ফিলিস্তিন ও একটি অভাগা জাতির দুঃখনামা
২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ১২:১০ এএম
বর্তমান ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েল ভূখ- ছিল প্রাচীন যুগের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ সভ্যতা। এর নিকটবর্তী অন্যান্য সভ্যতা যেমন, ব্যাবিলনীয়, আসিরীয়, পারস্য, মেসিডোনিয়া এবং রোমানরা সাম্রাজ্য বিজয়ে যেসব অভিযান পরিচালনা করেছিল তাতে হিব্রু সভ্যতার সঙ্গে সংঘাত ও যুদ্ধবিগ্রহ সংঘটিত হয়েছিল। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত পিতৃপুরুষরা এই অঞ্চলে ইহুদি রাষ্ট্রের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বলে ইহুদিরা বিশ্বাস করে। সে কারণে তারা এখানে তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ধর্মীয় অধিকার বলে দাবি করে থাকে।
এ নিয়ে শুরু থেকেই অন্য ধর্মাবলম্বী, গোত্র এবং জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধ ইতিহাসের পথপরিক্রমায় একের পর এক ঘটতে দেখা গেছে। তাতে পরাজিত হলে তাদেরকে দাসে পরিণত করা হয়। জুডেয়া নামক স্থানে ইহুদিদের বড় ধরনের বিদ্রোহ ১৩৫ খ্রিষ্টাব্দে সংঘটিত হয়। রোমান সম্রাট হাড্রিয়ান সেটি দমন করেন। এরপর তিনি রোমানদের নিয়ে সিরিয়া ও জুডেয়াকে একত্রিত করে সিরিয়া-প্যালেস্টাইন গঠন করে। কিন্তু এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি বরং একের পর এক রক্তক্ষয়ের ঘটনা ঘটেছিল। এখান থেকে অনেক ইহুদি পালিয়ে অন্যত্র চলে যায়। অষ্টম শতকে ফিলিস্তিনিদের ভূখ- জয় করে আরব মুসলমানরা। ইউরোপ থেকে একাদশ-ত্রয়োদশ শতকে ধর্মযুদ্ধের অভিযান শুরু হলে জেরুজালেম পর্যন্ত সেই অভিযানে অনেকেই নেতৃত্ব প্রদান করেন।
ফিলিস্তিনিরা হতভাগ্যই বটে। তারা প্রায় এক শতক ধরে নিজেদের ভূখ-ে দখলদার ইহুদিদের হাতে মার খাচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ঝরছে রক্ত। ফিলিস্তিনিরা আজও মরছে।
ফিলিস্তিন ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে। আরব মুসলমানেরা ছিল সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। উনিশ শতকের শেষ দিকে জায়ানবাদী আন্দোলন গড়ে ওঠে। ইহুদিদের চোখ পড়ে আরব ভূখ-ে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা ইহুদিরা ফিলিস্তিনে এসে বাসা বাঁধতে থাকে। তাদের সংখ্যা ক্রমে বাড়ে। সবকিছুর উদ্দেশ্য, আরব ভূখ- দখল করে ‘আবাসভূমি’ গড়ে তোলা।
বিশ শতকের শুরুর দিকে অটোমান সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ইউরোপীয় শক্তিগুলো তাদের প্রভাব বাড়ায়। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমানদের বিরুদ্ধে আরবদের বিদ্রোহে নামায় ব্রিটিশ সরকার। ফিলিস্তিনি ভূখ-ে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইহুদিদেরও গোপনে আশ্বাস দেওয়া হয়।
১৯১৭ সালে ব্রিটিশ সরকার বেলফোর ঘোষণায় ফিলিস্তিনে ‘ইহুদিদের একটি জাতীয় বাসস্থান’ প্রতিষ্ঠায় সমর্থন জানায়। অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হলে ফিলিস্তিনির ম্যানডেট পায় ব্রিটিশরা। ফিলিস্তিনে দলে দলে অভিবাসী ইহুদি আসতে থাকে। বিরোধিতা সত্ত্বেও সেখানে তারা বসতি গড়ে তোলে। এরপর ১৯২০, ’২১, ’২৮, ’২৯ ও ’৩৬ সালে আরবদের সঙ্গে ইহুদিদের সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ১৯৩৩ সালে অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির ক্ষমতায় এলে ইহুদিদের ওপর নিপীড়ন শুরু হয়। সেখানকার ইহুদিরা পালিয়ে ফিলিস্তিনে আসে। ফিলিস্তিন ভূখ-ে ইহুদিদের তৎপরতা আরও বেড়ে যায়। ব্রিটিশ শাসন ও ইহুদি দখলদারির বিরুদ্ধে ১৯৩৬-১৯৩৯ সালে সংঘটিত হয় আরব বিদ্রোহ। ওই বিদ্রোহ দমন করা হয়। নিহত হয় পাঁচ হাজার আরব।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিলিস্তিন নিয়ে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে বৈরিতা বেড়ে যায়। ফিলিস্তিনের ওপর ম্যানডেট ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সরকার। একই সঙ্গে এই ভূ-ভাগ্য নির্ধারণে সদ্যগঠিত জাতিসংঘকে অনুরোধ জানানো হয়। ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনিকে দ্বিখ-িত করে পৃথক ইহুদি ও আরব রাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দেয়। আরবদের বিরোধিতা সত্ত্বেও পরিকল্পনাটি এগিয়ে যায়। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের নীলনকশায় ইহুদিদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়।
১৯৪৮ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনির ম্যানডেট ছেড়ে দেয়। ওই দিনই ইহুদি নেতারা ইসরাইল রাষ্ট্রের ঘোষণা দেন। পরদিন আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ বেঁধে যায়। যুদ্ধে আরবরা পরাজিত হয়। উপরন্তু প্রস্তাবিত আরব রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ দখল করে ইসরাইল। সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী হয়।
মিত্রদের সহযোগিতা ও আশকারায় দিন দিন অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ইসরাইল। ষাটের দশকে পারমাণবিক বোমার মালিক বনে যায় তারা। দখলদারি ও বর্বরতার ব্যারোমিটার বাড়তে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরাইলের একগুঁয়েমি ও নৃশংসতায় ফিলিস্তিনে রক্তগঙ্গা বইতে থাকে। আরব-ইসরাইলের মধ্যে ১৯৫৬, ১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালে আরও তিনটি যুদ্ধ হয়। এতে ফিলিস্তিনের ভাগ্যে দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই জোটেনি। মুক্তির সংগ্রামের লক্ষ্যে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও)। ১৯৬৮ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ইয়াসির আরাফাত ছিলেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান। তিনি ফিলিস্তিনের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দল ফাতাহরও নেতা ছিলেন। ইসরায়েলি দখলদারির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করতে ১৯৮৭ সালে গঠিত হয় হামাস। তাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সামরিক শাখা রয়েছে। কট্টরপন্থী সংগঠনটি ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় না।
ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ফিলিস্তিনের দুই অংশ পশ্চিম তীর ও গাজা ২০০৭ সালের আগস্টে চলে যায় দুটি দলের নিয়ন্ত্রণে। সেই থেকে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ পশ্চিম তীরে ও খালেদ মেশালের নেতৃত্বে হামাস গাজা শাসন করছিল। এই অবস্থায় গত এপ্রিলে দুই দলের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। সে অনুযায়ী, নতুন করে নির্বাচনের পর চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি জাতীয় সরকার গঠনের কথা। কিন্তু হামাস-ফাতাহর চুক্তিকে ভালোভাবে নেয়নি ইসরাইল। তাদের মতে, হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন। হামাস-ফাতাহ জাতীয় ঐক্যের সরকার হলে সেই সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যাবে না বলে জানিয়ে দেয় ইসরাইল।
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ পর্যন্ত নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি। বরং দশকের পর দশক ধরে সেখানে নতুন মাত্রায় সংঘাত জন্ম নিয়েছে। ইসরাইলের চলমান হামলার প্রেক্ষাপটে এক লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে চলছে নানা কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। এর আগে ২০১২ সালের নভেম্বরে গাজায় অভিযান চালায় ইসরাইল। তখন আট দিনের মাথায় মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পায় ফিলিস্তিন। এর আগে তারা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ‘পর্যবেক্ষক ভূখ-’ হিসেবে যোগ দিত। কিন্তু এখন ‘সদস্য নয় এমন পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এই রায়কে সার্বভৌম ফিলিস্তিনের ‘জন্মসনদ’ বলে অভিহিত করেছেন। ফিলিস্তিন ভূখ-ে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনিদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম চলছে। আর কত রক্ত ঝরলে, লাশের মিছিল কতটা দীর্ঘ হলে, তাদের ভূখ- স্বপ্নের স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে ধরা দেবে, তা এখনো অজানা।
পবিত্র রমজান ঘিরে পুরো ফিলিস্তিনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম গণহত্যার পাশাপাশি পূর্ব জেরুজালেমে নিপীড়নের শিকার হচ্ছে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে প্রার্থণার উদ্দেশ্যে যাওয়া ফিলিস্তিনিরা। এছাড়া পশ্চিম তীরেও চলছে গণগ্রেপ্তার। অনাহার, রক্তপাত, নির্যাতন আর গণকবরের বীভৎস অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে রমজানে রোজা রাখা শেষ পর্যন্ত কতটা কষ্টের হয়, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা শোনা গেছে সাধারণ ফিলিস্তিনি ও ফিলিস্তিনের বেসামরিক কর্তৃপক্ষের মুখে।
ফিলিস্তিনিরা যখন রমজানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন অনেকেই আশঙ্কা করছে যে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এবং উগ্র জায়নবাদী ইসরাইলিরা অশান্তি উস্কে দিতে পারে। অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। এত আতঙ্কের মধ্যে তারা কীভাবে রোজা রাখবে!
পূর্ব জেরুজালেমের ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কথা বলেছে আলজাজিরা। তাদের কথায় উঠে এসেছে- রমজানের জন্য কোনো প্রস্তুতিই তারা নিতে পারেনি। অনেকে শুধু গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য প্রার্থণা করছে। যেখানে কাসাম ব্রিগেড এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের ইসরাইলে চালানো হামলার প্রতিশোধ নিতে এরই মধ্যে দেশটি গাজার ৩১ হাজার ৮৫ জন বাসিন্দাকে হত্যা করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ এবং অবৈধ বসতি স্থাপনকারী অতি-ডানপন্থি জায়নবাদীরা পবিত্র মাসে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর আক্রমণ করবে, যেমনটি আগে করেছিল তারা। তারা সহিংসতার উস্কানি দিয়ে ফিলিস্তিনিদের পিষে মারবে।
পূর্ব জেরুজালেমে বসবাসকারী ফিলিস্তিনি মানবাধিকার আইনজীবী মুনির নুসিবাহ বলেছেন, ‘আমি সম্ভাব্য উস্কানি নিয়ে সত্যিই চিন্তিত। আমরা অতীত থেকে শিখেছি, রমজান মাসে পূর্ব জেরুজালেমে যত বেশি পুলিশি উপস্থিতি এবং পুলিশি হস্তক্ষেপ থাকবে, ততই আমরা সংঘর্ষ দেখতে পাব।’
লেখক: প্রভাষক, রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাঙামাটিতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকড
দৌলতপুর সীমান্তে অস্ত্র ও মাদক সহ আটক-১
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদে নিয়োগ পেলেন ড. এস এম হাসান তালুকদার
৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
২০ কোটি সহায়তা দিয়ে এখনও বিএনপির ত্রাণ তহবিলে ৭ কোটি টাকা জমা রয়েছে : ডা. জাহিদ
বায়তুল মোকাররমে তুমুল হট্টোগোল-মারামারি
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ফিরোজ হোসেনকে গ্রেফতার
বান্দরবানে বিজিবির অভিযান: অস্ত্র-গোলাবারুদ, ড্রোন ও সিগন্যাল-জ্যামারসহ প্রযুক্তি সরঞ্জামাদি উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে তিন লক্ষ জাল টাকা এবং জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদিসহ, গ্রেফতার ২
পলাতক আওয়ামী খতিবের বিরুদ্ধে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষুব্ধ জনতার মিছিল
মাগুরায় যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের উপর আক্রমণ করে পালিয়ে গেলেন আওয়ামী খতিব
ফলোঅনের শঙ্কায় বাংলাদেশ
শিক্ষক ভিন্ন ধর্মালম্বি হলেও তার সাথে ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ ও সম্মান করতে হবে -ছারছীনার পীর ছাহেব
আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশ সদরদপ্তর
আখাউড়ায় ১১৫০ কেজি ভারতীয় কফিসহ গ্রেপ্তার ৩
কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা, ঘরবাড়ি ভাংচুর লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা
সাকিব-লিটনের ব্যাটে ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা
মণিপুর সংঘাত ইস্যুতে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারত সরকার