ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১

পশ্চিমাদের মানবতা গাজায় মারা গেছে

Daily Inqilab জালাল উদ্দিন ওমর

২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২ এএম

জাতিসংঘ ঘোষিত সর্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রে বিভিন্ন উপধারাসহ মোট ৩০টি মূলধারা সংযুক্ত। এই ঘোষণাপত্রে আইনের দৃষ্টিতে সকলের সমান অধিকার, জাতীয়তা লাভের অধিকার, চিন্তা-বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার, স্বাধীন মতো প্রকাশের অধিকার,সভা সমাবেশ করার অধিকার, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিজ দেশে সরকারে অংশগ্রহণের অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের অধিকার, সকলের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার এবং সর্বোপরি শাসনতন্ত্র বা আইন কর্তৃক প্রদত্ত মৌলিক অধিকার লংঘিত হলে বিচার বা আদালতের মাধ্যমে তার কার্যকর প্রতিকার লাভের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকারের এসব মূলনীতি বিশে^র দেশসমূহ গ্রহণ করেছে। স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর প্রতিটি দেশে বসবাসরত প্রতিটি নাগরিকেরই স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার, মত প্রকাশের এবং রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ হিসেবে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার সকল অধিকার ফিলিস্তিনিদেরও রয়েছে। ধর্ম, বর্ণ এবং গোত্রীয়ভাবে চিহ্নিত করে, তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই। যদি করা হয় তাহলে সেটা গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের সুষ্পষ্ট লংঘন।

ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা এখন এক বিধ্বস্ত জনপদ। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলে রকেট হামলা চালায়। এতে কিছু ইসরাইলি মারা যায় এবং কিছু ইসরাইলিকে বন্দি করা হয়। এর পর থেকেই ইসরাইল নির্বিচারে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এসব হামলায় নিহত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার নিরাপরাধ মানুষ আর আহত হয়েছে ৭৫ হাজার আবাল বৃদ্ধ বনিতা। নারী-পুরুষ-শিশু- বৃদ্ধ কেউই এই হামলা থেকে রেহাই পায়নি। ইসরাইলি বোমায় গাজার মানুষ আজ অকাতরে মরছে। ইসরাইলি বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ধুলোয় মিশে গেছে হাজারো বাড়ি ঘর, অফিস আদালত, স্কুল কলেজ, মসজিদ, গির্জা এবং হাসপাতাল। গাজার বেশির ভাগ মানুষই আজ উদ্বাস্তু। সেখানকার মানুষদের আজ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা কিছুই নেই। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অনেকেই খাবারের অভাবে না খেয়েই মারা যাচ্ছে। ইসরাইলের হামলা অব্যাহত থাকায় সর্বহারা এসব মানুষের কাছে ত্রাণের খাবার এবং চিকিৎসা সামগ্রীও ঠিক মতো পৌঁছানো যাচ্ছে না। গাজায় আজ নেমে এসেছে মানবতার চরম বিপর্যয়। ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত ক্ষুধার্ত মানুষদের ওপর ইসরাইল হামলা চালিয়েও অনেক মানুষকে হত্যা করেছে। রোজা এবং ঈদের দিনেও ইসরাইল হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে। ইসরাইলের এই বর্বরতা এবং নিষ্ঠুরতা চলছেই। এসব হামলার সময় ইসরাইল কোনো ধরনের আইন কানুন, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও যুদ্ধের নিয়ম মানছে না। ইসরাইল সেখানে পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করেছে এবং গণহত্যা চালাচ্ছে। যখন যেখানে ইচ্ছা ইসরাইল বোমা হামলা চালাচ্ছে। ইসরাইল যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তাকে বাধা দেয়ার কেউ নেই। জাতিসংঘের সিদ্ধান্তকেও ইসরাইল মানছে না। ইসরাইলের নির্যাতন থেকে ফিলিস্তিনের নিরাপরাধ জনগণকে বাঁচাতে পশ্চিমা বিশ্ব এগিয়ে আসেনি। ইসরাইল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালালেও, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব যেমন বৃটেন, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া বরাবরই ইসরাইলকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিক সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘে যখনই ইসরাইলের এসব অন্যায় ও অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছে, তখনই যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রয়োগ করে সেই প্রস্তাবকে নাকচ করে দিয়েছে। ফলে ইসরাইল হয়ে ওঠেছে আজ বেপরোয়া। নিরাপরাধ মানুষের আর্তচিৎকারে সেখানকার আকাশ-বাতাস কাঁদছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব কথায় কথায় মানবতার কথা বললেও তাদের সেই মানবতা আজ গাজায় মারা গেছে। একই সাথে পশ্চিমাদের সুনাম, আস্থা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতাও মারা গেছে। জাতিসংঘ ঘোষিত সার্বজনিন মানবাধিকারের কিছুই আজ গাজায় বিদ্যমান নাই।

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব সব সময় বিশ্বব্যাপী মানুষের বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে। মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা সব সময় উপদেশ ও নির্দেশ দেয়। তাদের শত্রু দেশে কিছু হলেই গণতন্ত্র গেল, মানবাধিকার গেল বলে চিৎকার শুরু করে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলতে থাকে। এমনকি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে তারা বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্বাধীন দেশে আক্রমণ করেছে, যুদ্ধ করেছে এবং সেখানে সরকার পরিবর্তনও করেছে। তারা ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা করে তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তারা ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা করে প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। তারা সাদ্দামকে ফাঁসি দিয়েছে এবং সাদ্দামের দুই পুত্র উদয় ও কুশে হোসেনকে এবং তার নাতি মোস্তফাকে হত্যা করেছে। তারা ২০১১ সালে লিবিয়ায় হামলা করে প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে এবং এক পুত্রসহ গাদ্দাফিকে হত্যা করেছে। তারা ২০১১ সালে সিরিয়ায় হামলা করেছে এবং সিরিয়ার হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে। তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যর্থ হলেও, সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করেছে এবং সেখানে ঘাঁটি করেছে। তালেবানদের প্রতিরোধে তরা আফগানিস্তান থেকে ২০২১ সালে চলে গেলেও, ইরাক-লিবিয়া-সিরিয়ায় এখনো সেনাঘাঁটি গড়ে দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে এরা এসব দেশের হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে। অথচ ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় পশ্চিমা বিশ্বের এসব দেশ কখনোই ইসরাইলে হামলা করে না এবং ইসরাইলের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে না। শুধু তাই নয়, তারা উল্টো ইসরাইলকে সবসময় সাহায্য করে। তারা সব সময় বলে ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে এবং ইসরাইলকে রক্ষায় সব সময় পাশে থাকার ঘোষণা দেয়। কিন্তু ইসরাইলের মতো ফিলিস্তিনিদের ও আত্মরক্ষার অধিকার আছে, সেই কথাটি পশ্চিমারা কখনো বলে না। পশ্চিমা বিশ্ব জাতিসংঘকে ব্যবহার করে পৃথিবীর অনেক অঞ্চলকে স্বাধীন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা বিশ্ব জাতিসংঘের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালের ৩০ আগষ্ট গণভোট আয়োজন করে মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়া থেকে খ্রিষ্টান প্রধান পূর্ব তিমুরকে স্বাধীন করেছে। এরা একইভাবে ২০১১ সালের ৯-১৫ জানুয়ারি গণভোট আয়োজন করে মুসলিম প্রধান সুদান খেকে খ্রিষ্টান প্রধান দক্ষিণ সুদানকে স্বাধীন করেছে। কিন্তু ইসরাইলের আগ্রাসন এবং দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য পশ্চিমা বিশ্ব এবং জাতিসংঘ আজ পর্যন্ত ফিলিস্তিনে কোনো গণভোটের আয়োজন করেনি। বরং ফিলিস্তিনে আগ্রাসন এবং দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এরা ইসরাইলকে সার্বিক সহযোগিতা করে। পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতির কারণে জাতিসংঘও আজ অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতিশ্রুতির কোনো আবেদন এখন আর মানুষের কাছে নেই। তাদের কথাবার্তা এখন আর লোকজন বিশ্বাস করে না। কারণ, তাদের এসব প্রতিশ্রুতি সর্বজনীন এবং বিশ্বজনীন নয়। পশ্চিমাদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি আজ তাদের আগ্রাসন এবং আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে পশ্চিমারা ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া এবং সিরিয়ায় হামলা চালিয়েছে। এরা এসব দেশে লক্ষাধিক মানুষকে হত্যা করেছে, অনেক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। এখানে আগ্রাসনের শিকার হওয়া সবগুলো দেশই কিন্তু মুসলিম দেশ। এভাবে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নামে এরা এসব মুসলিম দেশকে ধ্বংস করেছে। একইভাবে তারা জাতিসংঘকে ব্যবহার করে গণভোটের আয়োজন করে ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুর এবং সুদান থেকে দক্ষিণ সুদানকে স্বাধীন করেছে। এখানে ইন্দোনেশিয়া এবং সুদান হচ্ছে মুসলিম প্রধান দেশ এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত পূর্ব তিমুর এবং দক্ষিন সুদান ছিল খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট এলাকা। তাই তারা মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়া এবং সুদানকে দুর্বল করেছে এবং খ্রিষ্টান সংখ্যাগরিষ্ট এলাকা পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছে। অথচ, ইসরাইলের আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন এবং মুক্ত করার কোনো কর্মসূচি পশ্চিমা দেশগুলোর নেই। ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে রেখেছে আর প্রতিনিয়তই ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের হত্যা করেছে, আটক করছে, বাড়িঘর ধ্বংস করছে। কিন্তু ফিলিস্তিনিদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কোন উদ্যোগ এবং কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র বৃটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো কখনো গ্রহণ করেনি। বরং ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের কথা বলে পশ্চিমা বিশ্ব সবসময় নিঃশর্তভাবে ইসরাইলকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামরিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। কারণ এখানে ফিলিস্তিনিরা মুসলমান এবং ইসরাইল একটি ইহুদি রাষ্ট্র। আজ যদি কোনো মুসলিম দেশ কোন খ্রিষ্টান অথবা ইহুদি রাষ্ট্র দখল করত এবং মুসলমানরা কোনো খ্রিষ্টান অথবা ইহুদি জনগোষ্টির বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং হত্যাযজ্ঞ চালাত, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব কখনোই চুপ থাকত না। সাথে সাথে মুসলিম দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত এবং মুসলমানদের নির্যাতন থেকে খ্রিষ্টান অথবা ইহুদি জনগোষ্ঠিকে রক্ষায় এগিয়ে আসত। ফিলিস্তিন স্বাধীন হলে নতুন একটি মুসলিম দেশের অভ্যুদয় হবে এবং ইসরাইল দুর্বল হবে, যা পশ্চিমা বিশ্ব মানতে একেবারেই নারাজ। তাই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা এবং হত্যাযজ্ঞেও পশ্চিমা বিশ্ব নীরব থাকে এবং ফিলিস্তিনে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসে না। পশ্চিমাদের এই দ্বৈতনীতি কিন্তু পশ্চিমাদের জন্যই বিপর্যয় ডেকে আনবে। কারণ প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বর্বরতা এবং এই ইস্যুতে পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতির ও একটা প্রতিক্রিয়া আছে এবং থাকবেই। আর সে প্রতিক্রিয়ায় মুসলমানরা অধিক হারে পাশ্চাত্যবিরোধী এবং শক্তিশালী হবে। দ্বৈতনীতির কারণে বিশ্বজুড়ে পশ্চিমাদের ওপর মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে এবং আস্থাহীনতা সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই আস্থাহীনতা পশ্চিমাদের জনবিচ্ছিন্ন করবে এবং তাদের প্রতিপক্ষ রাশিয়া, চীন, উত্তর কোরিয়া, ইরানকে শক্তিশালী করবে। মনে রাখতে হবে, ক্ষমতার দাপট আর সামরিক শক্তির জোরে পৃথিবীকে বেশিদিন শাসন করা যায় না। যদি হতো তাহলে গ্রিক, রোমান আর বৃটিশরা চিরদিনই পৃথিবীকে শাসন করত। জার্মান আর সোভিয়েত সাম্রাজ্যের কোনদিনই পতন হতো না। ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র অপরাজেয় কোনো শক্তি নয়। সুতরাং তাদের অবনমন ও পতন অবশ্যম্ভাবী।

লেখক : প্রকৌশলী এবং উন্নয়ন গবেষক
[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

যে কোনো মূল্যে লাহোর কর্মসূচি সফল করুন: ইমরান খান

যে কোনো মূল্যে লাহোর কর্মসূচি সফল করুন: ইমরান খান

চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২

চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ নিহত ২

যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ভবনে বিচারককে গুলি করে হত্যা

যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত ভবনে বিচারককে গুলি করে হত্যা

ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর

ডিবির সাবেক ডিসি ৭ দিনের রিমান্ডে দলীয় বিবেচনায় শুদ্ধাচার পুরস্কার পান মশিউর

খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের

খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘর্ষ: তিন জেলার মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান সরকারের

গরমে যেন শেষ সিলেট !

গরমে যেন শেষ সিলেট !

গল টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা

গল টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা

প্রেতাত্মাদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন হাসিনা

প্রেতাত্মাদের উসকে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন হাসিনা

ময়মনসিংহে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ছয় সদস্য গ্রেপ্তার

খাগড়াছড়িতে হামলা, প্রতিবাদে ইবির আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

খাগড়াছড়িতে হামলা, প্রতিবাদে ইবির আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নানকে জেলহাজতে প্রেরণ

সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নানকে জেলহাজতে প্রেরণ

কালীগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন আটক

কালীগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন আটক

হাবিপ্রবিতে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভিসি নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

হাবিপ্রবিতে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ভিসি নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

ফ্যাসিবাদী দোসর মিডিয়া লীগে সংস্কার জরুরী

ফ্যাসিবাদী দোসর মিডিয়া লীগে সংস্কার জরুরী

যৌথবাহিনীর হাতে সিলেট আটক বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য

যৌথবাহিনীর হাতে সিলেট আটক বিপুল পরিমান ভারতীয় পণ্য

পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ

পরাজিত শক্তি এবং সুবিধাবাদীরা সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে লিপ্ত- বিমানবন্দরে সংবর্ধনা কালে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মুশাহীদ

নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’

নোয়াখালীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ ‘জুলুম-নির্যাতন করে আস্তাকুঁড়ে চলে গেছেন কাদের মির্জা’

পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত

পুলিশের সামনে হামলা বিএনপি ও যুবদল নেতা আহত

গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল

গাজীপুরে ছুটির দিনেও ২৫ শতাংশ কারখানা খোলা ছিল

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা জাতিসংঘে তুলে ধরবেন প্রধান উপদেষ্টা