এই জয়ে গ্রুপে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত হয়েছে হাঙ্গেরির।চার তৃতীয় সেরা দলের একটি হিসেবে নকআউটে যাওয়ার আশায় রয়েছে তারা।

আসরে ছয় গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দল যাবে নকআউটে। সঙ্গে গ্রুপে তৃতীয় হওয়া সেরা চার দল পাবে শেষ ষোলোর টিকেট।

১ পয়েন্ট পাওয়া স্কটল্যান্ড বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। এখন পর্যন্ত আটবার বিশ্বকাপ ও চারবার ইউরোতে খেলেও নট নকআউট পর্বের টিকিট কখনো পায়নি  স্কটিশরা।