ঢাকা উড়াল সড়কে যুক্ত হবে সাভার-আশুলিয়া
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ এএম | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ এএম
ঢাকা উড়ালপথের সঙ্গে যুক্ত হবে ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালপথ। এতে করে সাভারের ইপিজেড থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এক রেখায় যুক্ত হবে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার উড়াল মহাসড়ক। ওঠানামার পথসহ (র্যাম্প) এই পথের মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৮২ কিলোমিটার।
প্রকল্পের নথি থেকে জানা গেছে, ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালপথ প্রকল্পটি সাভার ইপিজেড থেকে আশুলিয়া-বাইপাল-আব্দুল্লাহপুর হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মীয়মাণ ঢাকা উড়ালপথ প্রকল্পটির সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
এই উড়ালপথের মূল সড়কের দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। সঙ্গে র্যাম্পের মোট দৈর্ঘ্য থাকছে ১০.৮৩ কিলোমিটার। এর সঙ্গে যুক্ত হবে নবীনগরের প্রায় দুই কিলোমিটার উড়াল সেতু আর পৌনে তিন কিলোমিটার সেতু।
ঢাকা শহরের উত্তরাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর ও ইপিজেডসংলগ্ন শিল্প এলাকার যানজট নিরসন এবং যোগাযোগব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন করতে ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালপথ নির্মাণ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়।
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২০টি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় পাঁচ-ছয়টি জেলার মানুষ আশুলিয়া-নবীনগর-বাইপাইল হয়ে সহজে ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০টি জেলার আনুমানিক চার কোটি মানুষ এই প্রকল্প বাস্তবায়নে লাভবান হবে।
সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, এই এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শেষে যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। ঢাকাকে মাথার ওপর দিয়েই পার করা যাবে।
যানজটে আটকে থাকতে হবে না। বিশেষ করে পণ্য পরিবহন ও আন্ত জেলা যোগাযোগে ব্যাপক উন্নতি হবে।
মনজুর হোসেন বলেন, দুটি এক্সপ্রেসওয়ে যখন যুক্ত হবে তখন ঢাকার উত্তর-দক্ষিণে কোনো গাড়িকে আর শহরে থামতে হবে না। ঢাকার ভেতর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার জন্য র্যাম্প থাকছে। ফলে যেকোনো জায়গা থেকে এর সুবিধা নেওয়া যাবে।
সমীক্ষায় প্রকল্পের প্রভাবের আলোচনা করতে গিয়ে বলা হচ্ছে, ঢাকা-আশুলিয়া উড়ালপথ প্রকল্পটি সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর ও ইপিজেডসংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফলে তা ওই এলাকায় শিল্প বিকাশে আরো সহায়ক হবে। এই এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মীয়মাণ ঢাকা উড়ালপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। ফলে সাভার, ইপিজেডসংলগ্ন শিল্পাঞ্চল, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হবে। এতে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দ্রুততর হবে। উন্নত ও দ্রুততর যোগাযোগব্যবস্থা সাভার শিল্পাঞ্চলে নতুন নতুন বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। স্থানীয় জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে।
প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে। বাকি অর্থের জোগান দেবে সরকার। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পায়। ঋণের টাকা সময়মতো না পাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হচ্ছে না।
প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, একই সঙ্গে জমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। যেসব জায়গায় জমির কাজ শেষ হয়েছে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় পাইল বসানোর কাজ চলছে। বর্তমানে আশুলিয়ার দিকে কাজ বেশি হচ্ছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়
কালীগঞ্জে ভাইরাল চিতাবাঘ হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার বন বিভাগ ও প্রশাসনে তোলপাড়
আশুলিয়ায় স্ট্যান্ডে চাঁদার দাবীতে হামলার অভিযোগ; আহত-১৩
সউদী আরবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
শুটিংয়ে গিয়ে আপত্তিকর আচরণ করায় নির্মাতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা
সালাম মুর্শেদীর ৪ মামলার জামিন নামঞ্জুর
সম্প্রীতির জন্য রাখাইন রাজ্যে টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অপরিহার্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গবিসাসের নতুন সভাপতি সানজিদা, সম্পাদক ইভা
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
খুবির উৎকর্ষ সাধনে পাশে থাকবে ইরান
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম বদলে হলো ‘যমুনা রেলসেতু’