ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রিজার্ভসহ অর্থিক খাতে নজরদারি জরুরি

Daily Inqilab রিন্টু আনোয়ার

১৬ মে ২০২৩, ০৭:৫৯ পিএম | আপডেট: ১৭ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম

ব্যাংক, বীমা বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাধারণ মানুষের সেবার আকাক্সক্ষা এখন একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এরইমধ্যে এ খাতে ভেতরে-ভেতরে হয়রানির কিছু চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, যা সরকারের শীর্ষ মহলকেও নাড়া দিয়েছে। পরিস্থিতির অনিবার্যতায় কেউ হয়রানির ঘটনা শিকার হলে প্রতিকারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের হটলাইন নম্বর ১৬২৩৬-এ ফোন করে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। পরিপত্র জারি করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের কথা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নিজস্ব হটলাইন নম্বর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হটলাইন নম্বরটি দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের এ নিয়ে তেমন কোন গরজ নেই। কারণ, জনতার অন্তহীন ব্যস্ততা এখন দ্রব্যমূল্য, আয়-রোজগার, অসুখ-বিসুখ মোকাবেলা করা নিয়ে। আর আগামী দিনগুলোতে কোনো রকমে বেঁচে থাকা নিয়ে তাদের ভাবনা। তাদের মাথাপিছু আয়, আয়ু, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি, রাষ্ট্রের রিজার্ভ-প্রবৃদ্ধির মতো জটিল হিসাব কষে সরকার। বেশিরভাগ জনগণ এ অংকের ফল জানে সরকারের ঘোষণা বা গণমাধ্যমের কাছ থেকে। তারা সরকারের দেয়া হিসাব কখনো মানে, কখনো মানে না। এছাড়া অর্থনীতির এ হিসাব অধিকাংশ জনগণের কাছে দুর্বোধ্য। নতুন করে এসব অংক বোঝা বা শেখার সময় তাদের নেই। বিশেষ করে রিজার্ভের হিসাবের প্রতি তাদের অনেকের আগ্রহ নেই। তার ওপর গণমাধ্যমে প্রচারিত রিজার্ভের বিপরীতমুখী হিসাব-নিকাষ মানুষকে আরো বিগড়ে দেয়। দেশে রিজার্ভ উপচে পড়ছে ধরনের সংবাদ তারা দেখে। আবার কাছাকাছি সময়ে রিজার্ভের অবস্থা বড় করুণ, এ ধরনের সংবাদও তারা দেখে। রিজার্ভের অংকের হিসাব কম বোঝে বলে তখন তারা এসব হিসাবের দিকে তাকায় না।

গত ৭-৮ মে’র দিকে রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে ২ হাজার ৯৮৩ কোটি ডলারে নেমে আসে। এর কারণ ডলার সঙ্কট ও মন্দা। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) মার্চ-এপ্রিল সময়ে আমদানি বাবদ ১১৮ কোটি ডলার পরিশোধের পর গত ৮ মে রিজার্ভ কমে ২ হাজার ৯৮৩ কোটি ডলারে নেমেছে। দিন দুয়েকের মাঝেই খবরের আপডেটে জানানো হয়, বাংলাদেশের রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। কী এমন ঘটল যে তা বেড়ে গেল? বাংলাদেশ ব্যাংক-এর ব্যাখ্যায় বলেছে, আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেলেও বিদেশ থেকে ডলার আসায় রিজার্ভ আবার ৩০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। তার ওপর যোগ হয়েছে কিছু ঋণ ও অনুদানের অর্থ।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, ২০২০ সাল থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনার ধাক্কায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হু হু করে বাড়তে থাকে। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় ওই সময় সব প্রবাসী আয় বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে আসে। আবার আমদানিও কমে যায়। ফলে ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ বেড়ে প্রথমবারের মতো ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। এরপর ইউক্রেন যুদ্ধ। বিশ্ববাজারে জ্বালানিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। বেড়ে যায় আমদানি খরচ। কিন্তু, সেই তুলনায় প্রবাসী ও রপ্তানি আয় বাড়েনি। পরিস্থিতি সামলাতে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রতিনিয়ত আমদানি দায় মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়। এতে রিজার্ভে টান পড়তে থাকে। এমন সরল হিসাব বোধগম্য।

রিজার্ভ বৃদ্ধির এখনকার তথ্য আমলে নিলে আশাবাদী হতে হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে রিজার্ভ ৩ হাজার ৩৬ কোটি ডলার হলেও এর ৬০০ কোটি ডলার ব্যবহারযোগ্য নয় মর্মে বার্তা দিয়ে আস্দর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ ভেজাল লাগাচ্ছে কেন? আইএমএফ গত মার্চে সর্বনি¤œ ২২ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, যা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগামী জুনে এই লক্ষ্য বাড়িয়ে ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত দিয়ে রেখেছে সংস্থাটি। আগামী সেপ্টেম্বরে নিট রিজার্ভের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে। তার শর্ত পূরণের চেষ্টা সরকার অবশ্যই করবে। কিন্তু হিসাবের অংক ঠিক থাকবে কিনা-এ প্রশ্ন থেকে যায়। দুদিন পর আবার রিজার্ভে খরার অংক এসে হাজির হবে না তো? অর্থনীতি বিষয়ে জ্ঞান না থাকা মানুষ অন্তত এতোটুকু বোঝে, দেশে নগদ টাকার জোগান অব্যাহতভাবে কমছে। বাড়ছে ধার-কর্জ। ব্যাংকগুলোর ভেতরের অবস্থাও ভালো যাচ্ছে না। দিন দিন সঙ্কট বেড়ে চলছে। এ সঙ্কট মেটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক আর সরকারি ব্যাংক পর¯পর দাতা-গ্রহিতা হয়ে গেছে। সঙ্কটে পড়া ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির বিপরীতে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে সমপরিমাণ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। এর পরিনামে এক দিকে নগদ অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে চলে যাচ্ছে। আরেকদিকে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করায় রিজার্ভও কমে যাচ্ছে।

এর মাঝে ঝুলছে আইএমএফের ঋণের কিস্তি ছাড় পেতে নিট রিজার্ভ ২৪ বিলিয়ন ডলারের ওপর রাখার শর্ত। এর বাইরে সরকারি ব্যাংক আর বেসরকারি ব্যাংকের ট্রিটমেন্ট আলাদা। এর পক্ষেও যুক্তি দাঁড় করানো আছে। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে অতি প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটা করতে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খুলতে হয়। কিন্তু সরকারি ব্যাংকগুলো আমদানি দায় মেটাতে সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ করতে পারে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার রিজার্ভ থেকে সরকারি ব্যাংকগুলোকে ডলার সরবরাহ করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে হিসাবের ভিন্নতা চলে আসছে। ভিন্নতা আইএমএফে’র হিসাব-নিকাশেও রয়েছে। তাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে গেলে বাংলা হিসাব পদ্ধতি চলে না। শর্ত হিসেবে আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী নিট রিজার্ভ গণনা করতে হয়। এরইমধ্যে ৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল নামে। আইএমএফে’র হিসাব আমলে নিলে রিজার্ভের যে অংক দেখানো হয়, তা টিকবে না। অংক অনেক কমে যাবে। তা একদম লুকিয়ে রাখা যাবে এমনও নয়। সেই হিসাব অনেকটাই স্বচ্ছ। ডলার সঙ্কট কাটাতে ব্যাংকগুলো নিয়মিত বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদ অর্থে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। সরকারি কেনাকাটার দায় মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্য হয়ে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। এ লেনদেনের হিসাব লুকানো কঠিন। এমন ধার করার প্রবণতা সহসা বন্ধ হয়ে যাবে, এমন লক্ষণও নেই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়ায় অনেক ব্যাংকের নগদ টাকায় টান পড়ার তথ্য এখন ওপেন সিক্রেট। ওইসব ব্যাংকের এখন কলমানিসহ বিভিন্ন পথ বের করতে হয়েছে। তাও লুকানোর মতো নয়। এ প্রসঙ্গে স্মরণ করতে হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরির কথা। তখনকার গভর্নর ড. আতিউর রহমান তা জেনেও কিছুদিন তথ্যটি ধামাচাপা রাখতে পেরেছিলেন। কিন্তু, অব্যাহতভাবে লুকিয়ে রাখতে পারেননি। সেটি ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চুরির ঘটনা, যা সারা বিশ্বে আলোড়ন তোলে। বাংলাদেশের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করে। তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আনে সুইফট। কিন্তু যে দেশের কষ্টার্জিত আয়ের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরি হলো, সেই বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ব্যবস্থা নয়েনি। শাস্তি পায়নি কেউ। সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টটিও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। ওই প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যগুলো যে অজানা থেকে যাবে-তা বলা যায় না। সুইফট সার্ভারের সঙ্গে স্থানীয় নেটওয়ার্ক জুড়ে দিয়ে গোপন পাসওয়ার্ড দিয়ে ৮ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮১০ কোটি টাকা) এক চালানে হাতানো হয়নি। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে চুরির তথ্য জানতে পারলেও তা গোপন রাখা হয়েছিল প্রায় মাস খানেক। এর পরের ঘটনা এখন নতুন করে লেখার অবকাশ আপাতত নেই। কিন্তু, তথ্যের চাতুরি করতে গেলে সাধারণত অর্থকর্মের চাতুরি চলে আসে।

লেখকঃ সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ট্রেন বিলম্বে যাত্রীদের দুর্ভোগ
কেমন কাটে প্রবাসীদের রমজান মাস
ব্যয় কমানো হলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপ্লব হবে
ভারতীয় চায়ের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছেটা কি?
আরও

আরও পড়ুন

রাজাপুরে নিখোজের দুই দিন পর নদী থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

রাজাপুরে নিখোজের দুই দিন পর নদী থেকে ভ্যান চালকের লাশ উদ্ধার

কাঁঠালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১ ডাকাত গ্রেপ্তার

কাঁঠালিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ১ ডাকাত গ্রেপ্তার

সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন পর্তুগালের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

সাবেক ছাত্রদল অর্গানাইজেশন পর্তুগালের আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা ইমিগ্রশন চেকপোস্ট হতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা ইমিগ্রশন চেকপোস্ট হতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী এক ভারতীয় নাগরিককে হস্তান্তর

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে আরও এক মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ

বাইডেনের গাজা নীতির প্রতিবাদে আরও এক মার্কিন কর্মকর্তার পদত্যাগ

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

১১ মামলায় আগাম জামিন পেলেন বিএনপি নেতা বকুল

তীব্র হচ্ছে ইসরাইল-হেজবোল্লাহ সংঘাত, নিহত ১৭

তীব্র হচ্ছে ইসরাইল-হেজবোল্লাহ সংঘাত, নিহত ১৭

রাজবাড়ীতে শাশুড়ীকে জবাই করে হত্যার দায়ে পুত্রবধুসহ ২জনের যাবজ্জীবন কারাদ-

রাজবাড়ীতে শাশুড়ীকে জবাই করে হত্যার দায়ে পুত্রবধুসহ ২জনের যাবজ্জীবন কারাদ-

চট্টগ্রামের খুলশি হতে পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কাপ্তাই থানা

চট্টগ্রামের খুলশি হতে পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কাপ্তাই থানা

গোপালগঞ্জে বড় ভাইয়ের মিথ্যা মামলার জালে সাবেক সেনা সদস্য, পরিবারসহ বাড়ি-ঘর ছাড়া

গোপালগঞ্জে বড় ভাইয়ের মিথ্যা মামলার জালে সাবেক সেনা সদস্য, পরিবারসহ বাড়ি-ঘর ছাড়া

সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছেনা একটিও পণ্য

সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছেনা একটিও পণ্য

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের অপচেষ্টা ও হামলা মামলায় ৭জন কারাগারে

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের অপচেষ্টা ও হামলা মামলায় ৭জন কারাগারে

ফেনীর মসজিদ-মাদ্রাসার খেদমতে কাজ করছেন নিজাম উদ্দিন হাজারী

ফেনীর মসজিদ-মাদ্রাসার খেদমতে কাজ করছেন নিজাম উদ্দিন হাজারী

সাতক্ষীরায় হাজরা সাধুর গোডাউন থেকে ১৯৯ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার ও জরিমানা

সাতক্ষীরায় হাজরা সাধুর গোডাউন থেকে ১৯৯ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার ও জরিমানা

কটিয়াদীতে জমির ড্রেন থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

কটিয়াদীতে জমির ড্রেন থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

বাংলাদেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : ম্যাথিউ মিলার

বাংলাদেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : ম্যাথিউ মিলার

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত

আইসিইউ মানে জানেন না ডা. মুনিয়া, যা বলছেন নেটিজেনরা

আইসিইউ মানে জানেন না ডা. মুনিয়া, যা বলছেন নেটিজেনরা

সমকামীদের বিয়ের অনুমোদন থাইল্যান্ডে

সমকামীদের বিয়ের অনুমোদন থাইল্যান্ডে

এপ্রিলে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির

এপ্রিলে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির