হরিরামপুরে পদ্মার ভাঙনে দুইশো বছরের পুরোনো বাজার অস্তিত্বহীন
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩৮ পিএম | আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩৮ পিএম
অনবদ্য পদ্মার ভাঙনে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের গোপীনাথপুর ইউনিয়নের দুইশো বছরের পুরোনো বাহাদুরপুর বাজার এখন অস্তিত্বহীন। প্রায় দুইশো বছর আগে দুইশো শতাংশ জমির ওপর বাজারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল বলে জানান এলাকার প্রবীন ব্যক্তিরা।
জানা যায়, প্রায় পঞ্চাশ দশক হতে এ উপজেলায় পদ্মার ভাঙন দেখা দেয়। এতে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৯টি ইউনিয়নই নদী ভাঙনের কবলে পড়ে। তবে গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ভাঙন দেয় সত্তর দশক থেকে। ধারাবাহিক ভাঙনের ফলে ইউনিয়নটির কদমতলী, বড় বাহাদুরপুর ও বজ্রা ভাঙা এই তিনটি গ্রাম সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বাড়ি ঘর জমিজমা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় শতশত পরিবার। এছাড়াও এ ইউনিয়নের উজানপাড়া, ছোট বাহাদুরপুর ও ডেগিরচর এই তিনটি গ্রামের আংশিক পদ্মায় বিলীন হলেও বাকি অংশ বিলীনের শঙ্কায় রয়েছে গ্রামবাসী।
শনিবার বাহাদুরপুর পদ্মাপাড়ে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা ধারাবাহিক নদী ভাঙনে ২০১৮ সালের শেষের দিকে দুইশো বছরেরর পুরাতন বাজারটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। পরবর্তীতে নদী তীরবর্তী পাশেই প্রায় শতাধিক শতাংশ জায়গার ওপর আবার বাজারটি চালু করা হয়। এখনও বাজারসহ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় শতবর্ষী ১৩নং গোপীনাথপুর ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা।
এলাকাটি রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে তীররক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তাতে যেন ভাঙন থেকে শেষ রক্ষা মিলছে না এলাকাবাসীর।
গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ.জে. ড. এম শফিউল্লাহ শফি ইনকিলাবকে জানান, বাজারটি দুইশো বছরের পুরোনো বাজার। এই বাজার প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন সময়ে আমার বংশধরেরাও কিছু জমি দিয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর আগে বাজারটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায়। পরে পাশেই আমাদের জায়গার ওপরেই আবার বাজারটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, বাজার সবই আমাদের জায়গা দান করে দেয়া হয়। ভাঙণ রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও তো মানুষ রক্ষা পাচ্ছে না। এখনও ভাঙছে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন ইনকিলাবকে জানান, ২০১৬ সাল থেকে হরিরামপুরে বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিকভাবে নদী তীরবর্তী রক্ষায় কাজ চলছে। বর্তমানে ধূলশুড়া এলাকায় ১২০০ মিটার কাজ চলছে। এর তিনমাস আগে রামকৃষ্ণপুর থেকে গোপনীনাথপুর উজানপাড়া পর্যন্ত ৪.৫ কি.মি. নদীর তীর থেকে ৫০ মিটার ভেতর পর্যন্ত জিও ব্যাগের কাজ করা হয়েছে। পানি আসায় কাজটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। পানি চলে গেলে বাকি শেষ করা হবে। তবে পানির নিচে জিও ব্যাগ ফেলার কারণে এ পয়েন্ট এ বছর আর ভাঙন দেখা দেয়নি।
তবে পাটুরিয়া ঘাট থেকে গোপীনাথপুর উজানপাড়া পর্যন্ত সিসি ব্লকের মাধ্যমে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের একটা প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কামালপুর সড়কের ব্রিজ ভেঙ্গে মরণফাঁদ চরম দুর্ভোগে পথচারীরা
মেয়েদের ক্রিকেটে যুক্ত হলো যেসব সুযোগ-সুবিধা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, সাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
জকিগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন
যুব এশিয়া কাপজয়ীরা পাচ্ছেন আর্থিক পুরস্কার
আদমদিঘীতে বিএনপি কার্যালয় উদ্বোধন
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে যা জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গোপালগঞ্জে বিএনপির বহিস্কৃত ও আ. লীগ কর্মীদের নিয়ে বিএনপির ২ জেলা কার্যালয়
কালীগঞ্জে ভাইরাল চিতাবাঘ হত্যার ঘটনায় দুইজন গ্রেপ্তার বন বিভাগ ও প্রশাসনে তোলপাড়
আশুলিয়ায় স্ট্যান্ডে চাঁদার দাবীতে হামলার অভিযোগ; আহত-১৩
সউদী আরবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য দুই নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
শুটিংয়ে গিয়ে আপত্তিকর আচরণ করায় নির্মাতার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা
সালাম মুর্শেদীর ৪ মামলার জামিন নামঞ্জুর
সম্প্রীতির জন্য রাখাইন রাজ্যে টেকসই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অপরিহার্য: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গবিসাসের নতুন সভাপতি সানজিদা, সম্পাদক ইভা
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট
খুবির উৎকর্ষ সাধনে পাশে থাকবে ইরান
বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম বদলে হলো ‘যমুনা রেলসেতু’
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের দাবি হরিরামপুর-শিবালয়বাসীর