ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১

আরেকটি একতরফা নির্বাচন কি গ্রহণযোগ্য হবে

Daily Inqilab মুহাম্মদ শাহ আলম

২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর রাজনীতিতে চলছে নানা সমীকরণ। চলছে নির্বাচনে নিয়ে নানামুখী তৎপরতা। দল ও জোট ভাঙার পাশাপাশি চলছে নতুন জোটেরও আত্মপ্রকাশ। যারা নির্বাচনের পরিবেশ নেই বলে বক্তব্য বিবৃতি প্রদান করেছেন, আন্দোলনে অংশ নিয়েছে এমন কিছু দল অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্য দিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণার পরও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান রয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বে বেশকিছু রাজনৈতিক দল নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে একদফা দাবীতে হরতাল-অবরোধ অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে বিএনপির সমমনা অন্তত ৩৭টির মতো দল যুগপৎ আন্দোলন করছে। এর মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, সমমনা জাতীয়তাবাদী জোট, গণফোরাম, গণঅধিকার পরিষদ রয়েছে। এই দলগুলোর ছাড়া জামায়তে ইসলাম, ইশলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, এবি পার্টিও তফসিল প্রত্যাখ্যান করে কর্মসূচি পালন করছে। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ধুমধামের সহিত দলীয় মনোনয়ন পত্র বিক্রি করে দলীয় প্রার্থীতা চূড়ান্ত করেছে। জাতীয় পার্টি অনেক নাটকীয়তার পর নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অথচ গত কয়েক দিন আগেও নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে নানা কথা বলে আসছিল দলটি। সর্বশেষ গত ২১ নভেম্বরও পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু ঘোষণা দেন নির্বাচনে যাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। ২২ নভেম্বর এসে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এমন আশায় তিনি পার্টির চেয়ারম্যানের পক্ষে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন কোনো জোটে নয়, আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করবো। নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার আগে থেকেই জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় মনোনয়ন পত্র বিক্রি শুরু করে। তৃণমূল বিএনপি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরেক নতুন দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম)।

গত ২২ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় পার্টি (মতিন) এবং বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-এর উদ্যোগে যুক্তফ্রন্ট নামে নতুন এক রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই রাজনৈতিক জোট আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর পরপরই কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীকে ১২ দলীয় জোট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তৃণমূল বিএনপি এবং বিএনএম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই দলই বলছে, বিএনপিসহ অন্য দলের যে কারও জন্য তাদের মনোনয়নের দরজা খোলা। তাদের দাবি কারও ইন্ধনে নয়, সংসদে শক্তিশালী বিরোধীদল রাখতেই নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তাৎপর্যের বিষয়, বহু চেষ্টা তদবির করার পরেও সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার মতো যোগ্য প্রার্থী তারা খুঁজে পাচ্ছে না। ফলে অনেকেই দলগুলোকে কিংস পার্টি হিসেবে আখ্যায়িত করছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, সমালোচনা রয়েছে নির্বাচন সামনে রেখে কিছু কিংস পার্টি গঠন করে বিরোধী দলগুলোতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে সরকার। এই আলোচনায় অপেক্ষাকৃত নতুন নিবন্ধিত তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএমের নাম বেশি উচ্চারিত হচ্ছে। এই অবস্থায় দেশের চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচনী কর্মকাণ্ড নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শঙ্কা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র শুরু থেকেই বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি কারীদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেও তাদের এই অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরঞ্চ যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বাংলাদেশ ইস্যুতে তার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অব্যাহতভাবে সব রকম উপায় (টুলস) অবলম্বন করবে এবং সব পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরবে। দেশটি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সহিংস ঘটনা মূল্যায়নে ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাচ্ছে। তারা নির্বাচনের সপ্তাহ দুয়েক আগে ঢাকা পৌঁছাবেন। বিশেষজ্ঞ মিশনের কাজ হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতার জন্য কারা দায়ী এবং এর প্রভাব মূল্যায়ন করা। এই বিশেষজ্ঞরা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সহিংসতার ঘটনা মূল্যায়ন করবে, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতা, কোনো রাজনৈতিক দলের অন্তর্দলীয় কোন্দলের কারণে সহিংসতা, নারী ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে সহিংসতা, অনলাইনে হয়রানি ও হুমকি ইত্যাদি বিষয় তারা খতিয়ে দেখবে। এসব পরিস্থিতিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকাও মূল্যায়ন করবে।

আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে। ক্ষমতার ধারাবাহিকতায় নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের পছন্দমাফিক প্রশাসনকে ঢেলে সাজিয়েছে। কারণ, নির্বাচনে মাঠপর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থেকে র‌্যাব, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে ডিআইজি, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) এবং পুলিশ সুপার (এসপি) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি)। জেলা প্রশাসকগণ রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইউএনওরা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মাঠপর্যায়ে তারাই নির্বাচনে মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার গত জুন-জুলাইয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের বড় ধরনের রদবদল করেছে। গত ১১ মাসের ব্যবধানে সরকার ৯ বিভাগীয় কমিশনার, ১৮ জন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, ৬৮ নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি), ১৪৫ জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি), ২২১ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ১৬ জন ডিআইজি, ৩৫ জন অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ২৮ জেলার এসপি পদে রদবদল করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার অধিকাংশ থানার ওসি পদে রদবদল করা হয়েছে। এছাড়া ডিসির ফিটলিস্ট চূড়ান্ত করে প্রশাসন ক্যাডারের ২৪, ২৫ এবং ২৭ ব্যাচের আরও শতাধিক কর্মকর্তাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে কয়েকটি স্তরে প্রশাসনকে সাজিয়ে রেখেছে (তথ্য মানবজমিন)।

নির্বাচনের এই হযবরল অবস্থার মাঝে গত ২০ নভেম্বর সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্স এর ভিজিটিং প্রফেসর স্বপন আদনান, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আসিফ নজরুলসহ দেশের ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক বিবৃতিতে একতরফা তফসিল ও নির্বাচন আয়োজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, সরকার সম্প্রতি আরও একটি একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এরই অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর পরবর্তী সময়ে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অজস্র মামলা দায়ের করা হচ্ছে, তাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম ব্যবহার করে বিরোধীদলের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। এমন একটি পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সরকারের একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়ক শক্তি হিসেবে ভূমিকা রাখছে বলে আমরা মনে করি।

জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যেও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি এবং জামায়াতে ইসলামী। আদালত কর্তৃক জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। ফলে দলটি স্বনামে আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বিএনপির নেতাকর্মীরা গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের পর থেকে নতুন করে গ্রেফতার ও একের পর এক মামলার শিকার হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃনমূল পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী হয় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে অথবা আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হচ্ছে এবং আন্দোলনও চালিয়ে যেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির একদফা দাবি এবং ঘোষিত তফসিল বাতিলের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনে রয়েছে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলো। দুই দফা হরতাল ও ৬ দফা অবরোধ কর্মসূচি শেষে আবারো ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করেছে। ইতোমধ্যে এই আন্দোলন করতে গিয়ে গত এক মাসে বিএনপির ১৫ হাজার ৬০০ শত নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মামলা হয়েছে ৩৮৪টি। আন্দোলনে নিহত ১৪ এবং আহত সাড়ে ৪ হাজার নেতাকর্মী। ২৭টি মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ৪১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলা-গ্রেফতার আতঙ্কে লাখ লাখ নেতাকর্মী ঘরছাড়া, পলাতক, আত্মগোপনে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাত্রিযাপন করছেন ক্ষেতে-খামারে, জঙ্গলে (তথ্য দৈনিক ইনকিলাব)।

দেশের বৃহৎ বিরোধীদলের যখন রাজনীতির ময়দানে নিঃশ্বাস নেয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ট্রেন আগারগাঁও এ প্রস্তুত। ৩০ নভেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করবে। ৩০০ স্টেশন হয়ে ৭ জানুয়ারি শেরেবাংলা নগর গিয়ে থামবে। ইতোমধ্যেই এই নির্বাচনী ট্রেনের সার্বিক তত্ত্বাবধান এবং দেখবাল করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে আনসার ৫ লাখ ১৬ হাজার, পুলিশ ও র‌্যাব ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, কোস্টগার্ড ২ হাজার ৩৫৫ জন, বিজিবি ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন থাকবে। আর এই ট্রেনের পরিচালক হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আশ্বাস দিয়েছিল, তাঁরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করবেন। এ জন্য তাঁরা দফায় দফায় রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছেন। বাস্তবতা হচ্ছে, তাঁরা পূর্বসূরি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও কে এম নূরুল হুদা কমিশনের পথেই হাঁটছেন। বর্তমান কমিশনের অধীনে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত অধিকাংশ নির্বাচনই নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। এ অবস্থায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একই পথে হাঁটছে। হয়তো ২০১৪ সালের মতো আরো একটি একতরফা নির্বাচন অনায়াসে স¤পন্ন হয়ে যাবে, তবে এই নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে প্রশ্ন থেকে যাবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে, যা কাম্য নয়। মূলত দেশবাসী যোগ্য প্রার্থীদের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়। নির্বাচন ভয়ভীতিহীন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে, নতুন প্রজন্মের ভোটেররা সাচ্ছন্দ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

লেখক : আইনজীবী।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী