খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিতে আমজনতা দিশেহারা
১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
জীবনধারণের মৌলিক উপকরণগুলোর শীর্ষে অবস্থান খাদ্যের। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি এখন আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির লাগাম কিছুতেই টেনে ধরা যাচ্ছে না। গত তিন মাস ধরেই খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশের ওপরে। অক্টোবর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যা গত ১১ বছর ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।গত বছর এই সময়ে এই হার ছিল ৮.৫০ শতাংশ। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতিও কিছুটা বেড়ে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ হয়েছে। যা সেপ্টেম্বর মাসে ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এ বছর মার্চ মাস থেকে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের উপর আছে। খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হিসাবটা একটু সহজ করে বললে বলা যায়, আমরা যদি ধরি গত বছর অক্টোবর মাসে একজন ভোক্তা চাল, ডাল, তেল, চিনি, মাছ-মাংসসহ যাবতীয় খাদ্যপণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ করতো, তাহলে এ বছরের অক্টোবরে একই খাবার কিনতে তার খরচ হচ্ছে ১১২ টাকা ৫৬ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খাবার কেনায় খরচ প্রতি ১০০ টাকায় বেড়েছে ১২ টাকা ৫৬ পয়সা। খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে এখন খুবই কষ্ট হচ্ছে। বাজারে জিনিসপত্রের দাম হয়েছে চড়া। কখনো ডিমের দাম বাড়ে। আবার কখনো পেঁয়াজে, কখনো আলুর দাম বাড়ে। শাকসবজি, মাছ-মাংসের দামও অনেক বেশি। দিন দিন মূল্যস্ফীতি আরো ঝুঁকির মধ্যে চলে যাচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গত এক বছরে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তার কোনটাই তেমন একটা কাজে আসেনি। যেমন ডিম, পেঁয়াজ ও আলু আমদানির পর বাজারে তেমন একটা বিশেষ প্রভাব পড়েনি। এ ছাড়া আগামী কয়েক মাস রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় সামনে মূল্যস্ফীতি কমার সম্ভাবনা কম। এতে গরিব মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে। এখন গ্রাম আর শহরের খাদ্যমূল্যস্ফীতির মধ্যে তেমন বেশি তারতম্য নেই, প্রায়ই সমান। বিবিএস’র তথ্য মতে, গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর শহরে এই হার কিছুটা বেড়ে ১২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে গত এক বছরে চাল ও আটার মতো পণ্যের দাম তেমন না বাড়লেও শুধু অক্টোবরেই খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে সর্বোচ্চ হয়েছে। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বেশিরভাগ সময় সিন্ডিকেটের দিকে আঙুল তোলা হলেও এর পেছনে আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। অনেক সময় উৎপাদন বেশি হলেও বাজারে ঠিকমতো সরবরাহ হয় না। আবার উৎপাদন ও আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রভাবও পড়ে অনেক পণ্যের দামে। আবার সরকারি যেসব তথ্য দেয়া হয়, সেখানেও প্রকৃত অবস্থার সাথে তারতম্য থাকে। সরকারি তথ্যে দেখা যায়, আমাদের দারিদ্র্যের হার কমেছে। বাস্তবে কি আসলে কমেছে? উন্নয়ন হয়েছে অবকাঠামোগত। সরকারি কর্মকর্তাদের সবচেয়ে বেশি বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে বাজারে আরো প্রভাব পড়েছে। আমরা এখন তথ্য দিয়ে মিথ্যাকে জায়েজ করার চেষ্টা করছি। কারণ, তথ্য যারা বানাচ্ছে, তারা যদি সত্য না বলে তখন তথ্যও আর সত্য হয় না। মানুষ এখন অনেক বিপর্যস্ত। সম্প্রতি বাজারে মোটা চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে মানুষের দুর্ভোগ অনেক বেড়ে গেছে। অনেক পণ্যের দাম একেবারেরই প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, আলু, কাঁচামরিচ ইত্যাদি।
টিসিবির তথ্য মতে, দেশি পেঁয়াজের দাম গত এক বছরে ১৪০.৯১ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ শতাংশ বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ এক বছর আগে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৪৫-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ছিল প্রায় ৩৪ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু মজুদের সুবিধা না থাকায় এর প্রায় ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে আমদানি করতে হয় সাড়ে ৬ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ। তারপরেও পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। আমদানি করেও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া, সংকট আরো জটিল হয়েছে। গত এক বছরে আলুর দাম ৮২.৬৯ শতাংশ বেড়েছে। এক বছর আগে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ২৪-২৮ টাকা, যা বর্তমানে কেজি প্রতি ৫০ টাকা। আমাদের আলুর চাহিদা ৮৫-৯০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে আলু উৎপাদিত হয়েছে এক কোটি ১২ লাখ টন। তার পরও আলুর দাম বেড়েছে ৮২.৬৯ শতাংশ। গত এক বছরে প্রায় সব ধরনের মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি গত এক বছরে ৭.৪৬ শতাংশ, খাসী ১১.৭ শতাংশ, গরু ১২.৫ শতাংশ, ইলিশ ৫.৪১ শতাংশ, রুই ২৫ শতাংশ বেড়েছে। দেশি মুরগির দাম এক বছরে কেজি প্রতি ২৮.২৬ শতাংশ বেড়েছে। আগে কেজি প্রতি দাম ছিল ৪২০-৫০০ টাকা। এখন এই দাম ৫৩০-৬৫০। দারুচিনি ও এলাচ ছাড়া সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রসুনের দাম। গত এক বছরে এই পণ্যটির দাম ১২৭.৭৮ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে রসুন বিক্রি হলেও বর্তমানে ১৯০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও আমদানি করা আদার দাম ২৩ শতাংশ থেকে শুরু করে ৪৫.১৬ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া মসলার মধ্যে শুকনা মরিচ, হলুদ, জিরা, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে ও তেজপাতারও দাম বেড়েছে। গত এক বছরে প্রতি হালি ডিমের দাম শতকরা ৫.২৬ শতাংশ বেড়েছে। কাঁচামরিচের দাম গত এক বছরে কেজি প্রতি ১৮০ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর কাঁচা মরিচ ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে এই পণ্যটি ১৫০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে কাঁচামরিচ সর্বোচ্চ ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চিনির দাম গত এক বছরে ১২৫ শতাংশ বেড়েছে। এক বছর আগে চিনির দাম প্রতি কেজি ছিল ১২০ টাকা। বর্তমানে এটি সর্বোচ্চ ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উচ্চমূল্যের বাজারে জীবনযাপন সত্যিই অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এখন সবকিছুর দাম আকাশছোঁয়া। খাবারের প্লেটে মাছ ও মাংসের উপস্থিতি কমেছে। এগুলো এখন সাধ্যের বাইরে। বিশেষ করে নির্দিষ্ট ও নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা সীমিত করেছে মূল্যস্ফীতি।
দাম বাড়ার পেছনে যুদ্ধ এবং বাজার সিন্ডিকেটের যোগসাজশের যুক্তি থাকলেও মূলত উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকার কারণেই খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। গত এক বছর চাল এবং আটার দাম খুব একটা না বাড়লেও এ দুটি পণ্য মানুষের প্রধান খাবার এবং মানুষ এগুলোর সাথে আরো পণ্য মিশিয়ে তারপর ভোগ করে। এতে করে অন্যান্য পণ্য যেমন সবজি, মাছ-মাংস ইত্যাদি পণ্যের চাহিদা বাড়ে, চাহিদার সাথে সরবরাহের ভারসাম্য না থাকার কারণে সেগুলোর দাম বেড়েছে। ফলে চাল ও আটার তুলনায় পরিমাণে কম ব্যবহৃত হলেও সবজি, মাছ-মাংস ইত্যাদির দাম বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণে সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। প্রায় সব খাদ্য পণ্যই আমদানি করতে হয়। পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় কখনো কখনো বিঘ্ন ঘটে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, রিজার্ভ হ্রাসÑ এসব কারণে আমদানিতে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া শিল্প খাতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম ১৭৯ শতাংশ বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়েছে। ডিজেলের উচ্চমূল্য সেচ ও কৃষিপণ্যের দামে প্রভাব ফেলেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, যা খুচরা বাজারে পণ্যের দামে প্রভাব ফেলেছে। সরকার পণ্যের মজুদ কমে যাওয়াটা টের পেয়ে যদি আগেই আমদানির অনুমতি দেয় তাহলে এই ঘাটতি তৈরি হয় না। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষত্রে এটা হচ্ছে না। যার কারণে ঘাটতি হওয়ার পরই আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে কোনো পণ্যের ঘাটতি থাকলেও সেটির দাম বাড়ার আশঙ্কায় সরকার সেটি স্বীকারও করতে চায় না। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই আমদানির ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে কয়েকটি জরুরি পণ্যের মার্কেট শেয়ার এখন কয়েকটি কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। আমদানি থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত নিজেদের বলয় তৈরি করে নিজেদের শর্তে বাজারে পণ্য সরবরাহ করছে তারা। তাদের কথা মতো না হলে অন্যরা ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। বাজারে ম্যানিপুলেশনের অভিযোগে বেশ কয়েকটি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জেল জরিমানাও করেছে সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে কেন্দ্রীয় বিপণন ব্যবস্থার ভেতরে যে অনিয়ম ও অস্থিরতা চলছে। ফলে শুধুমাত্র কয়েকটি বাজারে নজরদারি ও জেল জরিমানা করে এই সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য থামানো অসম্ভব।
জরুরি ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে একটি আপৎকালীন ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ, বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলেছে তাতে আগামী দু-তিন মাস এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভবনা নেই। এ ছাড়া নীতি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেও খুব তাড়াতাড়ি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ফলে খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) পরিধি বাড়াতে হবে। সার্বিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া বাজার স্থিতিশীল করতে সরকার খাদ্যপণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক আরো কমাতে পারে। কিন্তু কার্যকর উদ্যোগের বদলে বরং সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বেফাশ কথাবার্তা বলতে শোনা যায়, যেমন-দেশের মানুষ এখন খুব ভালো আছে মহিলারা তিন বার লিভিষ্টিক লাগায়, চার বার সেন্ডেল চেইঞ্জ করে ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে, দেশের মানুষ এখন মূল্যস্ফীতির কারণে খুবই কষ্টে আছে। সংশ্লিষ্টদের সেদিকেই নজর দেওয়া দরকার।
লেখক : অর্থনৈতিক বিশ্লেষক।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার
সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী