এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আদ্যোপান্ত
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৪ এএম | আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৪ এএম
যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল করবে এতে। তবে একাংশ খুলে দেওয়ার কারণে এখনই পুরোপুরি সুফল মিলবে না। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক প্রকল্প।
প্রকল্পের নাম: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প।
প্রকল্পের রুট: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী)।
বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান: ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড।
শেয়ারহোল্ডারস: ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (থাইল্যান্ড) ৫১ শতাংশ, চায়না শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো অপারেশন গ্রুপ (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ।
চুক্তি সই: ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি
সংশোধিত চুক্তি সই: ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর
প্রকল্পের মেয়াদ: ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।
প্রাক্কলিত ব্যয়: আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এরমধ্যে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান চায়না এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ৪৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নার (আসিবিসি) সঙ্গে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ মোট ৮৬১ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়। এরই মধ্যে মোট ৩৮২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ছাড় হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য: মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প রয়েছে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
প্রকল্পের ধাপ: প্রথম ধাপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্যে ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।
দ্বিতীয় ধাপ: বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্যে ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার।
তৃতীয় ধাপ: মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্য অবশিষ্টাংশ।
কাজ শুরুর তারিখ: ফর্মাল কন্সট্রাকশন কমেন্সমেন্ট ডেট (সিসিডি) ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি।
কাজ সমাপ্তির তারিখ: ২০২৪ সালের ৩০ জুন।
অর্থনৈতিক প্রভাব: প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ কমবে। এছাড়া জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আবাসিক হোটেলের নামে মাদকের আড্ডা
নোয়াখালীতে মসজিদের ইমাম ও খতিবকে বিদায়ী সংবর্ধনা
খুলনাকে বিদায় করে ফাইনালে মেট্রো
কালিয়াকৈরে চাঁদাবাজের হামলায় চাঁদাবাজ কালামের মৃত্যু
বিরল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত- ১
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়
কালীগঞ্জে ভাইরাল চিতাবাঘ হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার বন বিভাগ ও প্রশাসনে তোলপাড়
আশুলিয়ায় স্ট্যান্ডে চাঁদার দাবীতে হামলার অভিযোগ; আহত-১৩
সউদী আরবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
শুটিংয়ে গিয়ে আপত্তিকর আচরণ করায় নির্মাতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা
সালাম মুর্শেদীর ৪ মামলার জামিন নামঞ্জুর