ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত শাস্তির বদলে বদলি

যৌন হয়রানির অভিযোগে মোচিকের আইসিটি শিক্ষক স্কুলে ফিরতে আবার মরিয়া কেন?

Daily Inqilab ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সংবাদদাতা :

১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ এএম

যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মোবারকগঞ্জ চিনিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বদলি হওয়া আইসটি শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম আবার স্বপদে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দুইটি তদন্তে তার বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে স্কুল থেকে সরিয়ে আখ ক্রয় কেন্দ্রে বদলি করা হয়। এখন তিনি মোচিক স্কুলে ফেরার জন্য বিভিন্ন স্থানে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা।
তদন্ত সুত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টম্বর মোচিক স্কুলের ছাত্রীরা লম্পট শিক্ষক জাকিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনায় মোচিকের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) হিরণ¥য় বিশ^াসকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে জাকিরুল ইসলাম দোষি সাব্যস্ত হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে গত ৮ সেপ্টম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। গত ১৪ সেপ্টম্বর শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম কারণ দর্শনোর জবাব দেন। গত ১৪ সেপ্টম্বর জাকিরুল ইসলামের জবাব যাচাই বাছাইয়ের জন্য মোচিকের ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মাহফুজুল হককে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। গত ২৫ সেপ্টম্বর জাকিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত কমিটি সুপারিশ করলে কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে একটি আখ ক্রয় কেন্দ্রে বদলি করে। অথচ এক মাস যেতে না যেতেই লম্পট শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম মোচিক স্কুলে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি বিভিন্ন মহলে তদবির করে মোচিক কর্তৃপক্ষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন।
ছাত্রী অভিভাবকরা এই খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানিয়েছেন, যদি লম্পট শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম আবারো মোচিক স্কুলে ফিরে আসে তবে তার দায় দায়িত্ব মোচিক কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।
এ বিষয়ে শিক্ষক জাকিরুল ইসলাম জানান, তিনি ক্লাসে একটি ছাত্রীকে চড় মেরেছিলেন। কোন ছাত্রীর গায়ে হাত দেননি। এই বিষয়টি পুঁজি করে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হচ্ছে এবং স্কুল থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মোচিকের ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) মাহফুজুল হক মঙ্গলবার বিকালে জানান, আইসিটি শিক্ষক জাকিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুই তদন্ত কমিটি যৌন হয়রানির ঘটনা সত্য বলে রিপোর্ট দিয়েছে। এছাড়া স্কুলের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্রী জাকিরুলের বিরুদ্ধে মৌখিক সাক্ষ্য ও লিখিত বক্তব্য দিয়েছে। কাজেই ঘটনাটি সত্য বলে তিনি জানান।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার গ্রেফতার
আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শ্রীমঙ্গলে শুরু হচ্ছে সম্প্রীতি উৎসব “হারমনি ফেস্টিভ্যাল”
আরও

আরও পড়ুন

বাংলাদেশিদের ভিসা কমিয়ে ভারতে বিদেশি রোগী অর্ধেকে নেমেছে

বাংলাদেশিদের ভিসা কমিয়ে ভারতে বিদেশি রোগী অর্ধেকে নেমেছে

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান লুৎফে সিদ্দিকীর

বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ব্রিটিশ ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান লুৎফে সিদ্দিকীর

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার গ্রেফতার

বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার গ্রেফতার

ব্রাইটনের বিপক্ষে আর্সেনালের হোঁচট

ব্রাইটনের বিপক্ষে আর্সেনালের হোঁচট

টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির

টানা দ্বিতীয় জয়ে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত সিটির

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রিকেলটনের মহাকাব্যিক ইনিংস,রান পাহাড়ের চাপে পাকিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

রহমতের লড়াকু সেঞ্চুরিতে জয়ের স্বপ্ন দেখছে আফগানিস্তান

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের