হালদায় সনাতনী পদ্ধতিতে রেনু ফুঠানোর কাজে ব্যস্ত ডিম সংগ্রহকারীরা
২০ জুন ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটজ হালদার নদী থেকে সংগৃহীত ডিম থেকে সনাতনী পদ্ধতিতে রেনু ফুঠানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে ডিম সংগ্রহকারীরা। সংগৃহীত ডিমগুলো আজ হয়তো রেনুতে পরিণত হতে পারে।
এই মৌসুমে হাটহাজারী ও রাউজান সংগৃহীত ডিমের পরিমাণ ১১,৯৯০ কেজি হবে বলে জানা যায়। গত শনিবার অমাবস্যার ‘জো’, বৃষ্টি ও মেঘের গর্জনসহ পাহাড়ি ঢল হালদার প্রবেশ করলে গত রোববার দফায় দফায় নমুনা ডিম দিলেও রাতের দিকে পুরোদমে ডিম ছাড়ে মা মাছ। পরের দিন গত সোমবার জোয়ার পর্যন্ত ডিম সংগ্রহ করেছে ডিম সংগ্রহকারীরা। এবার প্রচুর পরিমাণ ডিম পাওয়া গেলেও ডিমগুলো রাখার পর্যাপ্ত হ্যাচারি না থাকায় বহুডিম নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। হালদা নদীর নয়া হাট থেকে শুরু করে সত্তার ঘাট এলাকা পর্যন্ত বিভিন্ন স্পটে ডিম আহরণ করা হয়।
হাটহাজারীতে মোট ৩টি হ্যাচারিতে ডিম থেকে রেনু ফুঠানোর কাজ করে যাচ্ছে ডিম সংগ্রহকারীরা। কুয়ার পানি পরিবর্তন করে ডিম থেকে রেনু ফুটিয়ে তারপর পোনায় রুপান্তরিত করবে। এদিকে গতকাল রাত থেকে রেনুগুলোকে খাবার দেওয়া হবে। খাবারের মধ্যে রয়েছে গরুর খাঁটি দুধের সাথে ডিমের কুশুম মিক্সার করে খাদ্য প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা।
অপর দিকে হ্যাচারী ভিত্তিক দায়িত্বরত মৎস্য কর্মকর্তা ও ডিম সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে হাটহাজারীর মাছুঘোনা হ্যাচারিতে ৫০টি কুয়ায় ২৪০ বালতি। যার পরিমাণ হবে ২ হাজার ৪০০ কেজি। শাহ মাদারি হ্যাচারিতে ৪৫টি কুয়ার মধ্যে ১৯০ বালতি, যার পরিমাণ ১ হাজার ৯০০ কেজি, মদুনাঘাট হ্যাচারিতে, ৩০টি কুয়াতে ১৫৯ বালতি ডিম পাওয়া যায়, যার পরিমাণ ১ হাজার ৫৯০ কেজি। আই, ডি, এফ হ্যাচারিতে মোট ১৫টি কুয়াতে ১৩০ বালতি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে যার পরিমাণ ১৩০০ কেজি। এই নিয়ে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলায ডিম সংগ্রহকারীরা মোট ৭২০ বালতি ডিমে সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে হ্যাচারি ছাড়াও রয়েছে ১০৭ টি পাবলিক মাটির কুয়া। এই কুয়ার মধ্যে রাউজান উপজেলায় বিভিন্ন ডিম সংগ্রহকারীরা ৭৮টি মাটির কুয়াতে রেনু ফোটানোর কাজ করে যাচ্ছে।
এ ছাড়া আই, ডি এফ, এর অর্থায়নে প্রায় ১৫ জন ডিম সংগ্রহকারীদের ২টি করে ৩০টি পাখা কুয়া নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। রাউজান এলাকার ডিম সংগ্রহকারীরা মোট ছয় হাজার ১০০ কেজি ও হাটহাজারী এলাকার পাঁচ হাজার ৮০০ কেজি, সবমিলে ১১,৯৯০ কেজি হবে বলে জানান ডিম সংগ্রহকারীরা। প্রতি বালতিতে পানিসহ ১০ কেজি করে ডিম পাওয়া যায়।
এই মৌসুমে হালদা নদীর পানি বেশি দিন লবনাক্ত থাকায় ডিম দিতে পারেনি মা মাছ। তাই ডিমগুলো নদী থেকে আহরণ করার পর সামান্য পরিমাণ ডিম নিয়ে কি পরিমাণ লবণাক্ত পানিতে রেনু ফুটানো যায় তা পরীক্ষা করে দেখছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণি বিদ্যা বিভাগের প্রধান ডক্টর মঞ্জুরুল কিবরিয়ার নির্দেশে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা করে দেখছেন এবং প্রতি মিনিটে, প্রতি ঘণ্টায় তার একটি রিপোর্ট তৈরি করছে। এদিকে হালদার রেনুর চাহিদা বেশি থাকায় হালদার পোনার মূল্য বেশি হতে পারে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রেনু বা পোনা ক্রেতারা ইতোমধ্যে হালদার পাড়ের বিভিন্ন হ্যাচারিতে আসতে শুরু করেছে। তবে মাছের পোনা কেজি কত করে বিক্রি করা হবে তা এখনো জানা যায়নি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ব্রাইটনের বিপক্ষে আর্সেনালের হোঁচট
টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির
রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান
রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে
৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা
ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ
পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শীতে পশু-পাখিদের যত্ন
মানব পাচার রোধ করতে হবে
মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত
বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে
১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু
লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের
চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম
মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর
জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল