এখন নীরব থাকা কিংবা বিতর্ক করার সময় নয়
২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০৬ এএম
বিশ্ব মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনের নামটি মুছতে বসেছে। তদস্থলে ইসরাইলের নামটি বসতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ২৫০ কোটি মুসলিমের কাছে প্রশ্ন, ইতিহাস থেকে কি ফিলিস্তিন নামটি এভাবেই চিরতরে হারিয়ে যাবে? মুসলিম রাজা-বাদশাহ ও শাসকরা কি বসে বসে এখনো এটা দেখবেন? গাজার হাড্ডিসার শিশুর প্রতি কি তাদের এতটুকুও করুণা সৃষ্টি হবে না? বিগত ৭৬ বছর ধরে অবৈধ ইসরাইল ফিলিস্তিনের মাটি দখল করে আছে। তারা ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের ভিটেমাটি থেকে বিতাড়িত করেছে। লক্ষ লক্ষ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। বিগত পাঁচ মাসের হামলায় হাজার হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে তারা শহীদ করেছে। তারা বেছে বেছে শিশুদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। শিশুরা যাতে যোদ্ধা হতে না পারে সেজন্য তাদের উপর নির্মম আচরণ করছে। তারা নারীদের উপর বেপরোয়া হামলানীতি অবলম্বন করেছে। ইতোমধ্যে তারা সুনির্দিষ্টভাবে ২০ হাজার গর্ভবর্তী নারীকে হত্যা করেছে। উদ্দেশ্য, নারীরা যাতে যোদ্ধা জন্ম দিতে না পারে। রমজান মাসে আমেরিকা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গাজায় মার্কিন সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে। ব্যবসার কথা বললেও মূলত তারা গাজাকে দখল করার পরিকল্পনা নিয়েই সৈন্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, ইসরাইলের সাড়ে পাঁচ মাসের যুদ্ধে ভয়ানক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। তারা যুদ্ধে পরাজিত হয়েছে। কিন্তু মুখে স্বীকারও করতে পারছে না আবার যুদ্ধ বন্ধও করতে পারছে না। প্রতিদিন তারা ডজন ডজন সামরিক কমান্ডার হারাচ্ছে। সেনাবাহিনীপ্রধান হবার সম্ভাব্য প্রায় ৫০ জন মেধাবী কমান্ডার ইতোমধ্যেই হামাসের হাতে মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ট্যাংকের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ইসরাইলের সবচেয়ে শক্তিশালী ট্যাংকের নাম মারকাভা ট্যাংক। এরকম ২ হাজার ২০০টি ট্যাংক আছে ইসরাইলের, যার একটির ওজন প্রায় ৭০ টন। গাজার যুদ্ধে প্রায় ৬০টি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে। এর একটির মূল্য ৩ বিলিয়ন ডলার বা ৩২ হাজার ১৯০ কোটি টাকা! এছাড়া এ যুদ্ধে ইসরাইলের প্রতিদিনের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় পৌনে তিনশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখানে স্পষ্টতই ইসরাইলের পরাজয় হয়েছে। কিন্তু বিশ^মোড়ল আমেরিকা ও ইসরাইল এ পরাজয় কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এখন তাদের মূল টার্গেট হলো গাজাবাসীকে উচ্ছেদ করে গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। অতঃপর গাজায় বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা। গাজার তলদেশ রয়েছে আল্লাহ প্রদত্ত প্রাকৃতিক নানা সম্পদে পরিপূর্ণ। ইসরাইলের ১২টি তেল অনুসন্ধান কমিটি ইতোমধ্যেই এর তলদেশে ব্যাপক তেল, গ্যাস ও পেট্রোলের সন্ধান পেয়েছে। ইসরাইলের উদ্দেশ্য এ সম্পদকে কুক্ষিগত করা। বর্তমানে ইসরাইলকে তেলের জন্য আরবদেশগুলোর উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু গাজা দখল করতে পারলে ইসরাইলের আর আরবের উপরে নির্ভর করা লাগবে না। গাজার আয়তন মাত্র ৩৬০ বর্গ কি.মি বা ১৪০ বর্গ মাইল। এর কোথাও এখন আর কোনো বাড়িঘর অবশিষ্ট নেই। সবই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গাজাবাসী তাই একত্রিত হয়েছে মিশরের রাফাহ সীমান্তে। জীবন বাঁচাতে এখানে তারা একটু আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু কতো নিষ্ঠুর কাপুরুষ ইসরাইল! এ সমস্ত নিরীহ মানুষদের উপর চালাচ্ছে বিমান, মিসাইল ও রকেট হামলা! প্রতিদিন নিহত হচ্ছে শত শত শিশু ও নারী। একটি জাতিকে নির্মূল করতে ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা নিয়ে তারা গণহত্যায় মেতে উঠেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ২৫টি রাষ্ট্রের জনসংখ্যা ৩৭ কোটি। তারা প্রায় সবাই অত্যন্ত বিলাসী জীবন যাপন করে। বিশেষত, তাদের রাজা-বাদশাহ বা শাসকরা সীমাহীন আয়েশী জীবন যাপনে অভ্যস্ত। ফিলিস্তিন তথা মুসলিম উম্মাহ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা আমোদ ফুর্তিতে, প্রমোদ ভ্রমণ করছে। এ সমস্ত রাজা-বাদশাহ-শাসকরা ইসরাইলের মানসিক সেবাদাসে পরিণত হয়ে আছে। ভবিষ্যতে যাতে তাদের সম্বিত না ফেরে সে আয়োজনে এখন ব্যস্ত ইসরাইল ও আমেরিকা। অদূর ভবিষ্যতে তারা যাতে মাথা তুলতে না পারে সে ব্যবস্থা করতেই ইসরাইল পরিপূর্ণভাবে গাজাকে দখল করতে চাইছে।
যদি ইউরোপের কথা বলি তাহলে দেখা যায়, ইউরোপীয় কট্টর ইহুদিরা বিশ^ থেকে মুসলিম নাম নিশানা মুছে ফেলতে চায়। গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে পরিচালিত হত্যাযজ্ঞ তারই স্পষ্ট প্রমাণ। তারা মিথ্যা অজুহাতে ইরাক ও লিবিয়াকে ধ্বংস করেছে। ইউরোপে কোনো মুসলিম জাতিসত্ত্বা থাকবে না মর্মে তারা ঘোষণা দিয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সরকারি ছত্রছায়ায় কোরআনকে অবমাননা করা হয়েছে। ইসলামের নবীকে নিয়ে নানাভাবে কটাক্ষ করা হচ্ছে। মুসলিম মিল্লাতকে জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।
এদিকে উপমহাদেশে চলমান আছে ভয়াবহ মুসলিম নির্যাতন। ভারতকে হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার বৃহৎ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে মোদি সরকার। পরিকল্পিত রাষ্ট্রটির পরিধি পরিকল্পনায় রয়েছে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ। নেপাল-ভুটান হয়ে শ্রীলংকা, ভারত এবং মায়ানমার। ইতোমধ্যে পাকিস্তান ভঙ্গুর এবং অকার্যকার রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশটিতে গণতন্ত্রের ছদ্মাবারণে চলছে সেনাশাসন। চলছে ভয়াবহ অর্থ সংকট। দীর্ঘ হচ্ছে ঋণের বোঝা। ফলে যে কোনো সময় এটি দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।
ভারতে মুসলিমদের অবস্থা কোনো সময়ই সুখকর ছিলো না। অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে ভারতে মুসলমানদের অবস্থা খুবই নাজুক। মুসলিমদের নির্যাতনের মাধ্যমে জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। কাশ্মীরের স্বাধীনতা এবং স্বায়ত্তশাসন খর্ব করে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। কাশ্মীরের মুসলিমদের নাগরিক অধিকার সংকুচিত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে ইহুদি-মুশরিকদের আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র অনেক পুরাতন। সম্প্রতি এ ষড়যন্ত্র মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উপরে শকুনের নজর বিস্তৃত হয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছানোর টার্গেট হিসেবে সর্বপ্রথম এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই এদেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। অথচ, শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে জাগ্রত হয় দায়বোধ, জাতীয়তাবোধ ও মূল্যবোধ। শিক্ষার মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী খুুঁজে পায় দেশপ্রেম, জাতীয় সত্তা ও সামনে চলার পথ। যোগ্যনেতা, সৎ, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হবার একমাত্র মাধ্যম হলো শিক্ষা। সুশিক্ষাই একজন শিক্ষার্থীকে দেশ ও জাতি গড়ার কাজে প্রেরণা যোগায়। শিক্ষার নীতিমালার ভিতরেই একটি দেশের অধিকাংশ মানুষের বিশ^াসের প্রতিফলন ঘটে। বিশেষত দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের লোকাচার, জীবনাচার, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটে শিক্ষাব্যবস্থায়। বিভিন্ন দেশের পাঠ্যসূচি বিন্যাস সাধারণত এ নিয়মেই হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এর ছিঁটেফোটাও নেই।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে সেটা ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রতিবছর নতুন বইয়ে নতুন সিলেবাস ও নতুন অধ্যায় বিন্যাস করা হচ্ছে। স্কুল-কলেজ থেকে ইতোমধ্যে ধর্মীয় শিক্ষার বিদায় হয়েছে। কলেজের ইসলামী শিক্ষার শিক্ষকগণ ঐচ্ছিক শিক্ষকে পরিণত হয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী আলিয়া মাদ্রাসার ইসলামী শিক্ষার সিলেবাসকে চরমভাবে সংকুচিত করা হয়েছে। ধর্মহীনতার ছোবলে বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য কিশোর গ্যাঙ। তুচ্ছ কারণে তারা ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠছে। শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস মানেই হলো একটি জাতিসত্ত্বার কবর রচিত হওয়া, যার ফলে বীর বাঙালি ইতোমধ্যেই মেরুদ-হীন একটি ক্রীতদাস জাতিতে পরিণত হয়ে গেছে। তাদের শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতির স্বকীয়তা বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। তাদের জাতীয়তাবোধ বলতেও আর কিছুই নেই। ভিনদেশি গোলামির জিঞ্জিরে তারা শৃঙ্খলিত হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ একটি ঘটনার উল্লেখ করা যেতে পারে। আমাদের বন্ধু প্রতীম একমাত্র দেশ হলো ভারত। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সক্রিয় সাহায্যকারী দেশ। এখনও পর্যন্ত ভারতের একমাত্র বন্ধু দেশ বাংলাদেশই। উপমহাদেশে তার দ্বিতীয় কোনো বন্ধু রাষ্ট্র নেই। বাংলাদেশের তিন দিকেই ভারত। বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে সীমানা, এটি বিশে^র পঞ্চম দীর্ঘতম ভূমি সীমানা, যার দৈর্ঘ্য ৪ হাজার ১৫৬.৫৬ কিলোমিটার। এই বন্ধু রাষ্ট্রটি প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের সাথে শত্রুর মতো আচরণ করে। এ শত্রুতার বহুমুখী উদাহরণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হলো সীমান্ত হত্যা। মানবাধিকার সংস্থগুলোর তথ্যানুযায়ী, সীমান্তে গত ৫২ বছরে ১ হাজার ৯৩০ জন বাংলাদেশি ভারতীয় সীমান্তরক্ষীর গুলিতে নিহত হয়েছে। এ পর্যন্ত যার একটিরও বিচার পাওয়া যায়নি। অথচ, ভারতের সবচেয়ে শত্রু রাষ্ট্র যথাক্রমে পাকিস্তান ও চীন। ভারতের সাথে চীনের সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কিলোমিটার। বিশাল এই সীমান্তে গত ৫২ বছরে একজন চীনা নাগরিক নিহতের ঘটনা ঘটেনি। পাকিস্তানের সাথে ভারতের সীমান্তের দৈর্ঘ প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটিার। বিগত ৭৭ বছরে এ দীর্ঘ সীমান্তে একজন পাকিস্তানি নাগরিক নিহতের তেমন কোনো ঘটনাও ঘটেনি। অথচ, বাংলাদেশের সাথে এটা অহরহ ঘটলেও আমরা অসহায় নির্বিকার! এই যখন অবস্থা তখন বাংলাদেশে কতিপয় আলেমের কার্যক্রম রীতিমতো হাস্য রসিকতার বিষয়বস্তু হয়েছে। তারা শবে বরাত নিয়ে রুচিহীন বক্তব্য প্রদান করে জাতিকে ব্যথিত করেছে। কওমি মাদ্রাসা এবং আলিয়া মাদ্রাসার বিরোধ অতি প্রাচীন। একে প্রশমিত করবার কোনো পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত কেউই গ্রহণ করেনি। মুসলিম উম্মাহর সংকটময় মুহূর্তে সেটিকে আরো উস্কে দেয়া হচ্ছে! মাযহাব এবং লা-মাযহাবী দ্বন্দ্বের বিষয়টিও পুরনো। এদ্বন্দ্বটিও ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। সমাধানের জন্য একজন আলেমও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং এটিকে আবারো নতুন করে জীবিত করে ফেতনা সৃষ্টি করে চলেছে। সত্যের মাপকাঠি নিয়ে খামাখাই মাঠ গরম করে চলেছেন কিছু আলেম। অথচ সাধারণ কমনসেন্স বিশিষ্ট ব্যক্তিমাত্রই জানে যে, সত্যের মাপকাঠি হলো সেই ব্যক্তি যিনি সরাসরি আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত, নির্বাচিত, পরিচালিত ও মনোনীত। যিনি জীবনে কখনও ভুল করেননি। পার্থিব জীবন পরিচালনা করতে যিনি আল্লাহ কর্তৃক ওহিপ্রাপ্ত। আর তিনি নবী ও রাসুল ছাড়া কেউ নন। সাহাবীগণ ইসলাম গ্রহণের আগে নিস্পাপ ছিলেন না, এটা সবাই অবগত। কিন্তু নবী ও রাসুলগণ নবুয়ত পাওয়ার আগেও কোনো ভুল করেননি। নবুয়ত পাওয়ার পরেও কোনো ভুল করেননি। সাহাবীগণ ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম হয়েছিলেন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত মুসলিম হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন। কিন্তু নবীদের বেলায় এমনটি ঘটেনি বিধায় সত্যের মাপকাঠি শুধু নবী ও রাসুলগণ। একটা সেটেল্ড ইস্যু নিয়ে শুধু শুধু পরিবেশ নষ্ট করা নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক।
কিছু আলেম আবার নফল ও মুস্তাহাব ইবাদতের পসরা খুলে ইবাদতের নামে খেলাধুলায় মত্ত রয়েছে। চোখের সামনে যারা মুসলিমদের গণহত্যা দেখে কথা বলে না, গণহত্যা বন্ধ করতে কোনো উপায় অনুসন্ধান করে না, তারা দেড় হাজার বছর আগের মৃত সাহাবার শান রক্ষায় মাঠে নেমেছে! যখন এদের দরকার ছিল রক্ত দেয়ার, তখন এরা কিতাব খুলে দলিল নিয়ে বাহাসে বসার হুঙ্কার দিচ্ছে! যামানা তাদের কাছে এখন দলিল চায় না, চায় ঐক্য। চায় বুকের তাজা রক্ত। রক্তের পরিবর্তে যখন কেউ দলিল দেখায়, তখন ভিতু ও কাপুরুষ ছাড়া আর কী বলা যায়। চারিদিকে এখন উম্মাহর সংকট! রণাঙ্গনে চলছে এখন যুদ্ধ। কিতাবের পসরা খুলে দলিল দেয়ার সময় এখন নয়। যুগের প্রয়োজন এখন মুজাহিদের। অথচ কোথাও এখন আর মুজাহিদের দেখা নেই।
লেখক: অধ্যাপক, দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগ পেলেন ড. এস এম হাসান তালুকদার
৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
২০ কোটি সহায়তা দিয়ে এখনও বিএনপির ত্রাণ তহবিলে ৭ কোটি টাকা জমা রয়েছে : ডা. জাহিদ
বাইতুল মোকাররমে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, আহত ৩ মুসল্লি
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ফিরোজ হোসেনকে গ্রেফতার
বান্দরবানে বিজিবির অভিযান: অস্ত্র-গোলাবারুদ, ড্রোন ও সিগন্যাল-জ্যামারসহ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে তিন লক্ষ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ, গ্রেফতার ২
পলাতক আওয়ামী খতিবের বিরুদ্ধে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিল
মাগুরায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের উপর আক্রমণ করে পালিয়ে গেলেন আওয়ামী খতিব
ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ
শিক্ষক ভিন্ন ধর্মালম্বি হলেও তার সাথে ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ ও সম্মান করতে হবে -ছারছীনার পীর ছাহেব
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ সদরদপ্তর
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ গ্রেপ্তার ৩
কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা
সাকিব-লিটনের ব্যাটে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা
মণিপুর সংঘাত ইস্যুতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার
বাংলাদেশ বেতারে উর্দু সার্ভিস চালু করতে পর্যালোচনা সভা
তোফাজ্জলের জানাজায় মানুষের ঢল, দাফন হলো বাবা-মা ও ভাইয়ের কবরের পাশে
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