ঢাকা   মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২ আশ্বিন ১৪৩১

প্রার্থীদের আয়-সম্পদ বৃদ্ধির উৎস খতিয়ে দেখতে হবে

Daily Inqilab সরদার সিরাজ

১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম

এখন দেশের সর্বাধিক আলোচ্য বিষয় হচ্ছে, এমপি প্রার্থীদের আয় ও সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা তাদের এবং পরিবারের সদস্যদের আয় ও সম্পদের হিসাব দাখিল করেছেন স্বীয় হলফনামায়। তন্মধ্যে অনেকের তথ্য মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে ও হচ্ছে। তাতে দেখা যায়, পূর্ববর্তী নির্বাচনের সময়ের চেয়ে বর্তমানে কিছু প্রার্থী ও তাদের পরিবারের লোকদের আয় ও সম্পদের পরিমাণ কমেছে আর বেশিরভাগ প্রার্থীর বেড়েছে। কতিপয় প্রার্থীর বৃদ্ধির পরিমাণ দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি অনুযায়ী চরম অসংগতি ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ তাদের কারো কারো আয় ও সম্পদ ২০০-৪০০ গুণ বেড়েছে। অনেকের বেড়েছে শূন্য থেকে। এই বৃদ্ধির হিসাব লাখ নয় কোটি টাকায়। এদের মধ্যে এমপি, মন্ত্রীর সংখ্যা বেশি। অথচ, করোনা মহামারির কারণে বৈশ্বিক মহামন্দা চলছে কয়েক বছর যাবত, যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আরো তীব্রতর হয়েছে। আংটার্ডের মতে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্য ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। এসবের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের উপর। সর্বোপরি সমাজতন্ত্রের পতনের পর বৈশ্বিক মুক্তবাণিজ্য প্রবর্তনের কারণে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে গরিব দেশগুলো। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে গরিব দেশগুলোর অধিকাংশ কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। একই ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশেও। এখানে ভারী শিল্পের বেশিরভাগ বন্ধ হয়ে গেছে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে। টিকে আছে গার্মেন্ট ও এর লিংকেজ কিছু শিল্প ও প্রতিষ্ঠান। তার অনেকগুলোতে চলছে ব্যাপক লোকসান। কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তবে, কৃষকের উন্নতি হয়নি। বরং আর্থিক অধোগতি হয়েছে পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে দেশে এসবের উদ্ভাবন নেই বললেই চলে। ব্যবহারও সামান্য। যেটুকু ব্যবহার হয় তার সবই আমদানিকৃত। তাই দেশ মূলত আমদানিনির্ভর হয়ে রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ দু’টি। একটি প্রবাসী আয় ও অন্যটি গার্মেন্ট রফতানি। বেকারত্ব প্রকট। যেমন: গত ৮ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিআইডিএসের জরিপ প্রতিবেদন মতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থেকে স্নাতক পাস শিক্ষার্থীদের ৪২-৪৮% বেকার রয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষতার ঘাটতি প্রকট। সাধারণ মানুষের আয় সামান্য। সর্বোপরি পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে তারা নীরব দুর্ভিক্ষের শিকার হয়েছে। অনেকে সঞ্চয় ভেঙ্গে ও দেনা করে চলছে! ফলে গরিবের সন্তানের শিক্ষা থেকে ঝড়ে পড়ার হার ব্যাপক। প্রয়োজন মতো চিকিৎসাও হয় না। বাল্যবিবাহের হারও অনেক। সম্প্রতি প্রকাশিত বিআইডিএসের প্রতিবেদন মতে, যেসব দেশে বাল্যবিয়ের হার সর্বোচ্চ সে দেশগুলোর কাতারে এখনো রয়েছে বাংলাদেশ। তদুপরি সম্প্রতি দেশে দারিদ্রের সংখ্যা বেড়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত আইএফপিআরআই-এর গবেষণা প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে গরিব মানুষের সংখ্যা আরও অন্তত ২৭ লাখ ৫১ হাজার বেড়েছে এবং ২০২৩ সালে বৈশ্বিক মন্দায় বাংলাদেশে দারিদ্র্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। দেশে উন্নতি বলতে সরকারি খাতে কিছু অবকাঠামো, তাও বিপুল ঋণে! দেশের ঋণ-জিডিপির হার ৪৫% ছাড়িয়ে গেছে। কর-জিডিপির হার ৮-৯%। ইনকাম ট্যাক্সের রিটার্ন দাখিলের পরিমাণ সামান্য, ২৩ লাখের মতো। সম্প্রতি অর্থনীতির সব সূচকই নেতিবাচক হয়ে অর্থনৈতিক সংকট করোনার সময়কেও ছাড়িয়ে গেছে। তাই উন্নতির ভেঁপুর পরিবর্তে এখন দুর্ভিক্ষের ভেঁপু বাজতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের এলডিসিভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশও আছে।

তবুও দেশে কিছু লোক রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি। ২০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৮৬টি। যা ১৯৭২ সালে ছিল মাত্র পাঁচজন। এই নব্য ধনীদের আয়ের উৎস প্রধানত দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, স্মাগলিং, ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট, মাদক কারবার, দখলবাজী, কালোবাজারী ইত্যাদি। এছাড়া, কিছু লোক রাজনীতির সুবাদেও ধনী হচ্ছে। তাই বহুল প্রচলিত বাণী হচ্ছে: আগে ধনীরা রাজনীতি করে ফকির হয়ে যেতো, এখন গরিবরা রাজনীতি করে ধনী হচ্ছে! অর্থাৎ আগে রাজনীতি ছিল সমাজ ও দেশ সেবা, এখন হয়েছে সর্বাধিক লাভজনক পেশা। তাই দেশের রাজনীতি চরম কলুষিত হয়ে পড়েছে! ব্যবসায়ী ও আমলারা রাজনীতিতে ঢুকে পড়ায় এ অবস্থা তরান্বিত হয়েছে। দেশে আয়-সম্পদ বৈষম্য ব্যাপক হয়েছে। বিআইডিএস’র ডিজি ড. বিনায়ক সেন গত ৫ ডিসেম্বর বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন উচ্চ বৈষম্য রয়েছে’। দেশের এই আর্থসামাজিক অবস্থায় এমপি প্রার্থীদের এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আয় ও সম্পদ ব্যাপক বৃদ্ধি অস্বাভাবিক।
স্মরণীয় যে, শুধুমাত্র এমপি প্রার্থী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরই আয় ও সম্পদ বাড়ছে না, সে সাথে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদের নির্বাচন প্রার্থীদেরও বেশিরভাগের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আয় ও সম্পদ বেড়েছে অনেক। এমনকি সামাজিক সংগঠনগুলো এবং পেশাজীবী সংগঠনগুলোর নির্বাচন প্রার্থীদেরও অবস্থা তথৈবচ। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের নির্বাচনে প্রার্থীরা বিপুল অর্থ ব্যয় করে। উপরন্তু তাদের অধিকাংশই পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজকীয় হালে জীবনযাপন করে। সর্বোপরি তাদের অনেকের বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম, বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে বসবাস করে রাজকীয় হালে।

যা’হোক, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের বেশিরভাগেরই নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের আয় ও সম্পদ ব্যাপক বৃদ্ধির বিষয়টি দেশে এখন সর্বাধিক আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তাই বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখা দরকার। নির্বাচন কমিশন বলেছে, হলফনামা তদন্ত বা গরমিলের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব ইসির নয়। অবশ্য, দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দুদকের। কিন্তু এ ব্যাপারে গত ৬ ডিসেম্বর বিবিসির খবরে প্রকাশ, মনোনয়নপত্রের সাথে প্রার্থীর হলফনামা জমা দেয়ার নিয়ম কার্যকর হয় ২০০৮ সাল থেকে আদালতের রায়ের মাধ্যমে তথা নবম সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে, যার মধ্যে প্রার্থীর আয়-ব্যয়, সম্পদের হিসাব, তার উপর নির্ভরশীলদের আয়-ব্যয়, সম্পদের হিসাব সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে। কিন্তু গত কয়েকটি নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফ নামায় উল্লিখিত সম্পদের হিসাব নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হলেও এগুলো নিয়ে খুব একটা ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এমনকি এসব তথ্য আর কোন সংস্থাকে খতিয়ে দেখার মতো পদক্ষেপও নিতে দেখা যায়নি। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘হলফনামায় প্রার্থীর আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সবকিছু দেখার (খতিয়ে) সুযোগ আছে বিধায়ই এই প্রবিশনটা দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেটা যথাযথভাবে পালন করা হয় না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা কাজ করেন তারা বলছেন, যাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা হয়, তারা ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। সুজন ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ ৪৮ জন প্রার্থীর ২০০৮ সালের ও ২০১৪ সালের হলফ নামা পর্যালোচনা করে জানিয়েছিল, বেশ কয়েক জন প্রার্থীর আয় ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ৮ হাজার গুণ পর্যন্ত বেড়েছে। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া গুরুত্বপূর্ণ ৫৩ জন প্রার্থী, যারা দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের হলফনামার আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন বলেছে, ৫৩ জন প্রার্থীর আয় গড়ে ১০৬.৭৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। আয় বৃদ্ধির এই হার ১০.৯১% থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১১৫২.০৭% পর্যন্ত বেড়েছে। সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের সময় কয়েকজন প্রার্থীর হলফনামায় দেয়া তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর দুদক তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিলো। কিন্তু সেগুলো আর শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।

