ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিক করা হোক

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ এএম | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ১২:১৪ এএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে আখ্যায়িত করা হয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রেখে বাংলাদেশ নামক যে একটা রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল, সে দেশের প্রায় সব জায়গাতেই আজ ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লেগেছে। বিষয়টি আসলে গৌরবের হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রত্যাশা রয়ে গেছে। এই প্রত্যাশাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন হওয়া। কেননা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে শত শত শিক্ষার্থীর জন্য টেবিল চেয়ারের সুব্যবস্থা থাকলেও ভিতরে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা খুবই খারাপ। একদমই নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না লাইব্রেরির ভিতরে। লাইব্রেরিতে প্রবেশের পর কোনো ক্লাস ক্যান্সেল হলো কি না, কোনো ক্লাস এগিয়ে দেয়া হলো কি না, এসব নোটিশ দেখার জন্য একটু পরপর সিট থেকে ওঠে বাইরে আসতে হয়। ফলে পড়াশোনায় মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটে। বর্তমান যুগে ইন্টারনেট ছাড়া পড়াশোনা আসলেই কল্পনা করা অসম্ভব। আর যদি পড়াশুনার জায়গাতে এমন হতাশাজনক বিষয় জড়িয়ে থাকে তাহলে তা এই ডিজিটাল বাংলাদেশে আসলেই দুঃখজনক ব্যাপার। এবার আসি প্রবেশের সময় কার্ড চেক করার কথায়। হয়ত বা যারা গেটে থাকে তারা ভেবেই নেয় সবাই ঢাবির ছাত্র এজন্য অধিকাংশের কার্ড চেক করা হয় না। কিন্তু ঢাবির বাইরেরও অনেক শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে আসে বা আসছে নিয়মিত। ফলে সিট সংকট দেখা যাচ্ছে প্রতিদিন। আবার হতে পারে যে অনেক সিনিয়র ভাই, আপুরা থাকেন তাদের থেকে কার্ড চেক করাটা লজ্জাজনক। বর্তমান যুগে আসলেই তো বিষয়টা লজ্জাজনক। যদি এই বায়োমেট্রিক্সের যুগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ড চেকিং পদ্ধতি বহাল থাকে তাহলে সবার কার্ড চেক করাটাও কষ্টকর আবার লজ্জাজনকও বটে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির গেটে বায়োমেট্রিক্সের এবং ভিতরে ভালো নেটওয়ার্কের করলে কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অনেক দুর্ভোগ কমবে। পরিশেষে, সকল দিক বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ঢাবি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মো. আব্দুল ওহাব
শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি

কুড়িগ্রামে তিন লাশ দাফন, পরিবারের আহাজারি

কুড়িগ্রামে তিন লাশ দাফন, পরিবারের আহাজারি

কুষ্টিয়ায় বছরে পাটের আবাদ কমেছে ৯০ হাজার বিঘা জমিতে

কুষ্টিয়ায় বছরে পাটের আবাদ কমেছে ৯০ হাজার বিঘা জমিতে

ভাঙন আতংকে যমুনা পাড়ের মানুষ

ভাঙন আতংকে যমুনা পাড়ের মানুষ

দীর্ঘ পানিবদ্ধতায় হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলা

দীর্ঘ পানিবদ্ধতায় হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলা

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

সাভারে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কেউ ছাত্র ছিল না

সাভারে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কেউ ছাত্র ছিল না