চার দিনের ভারীবষর্ণে বিপাকে বরগুনার তরমুজ চাষিরা
২৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:০০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৩৮ এএম
উপকূলীয় জেলা বরগুনায় গত চারদিনের ভারিবর্ষণে বিপাকে পড়েছেন তরমুজ চাষিরা। বৃষ্টির পানিতে তরমুজের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। শিলা বৃষ্টির কারণে সিংহভাগ তরমুজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট চাষিরা। অতিবৃষ্টির কারণে তরমুজের গাছ ও ফসল পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। জানা গেছে, এ বছর বরগুনায় ১৫ হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবছর এ জেলায় তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। অনেক খেতের তরমুজ বড় হয়েছে। দুই এক সপ্তাহের মধ্যেই কাটার উপযোগী হবে। কিন্তু হঠাৎ এমন বৃষ্টি তরমুজ চাষিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক ক্ষেত। তরমুজ চাষিরা তরমুজ ক্ষেতের পানি নিষ্কাষনের প্রাণপন চেষ্টা চালাচ্ছেন। অন্যদিকে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় শিলাবৃষ্টি হওয়ায় তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন এক তরমুজ চাষি।
বরগুনা সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী গ্রামের তরমুজ চাষি সিদ্দিকুর রহমান জানান, তরমুজের ক্ষেতে বর্তমানে পানি জমে তরমুজ গাছের গোড়ায় কিছুটা পচন ধরছে। তবে যাতে গাছের গোড়া পচে না যায় সেজন্য পচনরোধক ওষুধ ব্যবহার করছি। আর ফলনেও পচন ধরার কিছু আশঙ্কা আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এখনও ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা যাবে। তবে বৃষ্টি যদি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হয় তাহলে অনেক ক্ষতি হবে। তিনি ১০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন।
বরগুনা সদরের এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের উরবুনিয়া গ্রামের কৃষক ছিদাম জানান, পানিতে ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পানি নিষ্কাষনের জন্য সেচ মেশিন লাগিয়েছি। তাছাড়া শিলাবৃষ্টিতে ক্ষেতের বড় তরমুজ ছোট কড়া যা আছে তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছি। খাওয়া ঘুম নাই এখন তরমুজ ক্ষেত নিয়াই চিন্তায় আছি।
বরগুনার আর এক উপজেলা আমতলীতেও তরমুজ চাষিদের একই অবস্থা। আমতলীতে এ বছর ৬ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।
আমতলীর তরমুজ চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে তরমুজের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। তারা পানি নিষ্কাশনে কাজ করছেন। বৃষ্টি স্থায়ী হলে তরমজের গাছ ও ফলন পচে যাওয়ার সম্ভবনা আছে বলে জানান তারা।
গাছ ও তরমুজ পচে গেলে বরগুনার তরমুজ চাষিদের কয়েক শত কোটি টাকা ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন তরমুজ চাষিরা। পথে বসে যাবেন হাজার হাজার কৃষক।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম জানান, বৃষ্টিতে ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তরমুজ চাষিদের পানি নিষ্কাশনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এস এম বদরুল আলম জানান, বৃষ্টির কারণে তরমুজের তেমন কোনো ক্ষতির বিবেচনা করি নাই। কারণ রবি মৌসুমে তরমুজে অনেক সেচ দরকার হয়। যদি পানি না জমে কোনো তরমুজের কোনো ক্ষতি হবে না। যদি আরও বৃষ্টি হয় তবে ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃষকদের পরামর্শের জন্য মাঠপর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রয়েছেন।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
গাছে গাছে আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক
ঈশ্বরগঞ্জে মহাসড়কে কাঁচাবাজার
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্রসহ আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার