কুমিল্লার তিতাস উপজেলা শিক্ষা অফিসার লাায়লা পারভীন ভানুকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাগন।

গতকাল সকালে উপজেলা পরিষদ প্রবেশ পথে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানবন্ধনে প্রায় ৩শ’ শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তব্য রাখেন জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাখাওয়াত হোসেন, বাতাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আক্তার হোসেন, গাজীপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান, উলুকাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন, মধ্যবন্দরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লুবনা মরিয়ম জামান। বক্তারা বলেন, তাদের ২০-২৫ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এ ধরণের বদমেজাজি শিক্ষা অফিসার কখনো দেখেননি। শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানু শিক্ষার্থীদের সামনেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে অসদাচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে থাকেন, এই অফিসার এখানে থাকলে শিক্ষার মান দিন দিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। কারণ এই অসদাচরণের কারণে শিক্ষকদের মন মরা হয়ে থাকতে হবে, সুতরাং শিক্ষকরাই যদি ভাল থাকতে না পারে তাহলে শিক্ষার্থীদের কিভাবে ভাল রাখবে আর ভাল পড়াবে। পড়াশোনার মানোন্নয়ন করতে হলে দ্রুত তাকে অপসারণ করতে হবে বলে শিক্ষকরা দাবি জানান।

এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন ভানু বলেন, আমি আসার আগে শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে থাকতেন না, বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজগুলো সঠিকভাবে করতেন না। আমি তিতাসে যোগদানের পর থেকে এসব বিষয়ে কোনো প্রকার সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে শিক্ষক নেতারা মিথ্যাচার করছে। এছাড়াও শিক্ষকদের উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে আসেন গবেষণা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ভূঞা। উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপস্থিত শিক্ষকদের লিখিতভাবে গণশুনানি নেন তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগে তিনি উপস্থিত অভিযোগকারী শিক্ষকদের শপথ বাক্য পাঠ করান, যাতে সকলেই সত্য বলি এবং মিথ্যা না লিখি।

এ সময় ৭৯ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা লিখিত শুনানি পেশ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ভূঞা বলেন, আমি তদন্তে এসেছি, অভিযোগকারী শিক্ষকদের লিখিত বক্তব্য নিয়েছি, আমরা অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো, ওনারা সিদ্ধান্ত দিবেন।