এমপি নির্বাচনের প্রার্থীদের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি তদন্ত করে দেখার দায়িত্ব দুদকের হলেও তার আগ্রহ তেমন নেই। উপরন্তু সংস্থাটি বড় বড় দুর্নীতির চেয়ে ছোট ছোট দুর্নীতি নিয়ে দৌড়ঝাপ করে বেশি। তাই মাননীয় হাইকোর্ট এক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির পেছনে না ছুটে অতি নগণ্য সাধারণ দুর্নীতির পেছনে দুদক ছুটছে (গত ৮ নভেম্বর ’২৩ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত)। সর্বোপরি দুদক বর্তমান সরকারের সময়ের দুর্নীতির তদন্ত ও মামলার চেয়ে বিএনপি সরকারের সময়ের দুর্নীতির তদন্ত ও মামলা করা নিয়ে তৎপর বেশি। তাই সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আয় ও সম্পদ অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে দুদককে বাধ্য করা না হলে দুদক এ ব্যাপারে কিছুই করবে না। কিন্তু দুদককে বাধ্য করবে কে? যাদের দায়িত্ব তারাই তো দুর্নীতিগ্রস্ত! ফলে এই কাজটি করতে হবে দেশপ্রেমিক উন্নয়নকামী সুশিলদের। তাই দুর্নীতি, অনিয়ম ইত্যাদির তদন্তে দক্ষ এবং নিরপেক্ষ লোকদের নিয়ে কয়েকটি টিম গঠন করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের দাখিলকৃত হলফনামায় যাদের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে, তাদের বিষয়টি তদন্ত করে দুর্নীতি প্রতিয়মান হলে তা জনসম্মুখে প্রকাশ এবং মামলা করা দরকার। অতঃপর পর্যায়ক্রেম অন্য সব নির্বাচনের প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও এটি করা প্রয়োজন। তাহলে নেতারা সাবধান হয়ে যাবে। দুর্নীতির দিকে পা বাড়াতে সাহস পাবে না। ফলে অটোমেটিক দুর্নীতি কমে যাবে।

স্মরণীয় যে, দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদের হুংকার চলছে বহুদিন যাবত। কিন্তু যে লংকায় গেছে সেই রাবণ হয়েছে। তাই দুর্নীতি বাড়তে বাড়তে ব্যাপকতর হয়েছে এবং সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে জেঁকে বসেছে! বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। কিন্তু দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। বরং বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। তিনি মৃত্যুর কিছুদিন আগে বলেছিলেন, ‘আগে পুকুর চুরি হতো এখন সাগর চুরি হচ্ছে’! এই দুর্নীতির কারণে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৪-৫% কম হচ্ছে, আয় ও সম্পদ বৈষম্য ব্যাপকতর হয়েছে। দুর্নীতিই হচ্ছে দেশের প্রধান সমস্যা। এমনকি সমগ্র বিশ্বেরও। উল্লেখ্য যে, ‘দ্য ইউএন কনভেনশন এগেইনস্ট করাপশন’ দুর্নীতি প্রতিরোধে একমাত্র সর্বজনীন আইনগত বাধ্যতামূলক চুক্তি। বিশ্বের ১৯০টি দেশ এই চুক্তিতে সই করেছে। এটি ২০০৩ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে পাস হয়েছে। তার পর থেকে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে। উপরন্তু দুই বছর পরপর জাতিসংঘের ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইম অফিসের তত্ত্বাবধানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ দুর্নীতি বিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সনদে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো কীভাবে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে, সেটা মূল্যায়নের জন্য এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এবারে গত ১১ ডিসেম্বর থেকে ৫ দিনব্যাপী দশম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায়। এ সম্মেলনে জাতিসংঘ দুর্নীতি বিরোধী সনদে স্বাক্ষরকারী বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ অংশ নিয়েছে। এসবেও তো দুর্নীতি তো কমছে না, বরং বাড়ছে! তাই দুর্নীতিবাজ ও তার সহযোগীদের সামাজিকভাবে বয়কট, দ্রুত সময়ে বিচারে দৃষ্টান্তুমূলক শাস্তি ও সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত না করলে দুর্নীতি কমবে না। ধর্মীয় বিধান মতে, ইবাদত কবুলের প্রথম শর্ত হালাল রুজী। বিষয়টি সার্বক্ষণিক ব্যাপকভাবে প্রচার করতে পারলে দুর্নীতি কিছু কমবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র‌্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী

মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী