আধিপত্যবাদ রুখতে পণ্যবর্জন অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার

Daily Inqilab কামরুল হাসান দর্পণ

২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২ এএম | আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২ এএম

ভারতীয় পণ্যবর্জন আন্দোলনে বিএনপির আনুষ্ঠানিক সমর্থন যে রয়েছে, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজের ভারতীয় চাদর পুড়িয়ে পণ্যবর্জন আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। এতেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা বিএনপির সমালোচনা করে ভারতের পণ্যের পক্ষে সাফাই গাওয়া শুরু করে দেন। সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকেও এ নিয়ে বিএনপিকে কটাক্ষ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিএনপির নেতাদের স্ত্রী ও নেত্রীরা ভারতীয় শাড়ি পরে। সেগুলো বাসা থেকে এনে পুড়িয়ে দিলে বুঝতাম বর্জন করেছে। এছাড়া, বিএনপির নেতাকর্মীদের ভারতীয় পেঁয়াজ, আদা, মসলা বাদ দিয়ে রান্না করতে বলা হয়। জবাবে বিএনপির নেতারা বলেছেন, তাদের স্ত্রীরা অনেক আগেই ভারতীয় শাড়ি পরা বাদ দিয়েছে। আমাদের দেশের শিল্প ও পণ্য ব্যবহার করে সমৃদ্ধ করতে দলটি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ভারতীয় পণ্যবর্জন নিয়ে ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা না হলেও বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কেন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে? ভারতীয় পণ্যবর্জনে ভারত সরকারের উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা, বাংলাদেশ সরকারের নয়। তাহলে কি, ভারতের হয়ে সরকার কাজটি করে দিল? এখানে সরকারের লাভ থাকতে পারে। দেশের কি লাভ হলো? কোনো সরকার কি পারে নিজ দেশের পণ্য ব্যবহারের আহ্বান না জানিয়ে বিদেশি পণ্যের পক্ষে সাফাই গাইতে? সরকার যে এত উন্নয়ন উন্নয়ন করছে, ভারতীয় পণ্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কি তার উন্নয়নের দৈন্যদশার চিত্রটি তুলে ধরল না? তাহলে, দেড় দশকে দেশের শিল্পায়ন ও পণ্যের কি উন্নতি হয়েছে? দেশকে এখনো ভারতীয় পণ্যের উপর নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে কেন? ভারত পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলে এত হা-হুতাশ করতে হয় কেন? তাহলে কি সরকার চাইছে, পণ্য উৎপাদনে স্বাবলম্বী না হয়ে দেশ ভারতীয় পণ্যের বাজার হয়ে থাকুক? আমাদের কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাক? সরকার একদিকে উন্নয়নের ঢাকা বাজাবে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলবে, অন্যদিকে ভারতীয় পণ্যবর্জনের বিরুদ্ধে সাফাই গাইবে, এটা কেমন কথা? অনেকের মতে, বিষয়টি এমন, ভারতের গায়ে ফুলের টোকা পড়লে সরকার তা সইতে পারে না। ভারত গুলি করে বাংলাদেশীদের হত্যা করলেও তা হাসিমুখে মেনে নিয়ে তার সাথে বন্ধুত্বের প্রশংসা করতে হবে। বাংলাদেশের তরফ থেকে ভারতের মনে কষ্ট দেয়া যাবে না। অবশ্য, ক্ষমতাসীন দলের এ নীতি অবলম্বন করাই স্বাভাবিক। কারণ, দলটি কোনো ধরনের রাখঢাক না করেই বলেছে, ক্ষমতায় আসতে ভারত তাকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে। বলা বাহুল্য, দেড় দশক ধরেই ভারতের সমর্থন নিয়ে দলটি ক্ষমতায় আছে। কাজেই ক্ষমতায় থাকার বিনিময়ে ভারত যা করবে, তার সবই সরকারের কাছে শুদ্ধ। বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব কোনোভাবেই সে বরদাশত করবে না।

দুই.
ভারত বাংলাদেশের সরকারকে এমন প্রোগ্রামড করেছে যে, ভারতবিরোধী মনোভাব দেখা দিলে তার জবাব বা দমন ভারতের হয়ে অটোমেটিক্যালি সরকারই করে দেবে। ফলে প্রশ্ন জাগে, আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রয়েছে কিনা? অবশ্য এর উত্তর অনেক আগেই পাওয়া গেছে। কয়েক বছর ধরে, ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও ব্যক্তিরা বাংলাদেশকে ’৭১ সালেই দখল করে নেয়া উচিৎ ছিল বলে বক্তব্য দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দিয়েছেন। এটা তাদের যে একটা মিশন, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। ধীরে ধীরে তারা এ মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ মিশনের অনেক শাখা-প্রশাখা রয়েছে। প্রথমত ভারত বাংলাদেশকে তার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল করে তুলতে চায়, যাতে ভারতকে ছাড়া বাংলাদেশ এক পা-ও এগুতে না পারে। এর অংশ হিসেবে ক্ষমতায় তার বান্ধব সরকার বসিয়েছে। এরপর তার লোকজন বিভিন্ন ক্ষেত্রে বসিয়ে দিয়েছে। দেখা যায়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কয়েক লাখ ভারতীয় কাজ করছে। দ্বিতীয়ত, দেশের বাজার দখল করা। গত কয়েক বছর ধরে সে এ কাজ করছে। ভারতীয় পণ্য বানের পানির মতো ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এ কাজটি এখনো পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি। নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও ভারতের পছন্দ-অপছন্দ এবং হস্তক্ষেপের বিষয়টি এখন ওপেন সিক্রেট। গত নির্বাচনে ভারতের তালিকানুযায়ী অনেককে প্রার্থী করা হয়েছে বলে শোনা যায়। কোনো কোনো প্রার্থী কর্মীসভায় প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে বলেছেন, আমি ইন্ডিয়ার প্রার্থী। এসব প্রার্থী পাস করে এখন সংসদে। এর অর্থ হচ্ছে, সংসদে ভারতের পছন্দের বা নমিনেটেড ও ইলেকটেড এমপি রয়েছে। ফলে জাতীয় সংসদেও ভারতের সরাসারি আধিপত্য বিস্তৃত হয়েছে। এ সংসদের মাধ্যমে ভারত তার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে। যদিও সরকার বরাবরই বলে আসছে, দেশের বাইরে আমাদের প্রভু নেই, বন্ধু আছে। সরকারকে যখন এ ধরনের বক্তব্য দিতে হয়, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না, ঠাকুর ঘরে কলা কে খায়। আর যেখানে সরকার সরাসরিই বলেছে, ভারত তাদেরকে নির্বাচন করতে সহায়তা করেছে, পাশে ছিল, সেখানে প্রভু ও বন্ধু কে, তা ব্যাখ্যা করে বলার অবকাশ নেই। ভারতের সকল অন্যায় আচরণ ও আবদার সরকার যেভাবে মেনে নিয়েছে, তা কেবল চরম প্রভুভক্তির সাথেই তুলনীয়। বলা বাহুল্য, প্রতিবেশী বদলানো যায় না। তবে প্রতিবেশিকে প্রতিবেশিসুলভ আচরণ করতে হয়। পাশের বাড়ি বা ছোট প্রতিবেশী বলে সর্দারি আচরণ করা যায় না। পারস্পরিক ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। এখন যদি এক প্রতিবেশী আরেক প্রতিবেশীর বাড়িঘর দখল করে নেয়ার মতো আচরণ করে, তাহলে কি তাকে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ বলা যায়? যায় না। দুঃখের বিষয়, আমরা ভারতের প্রতিবেশী হলেও সে আমাদের সাথে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ কখনোই করেনি। আমাদের সাথে যা ইচ্ছা তাই আচরণ করে চলেছে। আমাদের সরকারও গদগদ হয়ে তা মেনে নিচ্ছে। এর কারণ, তাকে যেন ক্ষমতায় রাখা হয়। এমনই আকূল আবেদন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের বছর খানেক আগে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমি ভারত গিয়ে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি, যাতে শেখ হাসিনা সরকারকে রাখা হয়। তার এ কথার পর বুঝতে অসুবিধা হয় না, দেশে কোন দল ক্ষমতায় থাকবে তা বহু আগেই ভারতের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। বিএনপিও কয়েক বছর আগে ভারতকে ম্যানেজ করতে একটি প্রতিনিধি দল ভারতে পাঠিয়েছিল। এ প্রতিনিধিদল ভারতকে বোঝাতে চেয়েছে, তার সাথে বিএনপি খারাপ সম্পর্ক রাখতে চায় না। তবে বিএনপির এ আশ্বাসেও তার প্রতি ভারতের মন গলেনি। অর্থাৎ দেশের দুই প্রধান দলই ক্ষমতায় থাকা ও আসার জন্য ভারতের সমর্থন প্রত্যাশী। আর প্রত্যাশিতভাবেই ভারত বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগকেই তার সবচেয়ে বেশি অনুগত মনে করে। ফলে আওয়ামী লীগই বারবার ক্ষমতায় থেকে যাচ্ছে। বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। অনেকে মনে করেন, আওয়ামী লীগকে ভারত তার মাউথপিস-এ পরিণত করেছে। ফলে বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থবিরোধী কোনো কিছু ঘটলে তা ভারতের চেয়ে আওয়ামী লীগের গায়ে বেশি লাগে। পণ্যবর্জন ক্যাম্পেইন যে ভারতের চেয়ে আওয়ামী লীগের গায়ে বেশি লাগছে, সেটা বুঝতে কষ্ট হয় না।

তিন.
উপমহাদেশে ভারতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যে ভাল নয়, তা তার অখ- ভারত দর্শন ও তার মানচিত্র প্রকাশ থেকে বোঝা যায়। এর উদ্দেশ্য, দক্ষিণ এশিয়ার সবদেশ ভারতের অধীনে থাকবে। অনেকটা অঙ্গরাজ্যের মতো। এ নিয়ে পাকিস্তানসহ অন্যদেশগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেলেও বাংলাদেশ সরকার নিশ্চুপ রয়েছে। মৌনতা সম্মতির লক্ষণ কী? উপমহাদেশে একমাত্র বাংলাদেশকেই ভারত তার করায়ত্তে রাখতে পেরেছে। বাকি সব দেশ তার কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। সরকার এতটাই ভারত নির্ভরশীল যে, ভারত ছাড়া তার ক্ষমতায় থাকার ন্যূনতম গ্যারান্টি নেই। ভারত বাংলাদেশের জনগণকে এখনও হাত করতে পারেনি। এটা করতে পারলে ভারতের স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে। এ নিয়ে চেষ্টাও করছে। বাংলাদেশের মানুষকে দমিয়ে গুরুত্বহীন ও দুর্বল করে দেয়ার জন্য প্রথমেই নির্বাচনী ব্যবস্থা ও গণতন্ত্রকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিলে তাদের মনের জোর বলে কিছু থাকে না। অসহায় হয়ে পড়ে। উচ্চকণ্ঠে ও নির্ভয়ে কথা বলতে পারে না। ফলে প্রতিবাদহীন ও দুর্বল এক জাতিতে পরিণত হয়। অন্যদিকে, কায়দা-কৌশলে বাংলাদেশের মানুষকে ভারতীয় পণ্যের ওপর ধীরে ধীরে নির্ভরশীল করে তুলছে। পণ্য আসক্তি এমন একটি বিষয়, একবার যে এক পণ্যে অভ্যস্ত হয়, পরবর্তীতে ঐ পণ্য ছাড়া তার পক্ষে চলা সহজ হয় না। ভারত মানুষের সহজাত এই অভ্যাসকে টার্গেট করে তার পণ্য বাংলাদেশের বাজারে বানের পানির মতো ছেড়েছে। এমন কোনো প্রয়োজনীয় পণ্য নেই, যা ভারত বাংলাদেশের বাজারে ছাড়ছে না। বাংলাদেশ এখন ভারতের চতুর্থ রফতানির বাজার। এ সরকারের আমলেই ভারত তা অর্জন করেছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, পণ্যের দিক থেকে বাংলাদেশের মানুষকে পুরোপুরি ভারত নির্ভরশীল করে তোলা। তবে আশার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের জনগণকে ভারত এখনও পুরোপুরি চিনতে পারেনি। তার জানা প্রয়োজন, বাংলাদেশের জনগণ কখনোই কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃতিগতভাবে ধৈর্য্যশীল ও সহনশীল। তারা সয়ে যায়। যখন ঘুরে দাঁড়ায় তখন কোনো শক্তিই তাদের সামনে দাঁড়াতে পারে না।

চার.
ভারত মনে করেছিল, বাংলাদেশের জনগণকে সে ঘুম পাড়িয়ে রাখতে পেরেছে। কাজেই বাংলাদেশ তার হাতের মুঠোয়। এখব বুঝতে ারছে জনগণ তার হাতের মোয়া হয়নি। তার পণ্যবর্জনের ক্যাম্পেইন শুরু করে তার ঘায়ে কাঁটার খোঁচা দিতে পেরেছে। আসলে এ এমনই এক যুদ্ধ যে, অক্রমণকারি নিজের কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই শত্রু পক্ষকে কাবু করে ফেলতে পারে। এটাকে ‘ক্ষমতাহীনদের ক্ষমতা’ কিংবা ‘পাওয়ার অফ কমন পিপল’ বলা হয়। এ ক্ষমতাকে কোনো অস্ত্র দিয়ে ঠেকানো যায় না। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখন এই ক্ষমতা দেখাতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে দেশে ভারতীয় পণ্য কেনার হার ধীরে ধীরে কমছে। অন্যদিকে, দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারততোষণকারি তথাকতিথ কিছু বুদ্ধিজীবী বলতে শুরু করেছে, ভারতীয় পণ্যবর্জনে ভারতের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। ভারত মাত্র তার মোট রফতানির ৩ পার্সেন্ট বাংলাদেশে রফতানি করে। এটা বন্ধ হয়ে গেলে ভারতের রফতানিতে প্রভাব পড়বে না। তারা এটা জানে না, ভারতের পণ্য বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে গেলে তার চতুর্থ রফতানির বাজারটি বন্ধ হয়ে যাবে। আর ভারতের টার্গেট তো শুধু ৩ পার্সেন্টে থেমে থাকা নয়, বাংলাদেশের বাজারকে হান্ড্রেড পার্সেন্ট দখল করা। বাজার দখল করতে পারলে, তার যে সুপ্ত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ হয়ে যাবে। তবে এতে বড় ধরনের বাধ সেধেছে পণ্যবর্জন আন্দোলন। বলা বাহুল্য, ছোট ঘটনা থেকেই বিশ্বে বড় বড় ঘটনা ঘটেছে, এমনকি পটপরিবর্তন করে দিয়েছে। ভারতীয় পণ্যবর্জন আন্দোলন ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হলেও তার প্রভাব যেভাবে বিস্তৃত হচ্ছে, তাতে ভারতের আধিপত্যবাদকে যদি কিছুটা হলেও খর্ব করে, তাহলে তা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয় হিসেবে গণ্য হবে। কাজেই, ভারতের পণ্যবর্জন অব্যাহত ও জোরদার করতে হবে। মনে রাখা দরকার, বয়কট হচ্ছে, একটি সমষ্টিগত এবং সংগঠিত বর্জনবাদ যা শ্রম, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক স¤পর্কের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি আন্দোলন। এটি বেশি প্রয়োগ হয়েছে সারাবিশ্বে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে। ইউরোপ, আমেরিকায়ও ব্রিটিশ পণ্য বয়কট আন্দোলন হয়েছিল। ভারতেও ব্রিটিশপণ্য বয়কটের আন্দোলন হয়েছিল। সে আন্দোলন অনেকটাই সফল হয়েছিল। ভারতীয় পণ্যবর্জন চলমান আন্দোলনও ব্যর্থ হবে না।

[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি, ঋণের ঝুঁকি ও প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি

অনিয়ন্ত্রিত মুদ্রাস্ফীতি, ঋণের ঝুঁকি ও প্রবৃদ্ধির শ্লথগতি

ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী

ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী

লক্ষ্যটা নাগালেই রাখল বাংলাদেশ

লক্ষ্যটা নাগালেই রাখল বাংলাদেশ

ইসলামী শিক্ষা নিয়ে যে কোন দূরভিসন্ধি রুখে দিতে হবে পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী শিক্ষা নিয়ে যে কোন দূরভিসন্ধি রুখে দিতে হবে পীর সাহেব চরমোনাই

জনসমর্থন না থাকায় বিএনপি নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে: কুষ্টিয়ায় হানিফ

জনসমর্থন না থাকায় বিএনপি নির্বাচন থেকে দূরে থাকছে: কুষ্টিয়ায় হানিফ

উখিয়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা যুবককে জবাই করে হত্যা

উখিয়া ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা যুবককে জবাই করে হত্যা

ইসলামবিরোধী হিন্দুত্ববাদী কারিকুলাম প্রত্যাখ্যান করুন

ইসলামবিরোধী হিন্দুত্ববাদী কারিকুলাম প্রত্যাখ্যান করুন

শাহজালালে তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

শাহজালালে তিনদিন ৩ ঘণ্টা করে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

মুস্তাফিজকে ছাড়াই চেন্নাইয়ের বড় জয়

মুস্তাফিজকে ছাড়াই চেন্নাইয়ের বড় জয়

সুদহার শিগগিরই বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে: গভর্নর

সুদহার শিগগিরই বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে: গভর্নর

মোদির মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণায় এবার উপজীব্য ভোট জিহাদ, তারপর কী?

মোদির মুসলিম বিদ্বেষী প্রচারণায় এবার উপজীব্য ভোট জিহাদ, তারপর কী?

‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক

‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির ৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি. এর শরি‘আহ্ সুপারভাইজরি কমিটির ৪৪তম সভা অনুষ্ঠিত

দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

দুই দিনে সোনার দাম বাড়ল ১৭৮৫ টাকা

এসআই পদে বয়সসীমা ৩০ করা হোক

এসআই পদে বয়সসীমা ৩০ করা হোক

ইউরোপীয় রাজনীতিতে শরণার্থী প্রসঙ্গ

ইউরোপীয় রাজনীতিতে শরণার্থী প্রসঙ্গ

হিন্দুত্ববাদের কবলে আমাদের পাঠ্যবই

হিন্দুত্ববাদের কবলে আমাদের পাঠ্যবই

রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব কী?

রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব কী?

দরকারী কাগজে নাপাকি লাগলে কী করণীয় প্রসঙ্গে।

দরকারী কাগজে নাপাকি লাগলে কী করণীয় প্রসঙ্গে।

প্রভাবিত হবে ইসরাইলের লোহা ইস্পাত পরিবহন ও ইলেকট্রনিক খাত

প্রভাবিত হবে ইসরাইলের লোহা ইস্পাত পরিবহন ও ইলেকট্রনিক খাত