দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা এইচএসসি থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যায়। যারা এই ভর্তি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে ব্যার্থ হয় তারা বুঝে, তাদের হৃদয়ে কষ্টের কতটা রক্তক্ষরণ হয়। এর মধ্যে যারা ভর্তি হওয়ার মতো যোগ্যতা রেখেও ভর্তি হতে পারে না, তাদের কতটা কষ্ট আল্লাহই ভালো জানেন, তাদের বেঁচে থাকা কতটা বেদনাদায়ক। আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত একক ভর্তি পরীক্ষা নিলেও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হয়েছে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং পরের শিক্ষাবর্ষে আরো দুটি যুক্ত হয়ে মোট ২২টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যথেষ্ট সিট ফাঁকা রেখে গুচ্ছ ভর্তি কমিটি ভর্তি নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার ফলে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভর্তি হতে বঞ্চিত হয় শিক্ষার্থীরা। এমতাবস্থায় ভর্তি বঞ্চিত একদল শিক্ষার্থী হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। দীর্ঘদিন রিট মামলাটি আদালতে প্রক্রিয়াধীন থাকার পর চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য মহামান্য আদালত গুচ্ছ ভর্তি কমিটিকে অবগত করলে তারা ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট ফাঁকা আছে বলে জানান। তারপর আদালত শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা সম্পূর্ণ স্কোরের ভিত্তিতে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য বিশেষভাবে বিবেচনা করতে আদেশ দিয়েছেন। এদিকে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নিতে আগ্রহী হয়ে শিক্ষার্থীদের বলেন, গুচ্ছ ভর্তি কমিটি আমাদেরকে নির্দেশ দিলে আমরা ভর্তি নিবো। কিন্তু গুচ্ছ ভর্তি কমিটি শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিতে চান না। তারা বিষয়টি এড়িয়ে চলেন। এদিকে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা জীবন নিয়ে হতাশ। কারণ, তারা কোথায়ও ভর্তি হননি। এমতাবস্থায় আমি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি কমিটির কাছে ভর্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়টি আমলে নেয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মো. আসাদ উল্লাহ
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।