যকৃৎ প্রতিস্থাপনে বছরে ভারতে যায় ৫শ’ রোগী
২০ জুন ২০২৩, ১০:৫২ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
যকৃৎ অকার্যকর হয়ে প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে রোগে মৃত্যুর অষ্টম কারণ এটি। দেশে প্রতি বছর চার থেকে পাঁচ হাজার রোগীর যকৃৎ প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজনীয়তা দেখ দেয়। কিন্তু দেশে সেই সুযোগ না থাকায় এ ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে তারা বঞ্চিত হন। তবে যকৃৎ প্রতিস্থাপনে প্রতি বছর ৪০০ থেকে ৫০০ মানুষ প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে থাকেন। দেশে এই সুবিধা পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে পারলে যকৃতের উন্নত চিকিৎসায় মানুষে বিদেশে যেত হতো না।
গতকাল রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব তথ্য জানান শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হেপাটোবিলয়ারি এন্ড প্যানক্রিয়েটিক সার্জারি বিভাগের সহকারী প্রফেসর ডা. শাওন শাহরিয়ার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলয়ারি এন্ড প্যানক্রিয়েটিক সার্জারি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. জুলফিকার রহমান খান। শহীদ সোহরাওার্দী মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. মাকসুদুল আলমের সভাপতিত্ব আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ’র লিভার বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর সেলুমির রহমান, মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ভারতে গিয়ে এক জন রোগীর যকৃৎ প্রতিস্থাপনে কমপক্ষে এক কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। একটু ভাল হাসপাতালে করলে সেটা দেড় কোটি ছড়িয়ে যায়। অথচ দেশের সরকারি হাসপাতালে এই সেবা চালু করা সম্ভব হলে এক বছরের ওষুধের মূল্য সহ মাত্রা ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকায় যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা সম্ভব। তারা বলেন, যকৃৎ প্রতিস্থাপনের পরে একজন রোগী সুস্থভাবে ৫ থেকে ১০ বেঁচে থাকতে পারে। বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দু’জন বিশেষজ্ঞ হেপাটোবিলয়ারি এন্ড প্যানক্রিয়েটিক সার্জান রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আছে একটি প্রশিক্ষিত দল। এখন অনুমোদন পেলে তারা সরকারি হাসপাতালেই এই চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করতে পারেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়
কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার
মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ
গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই
নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন
গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন
চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে
নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা
আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন