বগুড়ায় শীতে স্থবির জনজীবন, বেড়েছে শীত বস্ত্রের বিক্রি

Daily Inqilab বগুড়া ব্যুরো

০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম

পৌষের শেষ প্রান্তিকে এসে বগুড়ায় তীব্র শীত পড়েছে। বৃহস্পতিবার জেলায় তাপমাত্রার পারদ মৌসুমের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। তীব্র শীতে শিশু ও বয়ষ্ক মানুষের শীতজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। রিক্সা, অটোরিকশা চালক,দিনমজুর শ্রেনীর মানুষেরা
নাকাল হয়েছে দারুণভাবে। তবে শীতের কাপড়ের ব্যবসা জমে উঠেছে। ফুটপাতের চায়ের দোকানেও বেড়েছে বিক্রি। নতুন ও পুরাতন শীত বস্ত্র, কম্বল বিক্রেতারা জানিয়েছেন। শীত না পড়লে শীতের কাপড়
বিক্রেতাদের ব্যবসায় লস খেতে হয়।

 

 

বগুড়ার কৃষি বিভাগে যোগাযোগ করে জানাগেছে, শীত মওশুমের প্রধান ফসল গম,আলু,পেঁয়াজের উৎপাদনের জন্য শীত দরকার। তবে দীর্ঘস্থায়ী ঘন কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহ ফসলের জন্য ক্ষতিকর।

 

 

বৃহষ্পতিবার বগুড়া আবহাওয়া অফিসে যোগাযোগ করলে উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, এখন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসেসিয়াস। এটা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামলে তখন তাকে শৈত্যপ্রবাহ বলে। তিনি জানান বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগের দিন সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। তিনি আরও জানান, স্বাভাবিকভাবেই আগামী ২/৩দিন তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।

 

 

ভুক্তভোগী পরিবহন চালকরা জানান, কুয়াশার কারণে রাস্তায় চলার সময় ঘন কুয়াশার কারণে দুই হাত পর পর দেখা যায় না এ কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ধীরগতিতে চলাচল করতে গিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।

 

সকালের দিকে কাজের সন্ধানে বের হওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন। তারা জানান, কাজ না করলে খাওয়া নেই, তাই যত শীত হোক বের হতেই হবে, তবে এখন বাতাস আর কুয়াশা থাকার কারণে কষ্ট হচ্ছে, এখনো কেউ শীত বস্ত্র নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াইনি বলে জানিয়েছেন পরিবহন, নির্মাণ,কৃষি শ্রমিকসহ দিনমজুররা।

 


বিশেষ বেকায়দায় পড়েছেন চরাঞ্চলের মানুষেররা। নদী পেরিয়ে শহরে এসে কাজকর্ম
করতে না পারায় অনেকে অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে তাদের। বিএনপির কিছু নেতা ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে কিছু কম্বল বিতরণ করলেও জেলা
ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা কোথাও শীতবস্ত্র বা কম্বল বিতরণ করেছেন মর্মে খবর
মেলেনি। এনজিওগুলোর তৎপরতা চোখে পড়েনি।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি
‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’
শ্রীমঙ্গলে শুরু হচ্ছে সম্প্রীতি উৎসব “হারমনি ফেস্টিভ্যাল”
রাজশাহীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
আরও

আরও পড়ুন

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আশুলিয়ায় ছাত্র হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আটঘরিয়ায় প্রভাষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

আরব বসন্ত থেকে বাংলাদেশ: স্বৈরাচার মুক্ত নতুন ব্যবস্থার সন্ধানে

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

৫০০ হজ কোটা বহাল রাখতে প্রধান উপদেষ্টার সহায়তা কামনা

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

ফেব্রুয়ারিতে আয়ারল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

পাওনা টাকা ফেরত দিতে বিলম্ব যাওয়ায় পাওনাদার টাকা ফেরত নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে।

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

‘রাষ্ট্র সংস্কার শেষ করে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন দিতে হবে’

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

শীতে পশু-পাখিদের যত্ন

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মানব পাচার রোধ করতে হবে

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

মজলুমের বিজয় ও জালেমের পরাজয় অবধারিত

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

বিনিয়োগ বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

১১৬ বছর বয়সে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

লাদাখে দুই প্রশাসনিক অঞ্চল তৈরী চীনের

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

চিনির নিম্নমুখী বাজারে বিশ্বে কমেছে খাদ্যপণ্যের দাম

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

মার্কিন শপিং সেন্টারে প্রাণ গেল ৫ শতাধিক প্রাণীর

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

জাতীয় ঐক্য এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন: মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দুইদিনে নিহত ১৫০

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক

কালো টাকায় ভাসছে শীর্ষস্থানীয় মার্কিন ৩৬% থিংক ট্যাংক

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক হতাহত, ফের উত্তপ্ত মণিপুর

মাছের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার সীমায় বন্দি হচ্ছেন ভারতীয় জেলেরা

মাছের লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার সীমায় বন্দি হচ্ছেন ভারতীয় জেলেরা