একজন প্রার্থী কারাগারে থাকলেও রয়েছে ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভাবনা
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯ এএম | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৯ এএম
২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। জমে উঠেছে প্রচার প্রচারনা। উঠান বৈঠক ও জনসমাবেশে ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন প্রার্থীরা।
চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও তিন প্রার্থীর মধ্যে হ্ড্ডাাহাড্ডির লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ৯ প্রার্থীর মধ্যে আবুল বাশার নয়ন মৃধা একটি হত্যা মামলায় এক নম্বর আসামি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন।
আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও প্রচার-প্রচারনায় রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন মৃধা,
আবুল বাশার নয়ন মৃধা, জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা ও আবুল হাসান মৃধা। অপর পাঁচজন প্রার্থী কাঞ্চন আলী মৃধা, জসিম হাওলাদার, শাহজাহার কবির, মুলকুস আক্তার, নিয়াজ মোর্শ্বেদ ইমন মৃধার কোন পোষ্টার ব্যানার ও প্রচারনা নেই। তারা ডামী প্রার্থী হিসেবে তিন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন বলে জানা গেছে। আবুল বাশার নয়ন মৃধা প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার সমর্থক হিরণ গাজী হত্যা মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। তবে তার স্বজনরা প্রচারন প্রচারনা চালাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, কোন কোন প্রার্থী টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করলেও মোতাহার উদ্দিন মৃধা, আবুল বাশার নয়ন মৃধা ও জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটার বলেন, এতো কঠিন নির্বাচন আগে কখনো দেখিনি। তিন প্রার্থীই সমানে সমান। তবে জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা (মোটর সাইকেল) চারটি ওয়ার্ডে একা প্রার্থী হওয়ায় আঞ্চলিকতার প্রভাবে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। অপর তিন প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা (ঘোড়া), আবুল বাশার নয়ন মৃধা (অটো রিক্সা) ও আবুল হাসান একই বংশের লোক। তারা পরস্পর আত্মীয় স্বজন হওয়ায় ভোটাররা দ্বিধা-বিভক্ত। পাঁচটি ওয়ার্ডে দুই প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা ও আবুল বাশার নয়ন মৃধা।
০৯ টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ হাজার ৩শ' ৬৪জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৬শ' ৭৬জন ও মহিলা ভোটার ১১ হাজার ৬শ' ৮৮ জন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, গত ১৩ বছর জনগনের পাশে থেকে সেবা দিয়েছি। ইউনিয়নবাসীর সুখ-দুঃখে পাশে থেকেছি। এসময়ে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করতে পেরেছি। আশা করি জনগন আমার সেবার যথাযোগ্য মুল্য দিবে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। অন্যায় বা অবৈধভাবে কোনোকিছু অর্জন করিনি। আমার বিশ্বাস ভোটাররা আমাকে মূল্যায়ন করবেন এবং আমি বিজয়ী হব। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দুই প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী ভোটারদের মধ্যে টাকা ছড়াচ্ছেন। এ টাকা ছড়ানো বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধার কন্যা মোসাঃ ফারহিন বাসার জিমি বলেন, আমতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে একটি ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে আমাদের পরিবারের সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজন এবং শুভাকাঙ্ক্ষী কর্মী সমর্থকরা বর্তমান চরম হয়রানির শিকার। আমরা স্বাভাবিক প্রচার প্রচারনা চালাতে পারছিনা। আমার পিতা বর্তমানে উদ্দেশ্যমূলক সাজানো ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন। অথচ এ হত্যাকান্ড সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল আমতলী শহর থেকে ৬/৭ কিলোমিটার দুরে। ঐসময় মামলার ০১ থেকে ০৩ নং আসামী আমতলী শহরে অবস্থান করছিলেন। যার প্রমাণ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং মোবাইল কলরেকডিংয়ে রয়েছে। তিনি যাতে নির্বাচন করতে না পারেন সে জন্যই উদ্দেশ্যমূলক হত্যা মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে।
জিমি আরও বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আমতলী ইউনিয়নের বেশিরভাগ খাল দখল করে অবৈধভাবে মাছ চাষ করছেন। এই খালগুলো সাধারন মানুষ ব্যবহার করতে না পারায় আমার বাবা এই খালগুলো উদ্ধার ও জনসাধারনের ব্যবহরের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষনা দেন। এই ঘোষণাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলায় তাকে ১১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার নির্বাচনী অফিস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমান চেয়ারম্যানের প্ররোচনায় প্রকৃত আসামী আড়াল করে আমার বাবাসহ তার কর্মীদের হত্যা মামলায় আসামী করে। এই মামলায় অজ্ঞাত ৪০/৫০ জন আসামী করায় বর্তমানে আমাদের কর্মীরা নির্বিঘ্নে মাঠে প্রচারনা করতে পারছে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন আমাদের কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতারসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমতাবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে জনগনের মাঝে ভয় ভীতি ও সংশয় কাজ করছে। আশা করি জনগন আমার বাবার প্রতি অন্যায়ের জবাব দিবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতেই সকল পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যে প্রার্থী ও তার সমর্থক নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্নিত করবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
লোকসানে দিশেহারা খামারিরা
তাপদাহের সঙ্গে স্বল্প বৃষ্টি
আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কোনো অসম্মান একমুহূর্তও সহ্য করবো না
সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পালিত
যারা আমাদের চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে :ওবায়দুল কাদের
মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আরবিতে দক্ষতা অর্জন করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন : সিপিডি
অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির লক্ষণ
বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল বন্যার আশঙ্কা
ভিয়েতনামে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু
২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আজ বন্ধ থাকবে
বাড়তি ভাড়ায় রেলভ্রমণ আজ থেকে
ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের
তুরস্ককে আন্তর্জাতিক গ্যাস বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করার পথ প্রশস্ত
চাঁদের পথে পাকিস্তানের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন
সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-২
ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-২
ষাঁড় ঝাঁপিয়ে পড়ে দোকানে
নারী সংখ্যাধিক্যের দেশ
চুল রাঙিয়ে বিপাকে
রঙচটা বাস চলছেই