মুসলিম শ্রমিক হত্যায় হিন্দু নেতারা চুপ কেন —মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৮ পিএম | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুন লাগানোর অভিযোগে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের হাতে দুজন মুসলিম শ্রমিক হত্যার শিকার হন। এটিকে ‘আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিহিত করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে, ফরিদপুরের মুসলিম শ্রমিক হত্যার ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় সেখানকার ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন। হাতপা বাঁধা নিরীহ শ্রমিকদের ওপর সে-ই প্রথম আক্রমণ চালায়। এর ধারাবাহিকতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ সংঘবদ্ধভাবে তাদের নৃশংসভাবে পিটিয়ে মারে। একজন দায়িত্বশীল চেয়ারম্যানের উচিত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিয়ে পরিস্থিতিকে সামাল দেয়া। তা না করে নিজেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হল। এটাকে আমরা আধিপত্যবাদী শক্তির স্বার্থে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছি। ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনে আবারও ক্ষমতায় আসতে হিন্দুত্ববাদীরা উগ্র প্রয়াস চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশে হিন্দুর হাতে মুসলমানের লাশ তাদের ভোটারদের আরো উজ্জীবিত করবে সন্দেহ নেই।
তিনি আরো বলেন, মন্দিরে আগুন লাগানোর কোনো প্রমাণ না পেলেও হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত লোক দুজন নিরীহ শ্রমিককে স্রেফ মুসলিম পরিচয়ের কারণে হাতপা বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলল। অথচ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা নির্বিকার! এখন পর্যন্ত তারা কোনো নিন্দা বা প্রতিবাদ জানাননি। যদিও অতীতে মুসলিম সম্প্রদায়ের কেউ রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হলে তারা কখনো প্রতিবাদ বা নিন্দা করেছেন এমন নজির নেই। কিন্তু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জানমাল ও উপাসনালয় আক্রমণের শিকার হলে আমরা সবসময় জোরালো ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে দুর্বৃত্তদের শাস্তির দাবি করে এসেছি। অথচ মুসলিম সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গঠন করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে মৈত্রীর পরিবর্তে একটি স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক দলের তল্পিবাহক হিসেবে তারা সবসময় কাজ করে গেছেন। এটা দুঃখজনক। এভাবে কোনো ধরনের নাগরিক ঐক্য এগিয়ে যেতে পারে না।
আজিজুল হক ইসলামাবাদী আরো বলেন, গত বেশ কয়েক বছরে গণমাধ্যমের অসংখ্য সংবাদে দেখা গেছে, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় হিন্দু যুবকরা ধরা পড়ে। কখনো কখনো স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজনও দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ ঘটনা ঘটার সাথে সাথে মুসলমানদের ওপর কৌশলে দায় চাপানোর রাজনীতি করা হয়েছে। এই অপচর্চা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা স্পষ্ট ভাবে বলছি, ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী ক্ষমতাশালীদের দালালি করে নিজেদের গোষ্ঠীস্বার্থ রক্ষা করা কোন দিন সম্ভব নয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
লোকসানে দিশেহারা খামারিরা
তাপদাহের সঙ্গে স্বল্প বৃষ্টি
আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কোনো অসম্মান একমুহূর্তও সহ্য করবো না
সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পালিত
যারা আমাদের চাপে রাখতে চেয়েছিল, তারাই এখন চাপে :ওবায়দুল কাদের
মাদরাসার শিক্ষার্থীরা আরবিতে দক্ষতা অর্জন করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন : সিপিডি
অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির লক্ষণ
বৃষ্টি-পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত সিলেটের নিম্নাঞ্চল বন্যার আশঙ্কা
ভিয়েতনামে লাখ লাখ মাছের মৃত্যু
২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা আজ বন্ধ থাকবে
বাড়তি ভাড়ায় রেলভ্রমণ আজ থেকে
ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত তুরস্কের
তুরস্ককে আন্তর্জাতিক গ্যাস বাণিজ্য কেন্দ্রে পরিণত করার পথ প্রশস্ত
চাঁদের পথে পাকিস্তানের প্রথম স্যাটেলাইট মিশন
সম্রাট হুমায়ুন : উদারনীতির উদ্যান-২
ফজরের নামাযের দশটি ফযীলত-২
ষাঁড় ঝাঁপিয়ে পড়ে দোকানে
নারী সংখ্যাধিক্যের দেশ
চুল রাঙিয়ে বিপাকে
রঙচটা বাস চলছেই