সড়কে চলছে মৃত্যুর মিছিল
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
সড়কে প্রাণ হারানোটা বর্তমানে আমাদের দেশে একটি সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় বের হলেই আতঙ্কে থাকতে হয়। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি পোহাতে হয় জেলা এবং বিভাগীয় শহরগুলোতে। দেশের সড়কপথগুলো প্রতিনিয়ত বিষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ’র দেওয়া ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী একমাসে দেশে ৫৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৫৮১ জন এবং নিহত হয়েছে ৪৭০ জন। শুধু নভেম্বরের ৯ তারিখেই সারাদেশের সড়কপথে মোট ১১টি দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে আহতের সংখ্যা ছিল ১৮ এবং নিহতের সংখ্যা ছিল ৭। এছাড়া গত ৭ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪০ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনায় শুধু আহত ব্যক্তি কিংবা নিহত ব্যক্তিই জড়িত থাকেন না, বরং জড়িত থাকে তার পরিবার, পরিজনসহ দেশের অর্থনীতিও। সড়ক দুর্ঘটনা আমাদের দেশের অর্থনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের অধিকাংশই কর্মক্ষম হয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিও হয়ে থাকেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি যখন চিরতরে উপার্জন করার শক্তি এবং সুযোগ হারিয়ে ফেলে, তখন সেই পরিবারটি আর্থিক সমস্যায় পতিত হয়। আর তখনই সেই ব্যক্তিটি অতিরিক্ত জনসংখ্যাবহুল এই দেশের জন্য বোঝা হয়ে যায়। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই) এর দেওয়া একটি তথ্য মতে, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া অতিরিক্ত দুর্ঘটনার কারণে হাসপাতালগুলোতেও রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায় এতে করে রোগীদের মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। অদক্ষ চালক, বেপরোয়া গতি, আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতা, লাইসেন্সবিহীন হেলপারদের গাড়ি চালনা, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার প্রবণতা, আইন অমান্য করা, সড়কের দুরবস্থাসহ বেশ কয়েকটি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আবার, অনেকসময় দেখা যায় মানুষজন রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে মহাসড়কের দ্রুত গতির গাড়ির সামনে দিয়েই হেঁটে যায়। আবার কেউ কেউ গাড়িতে বসে হাত বা মাথা বের করে রাখেন, যার জন্য তাদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। নিরাপদ সড়কের জন্য ২০১৮ সালে যখন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছিল, তখন সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ নামে নতুন একটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে এসেও সেই আইনের পুরোপুরি বাস্তবায়নের দেখা মিলছে না এবং সেকারণেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছেই। আর কত প্রাণের বিনিময়ে বন্ধ হবে এই মৃত্যুর মিছিল? তাই সরকারের উচিত, শুধু আইন তৈরিতেই সীমাবদ্ধ না থেকে যত দ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া।
খাদিজা আক্তার
শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার
সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী