বুড়িগঙ্গার ক্ষয়িষ্ণুতায় নগরী হারাচ্ছে প্রাণ

Daily Inqilab ইনকিলাব

১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ এএম | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৮ এএম

রাজধানী ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা আজ ভালো নেই। নদী নামের বুড়িগঙ্গার বুক এখন বর্জ্য ফেলার উন্মুক্ত স্থান, নর্দমা। অথচ, এক সময় এ শহরের পাশ দিয়ে বহমান এই গঙ্গা ছিলো ঢেউয়ে উচ্ছ্বাসিত, যা আজ নীরব-নিস্তব্ধ। বুড়িগঙ্গার পানি ছিল কাচের মত স্বচ্ছ, যেখানে প্রচুর মাছের আনাগোনা ছিল। পাখিদের অভয়াশ্রমও বলা হতো এ নদীকে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আহসান মঞ্জিল গড়ে উঠেছিল। এ নদীর বুকে বিচরণ করতো শত শত ছোট-বড় পালতোলা নৌকা ও স্টিমার। এ নদীকে কেন্দ্র করেই ৪শ বছর আগে ঢাকায় নগরায়ন শুরু হায়েছিলো। আর আজ সেই নদী অসুস্থতায় জর্জরিত ও ক্ষয়িষ্ণু। শহরের যাবতীয় ময়লা-আবর্জনা পতিত হয়ে নদীটি তার স্বীয় রঙ হারিয়ে ধারণ করেছে কৃষ্ণ বর্ণ। বাতাসেও ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। তীরবর্তী এলাকার মানুষদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট সহ নানান ধরনের জটিল রোগের কারণ হচ্ছে বুড়িগঙ্গা। কিন্তু এভাবে তো চলতে দেয়া যায় না। তাই নগরীর প্রাণ বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করতে শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত বর্জ্য পরিশোধনের জন্য ইটিপি বাস্তবায়ন করতে হবে। নিতে হবে আরো যত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আছে সেসবও। আশা করছি, সরকারের সংশ্লিষ্টরা বুড়িগঙ্গাকে দূষণমুক্ত করতে যা কিছু প্রয়োজন তা তারা অবশ্যই করবেন।

জান্নাতুল মাওয়া (রিফাত)
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস

উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস