চায়না দুয়ারি জালে ধরা হচ্ছে পোনা মাছ, ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য সম্পদ ও জলজপ্রাণি!
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পিএম

এস. কে. সোত্তার,
গারো পহাড়ের শেরপুর সীমান্তাঞ্চলের বিশেষ করে ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় সাম্প্রতিক ঢলের পানিতে ভেসে আসা দেশিয় প্রজাতি মাছের পোনা পাওয়া যায় বিলাঞ্চলে। মৎস্য আইনে পোনা মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও এক শ্রেণির মানুষ তা মানছেন না। নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারি জালে নিধন করছে নানা রকম দেশিয় প্রজাতি মাছের পোনা। ফলে ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য সম্পদ ও জলজপ্রাণি। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জলজজীববৈচিত্র্য। এসব বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। অভিঙ্গমহলের মতে শুধু উন্মুক্ত জলাশয় থেকে বর্ষাকালসহ বছরে যে পোনা মাছ ধরা হয় তাতেই সাড়া বছরের স্থানীয় চাহিদা মেটানো সম্ভব হতো যদি পোনা মাছ ধরা বন্ধ করা যেতো। তাছাড়া পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ে চাষের মাছের উপর নির্ভরশীরতাও কমে যেতো। শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদীগুলোতে ভেসে আসা মাছ ও বিলের দেশিয় প্রজাতি মাছের প্রজননকাল। আষাঢ়- শ্রাবণ মাসে নদীতে ঢলে বিলে পানি আসায় এবং পানি বেশি থাকায় পোনা মাছের পোনা বেশি থাকে। মৎস্য প্রজননের এ সময়ে মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও মানেন না কেউ। এসব পোনা মাছ ধরার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠে কিছু অসাধু মৎস্যজীবী। বানা, কারেন্ট জাল ও চায়না দোয়ারী জালসহ বিভিন্ন অবৈধ ফাঁদ পেতে অবাধে নিধন করে মা ও পোনা মাছ। মাছ শিকারের এসব ফাঁদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো চায়না দুয়ারি জাল। মাছের পাশাপাশি চায়না দুয়ারি জালের হাত থেকে রক্ষা পায় না কাঁকড়া, ব্যাঙ, কুইচা, সাপসহ নানা জলজপ্রাণি। এতে ধ্বংস হচ্ছে মৎস্য সম্পদ ও জলজপ্রাণি, হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। উপজেলাগুলোর বিলাঞ্চলে চায়না দুয়ারিসহ অবৈধ ফাঁদ পেতে পোনা মাছ নিধন চলছেই বলে জানা গেছে। এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রয় করছেন স্থানীয় হাট-বাজারে। ঝিনাইগাতী উপজেলার সারি কালিনগর গ্রামের সংবাদকর্মী শান্ত সিফাত ইনকিলাবকে বলেন, প্রতিদিন মাছের বাজারে চায়না দুয়ারি জালে আটকা পড়া টাকি, কই, বোয়াল, ভেদা, শিং, মাগুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছের পোনা বিক্রয় করছেন এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা। উৎসুক হয়ে এসব মাছ কিনছেন অনেকেই। তিনি প্রশাসনের কাছে অবৈধভাবে পোন মাছ শিকার বন্ধের দাবি জানান। ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশ্রাফুল আলম রাসেল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি সামাজিকভাবে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মাছ শিকারের সব ধরনের অবৈধ ফাঁদ বন্ধ করতে পারলে মাছ নিধন ও অন্যান্য জলজপ্রাণি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। উপজেলা প্রসাশন ও মৎস্য বিভাগ মাঝে মধ্যে বিলাঞ্চলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জাল জব্দ করে পুড়িয়েও ফেলা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, মোবাইল কোর্ট দেয়ার পূর্বেই খবর পৌছে যায় বড় বড় জেলেদের কাছে। ফলে জাল তুলে নিয়ে চম্পট দেয় তারা। চুনিপুটিরা জাল ফেলে পালালেও রাঘব বোয়ালরা থেকে যায় ধরাছোয়ার বাইরে। অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার খবর যাতে মৎস্য অফিস থেকে আগেই ফাঁস না হয় তার ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত এই পোনা মাছ নিধন বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে অভিঙ্গমহল মনে করেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি

‘বিদেশি’ আনছে ভারতও!

কর্ণফুলীতে বন্যহাতির আক্রমণে শিশুর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত

ঝিনাইদহে জমে উঠেছে ঈদের বাজার ক্রেতাদের ঝোঁক দেশি পোশাকে

সুশীল বিপ্লবীরা আ.লীগের পুনর্বাসন করতে চায় : রাশেদ খান

ধানমন্ডিতে নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরীরের ৭ সদস্য রিমান্ডে

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৯০% ভোট পেয়ে বিএনপি জয়লাভ করবে : কায়কোবাদ

আপন চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৪ বছরের বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে : মাহমুদুর রহমান মান্না

টিভিতে দেখুন

অমর একুশে হল ছাত্রদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিশ্বকাপে এক পা আর্জেন্টিনার

মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ায় হাফেজ ছেলের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নামাজরত অবস্থায় বাবা নিহত

‘‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ কিংবদন্তি জর্জ ফোরম্যান আর নেই

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে : নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী

৬ এপ্রিল ক্যাম্পে ফিরছেন সাবিনারা

আর্জেন্টিনা ম্যাচে ‘বেকার’ আলিসনও

ইউট্যাবের ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়ার সুস্থতার কামনা

কুস্তির কমিটি নিয়ে ক্ষোভ অব্যহত