চলতি ইউরোপে যেন সাম্প্রতিক বছরগুলোর বিবর্ণতা ঝেড়ে ফেলে পুরোন রুপে ফিরল জার্মানি।রক্ষণে দুর্ভেদ্য,মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ,ধারাবাহিকভাবে গোছানো আক্রমণ, আধিপত্য বিস্তার -পুরোনো সব বৈশিষ্ট্য  যেন ফিরে এসেছে নাগালাসম্যানে শিষ্যদের খেলায়।তাতেও সাফল্যও আসছে ধারবাহিকভাবে।ডের্নমার্কের প্রতি আক্রমণ, ব্রজপাত সব সামলে অনায়াস জয়ে জার্মানি উঠে গেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।

ডর্টমুন্ডের সিগন্যাল ইদুনা পার্কে ইউরো শেষ ষোলোয় ডেনমার্ককে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটের টিকেট কেটেছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।প্রথমার্ধে  বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি জার্মানরা।তবে দ্বিতীয়ার্ধে দ্রুতই পেয়ে যায় গোলের দেখা।স্পটকিক থেকে গোল করেন কাই হাভার্টজ।খানিক পরেই ব্যবধান বাড়ান জামাল মুসিয়ালা।

তবে বল দখল ও আক্রমণে এদিন জার্মানি থেকে খুব বেশি পিছিয়ে ছিলনা ডেনমার্ক।তবে তাদের আক্রমণে ছিলনা ধার।জার্মানির ৫৫ শতাংশ বল দখলে রেখে ১৫টি শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখে জার্মানি।ডেনিশদের ১১ শটের দুইটি ছিল লক্ষ্যে।

বিরতি পর  অবশ্য প্রথম গোলের দেখা পেতে পারত ডেনমার্ক। ৪৮ তম মিনিটে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের ফ্রি কিক থেকে জার্মান রক্ষণে জটলার মধ্যে বল পান ডিফেন্ডার জোয়াকিম অ্যান্ডারসেন। বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠালেও ভিএআর চেকে গোল ঠেকেনি। কারণ ডেনিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার টমাস ডেলানি অফসাইড ছিলেন।

অ্যান্ডারসেনর সেই হতাশা তিন মিনিট পর আরও বাড়ে 

বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করে পেনাল্টি দিয়ে বসলে।স্পটকিকে জাল খুঁজে নিতে ভুল করেননি হাভার্টজ।মিনিট ছয়েক দারুণ এক আক্রমণে বক্সে ঢুকে নিয়েছিলেন শটও,তবে ফিনিশিং ঠিকঠাক না হওয়ায় পাননি গোলের দেখা।

এর খানিক পরেই দারুণ নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ান মুসিয়ালা, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় জার্মানি।শোলটারবেকের লম্বা পাস ধরে ডেনিশ রক্ষণ ভেঙে গোল করেন জার্মান তারকা।

এরপর বাকি জার্মানি আরও গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে।অন্যদিকে মরিয়া আক্রমণে গিয়েও  ব্যবধান কমাতে পারেনি ডেনমার্ক।

সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে জার্মানি খেলবে স্পেন-জর্জিয়া ম্যাচের বিজয়ীর বিপক্ষে।