বাগেরহাটের মোংলায় অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক হয়েছে অপহরণকারী। সোমবার বেলা ১২ টার দিকে ক্লাস শেষে মায়ের সাথে বাড়ি ফেরার পথে দ্বিগরাজ বাজারে রাস্তা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে কয়েকজন বখাটে যুবক। রাত সাড়ে ৮টার দিকে চুলকাঠী বাজার এলাকা থেকে মূল অপহরণকারী রাজু বালাকে আটক করে মোংলা থানা পুলিশ।
মোংলা থানা পুলিশ ও ছাত্রীর মা জানান, নিজ বাসা থেকে প্রতিদিন দ্বিগরাজ এলাকার একটি স্কুলে আসতো তার দশম শ্রেনীতে পড়–য়া কন্যা। বেশ কিছুদিন ধরে ওই স্কুল ছাত্রীকে কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে আসছিল বুড়িরডাঙ্গা এলাকার রাজু বালাসহ তার বন্ধুরা। বিষয়টি আসামির অভিভাবকদের অবহিত করে ওই স্কুল ছাত্রীর মা। এতে তারা অরো ক্ষিপ্ত হয়। সোমবার স্কুল ছুটি শেষে মায়ের সাথে বাড়ি ফেরার পথে তার সামনে মেয়েকে জোর পূর্বক অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নেয় রাজুসহ অন্যান্যরা। এসময় মা উদ্ধার করতে গেলে ধাক্কা দিয়ে তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। পরে মোংলা থানা পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে। দিনভর চেস্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে বাগেরহাটের চুলকাটী বাজার এলাকা থেকে মূল অপহরণকারী রবিন্দ্র নাথ বালার ছেলে রাজু বালাকে আটক করা হয়। তার বাড়ি দ্বিগরাজ বুড়িরডাঙ্গা এলাকায়। তার দেয়া তথ্য মতে ওই এলাকার একটি বাসা থেকে স্কুল ছাত্রীকেও উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ছাত্রীর মা পিয়া রায় বাদি হয়ে রাজু বালা, অনিক রায় ও নাঈমসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে সোমবার রাতে মোংলা থানায় অপহরণ মামলা করেঅ। আসামি রাজু বালাকে গতকাল দুপুরে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে অপহরণের সময় ব্যাবহৃত মাইক্রোবাস ও অন্যান্য আসামিদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ সামসুদ্দিন জানান, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের খবর পাওয়া মাত্রই তাকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হয়। অপহরণের ৮ ঘণ্টার মাথায় তাকে উদ্ধার ও মূল অপহরণকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। মাইক্রোবাস ও অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।