বাজেট বাস্তবায়নই আসল চ্যালেঞ্জ

Daily Inqilab আর কে চৌধুরী

১১ জুন ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ১২:০৭ এএম

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে মূল্যস্ফীতি রোধের চ্যালেঞ্জ, ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে বিশাল আকারের ঋণ এবং ব্যয় সংকোচন নীতি সম্পর্কে কথা বলেছেন। মন্ত্রীর আশাবাদ, বছর শেষে মূল্যস্ফীতি কমবে। বাজেটের আকার কমানো হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য নিয়ে। ব্যাংক ঋণ নেওয়ার যৌক্তিকতা প্রমাণে বলেছেন, সব সরকারই ঋণ করে দেশ চালায়। উন্নত দেশগুলো আরও বেশি ঋণ নেয়। মন্ত্রীর যুক্তি ব্যাংক ঋণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে। এজন্য বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে না।

অর্থমন্ত্রীর ভাষ্য, মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ঘরে। বৈশ্বিক কারণে মুদ্রার ওপর চাপ বাড়ায় টাকার মান কমেছে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়ার একটি কারণ। এটি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উন্নত দেশগুলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তাদের দেশে সুদহার বাড়িয়েছে। এর ফলে আমাদের দেশে ক্যাপিটাল ফ্লো কমতে থাকে। একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিমাণও অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে বড় ঘাটতি তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ বেড়েছে ও বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কমেছে। এর ফলে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

তবে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ প্রায় দেড় বছর ধরে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি রয়েছে। গত মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের বেশি। সার্বিক মূল্যস্ফীতিও ছিল ১০ শতাংশের কাছাকাছি। এই বাস্তবতায় সাড়ে ৩ শতাংশের মতো মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা মোটেও সহজ হবে না। অর্থনীতি এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে আছে। প্রায় সব পণ্য ও সেবার মূল্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আবার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নানা ধরনের পদক্ষেপও নিয়েছে সরকার। ভর্তুকি প্রদানের পাশাপাশি ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি বাড়ানো হবে।
অন্যদিকে অর্থনীতিবিদদের অনেকে বলছেন, বাজেটে নেওয়া কিছু উদ্যোগ মূল্যস্ফীতিকে আরো উসকে দিতে পারে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে বাজেটে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্টও নয়। তাদের মতে, সামষ্টিক অর্থনীতির সব সূচকে ক্ষত দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। তারা মনে করছেন, এই বাজেট দিয়ে চলমান সংকট মোকাবেলা সম্ভব নয়। কারণ সরকারের ব্যয় ব্যবস্থাপনায় সমস্যা রয়েছে।

অর্থনীতিবিদদের পর্যবেক্ষণ বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আয়, মূল্যস্ফীতি, জিডিপি ও বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব হবে না। এখন একদিকে চলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সেই সঙ্গে আছে রিজার্ভ সংকট। এই পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এসব সংকট সমাধানে বাজেটে বিশেষ কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না বলে অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করেন। আবার অনেকের মতে, চ্যালেঞ্জিং এই সময়ে যথেষ্ট কৌশলের সঙ্গেই এবারের বাজেট প্রণয়নের চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁরা মনে করছেন, প্রস্তাবিত বাজেটটি প্রাথমিকভাবে বাস্তবতার প্রতি অনেকটা সংবেদনশীল। তবে এই বাজেটে কিছু ক্ষেত্রে আরেকটু কল্যাণমুখী হওয়ার সুযোগ ছিল বলেও মনে করেন তারা।

এর আগে আমরা দেখেছি, সরকার পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু বাজারে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। নিত্যপণ্যের সরকার নির্ধারিত দর কার্যকর হয়নি। মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কার্যকর হয়নি। কয়েক বছর ধরেই যে হারে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে, তার তুলনায় সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো কঠিন করে তুলছে।

অর্থনীতিবিদরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন, মূল্যস্ফীতি সরকারের জন্য বড় ধরনের মাথাব্যথার কারণ হবে। মূল্যস্ফীতি দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলবে। মূল্যস্ফীতি রাজনৈতিকভাবেও সংবেদনশীল। দীর্ঘ সময়ে অধিক মূল্যস্ফীতি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আরো জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। শিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে। পণ্যের জোগান ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য এনে মনিটরিং জোরদার করলে বাজার সহনীয় পর্যায়ে আসবে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাজার ব্যবস্থাপনা ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি বলেও মনে করেন তারা।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দুই বছরের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী দৃঢ়ভাবে বলেছেন, এবারও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গরিব মানুষের সুরক্ষায় ওএমএস ও ফ্যামিলি কার্ড ব্যবস্থা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বাজেটের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডি। সিপিডি বাজেটকে কঠিন সময়ের দুর্বল বাজেট বলে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপগুলো দুর্বল ও অপর্যাপ্ত। বাজেট সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ও সিপিডির অভিমত কোনোটিই উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের মতে, বাজেটের প্রধান সীমাবদ্ধতা হলো প্রত্যাশা বিশাল হলেও রয়েছে সক্ষমতার সীমাবদ্ধতা। এটি মেনে নিয়েই বাজেট ঘোষিত লক্ষ্য পূরণে সরকারকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে।

সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটকে ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে অপরাজেয় প্রত্যয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। গত দেড় দশকের বিস্ময়কর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ধ্বনিত হয়েছে অর্তমন্ত্রীর বক্তব্যে। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, ‘ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিয়েই এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রতিটি খাতে আধুনিক ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী ভৌত, সামাজিক ও প্রযুক্তি অবকাঠামো বিনির্মাণের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে, যাতে স্মার্ট অর্থনীতির সুফল দেশের সর্বশেষ প্রান্তে থাকা নাগরিকের কাছেও পৌঁছে দেওয়া যায়।’ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন সরকারের এটি প্রথম বাজেট। ডলার সংকট ও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির বাস্তবতায় এ বাজেট ঘোষিত হয়েছে। বিচক্ষণতার সঙ্গে পূর্বাপর পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রয়াস আছে বলেই এ বাজেটকে সংহত বাজেট হিসেবে দেখা যেতে পারে।

এবারের বাজেটের বিশেষ ইতিবাচক দিক হলো, মানুষের দুটো গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি। নিত্যপণ্য আমদানিতে উৎসে কর অর্ধেক কমানোয় বাজারে কতটা স্বস্তি ফিরবে, সেটি আগাম বলা যাবে না। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বাড়বে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। যদিও নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফেরানোর উদ্যোগও দেখা গেছে বাজেটে।

সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট। দেশের গরিব মানুষকে বাঁচাতে হবে। আছে দেশীয় শিল্পকে নানাভাবে সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা। সবকিছু ছাপিয়ে বাজেটে উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে ফেরার আশাবাদ রয়েছে। এই আশা পূরণ হোক, সেটাই প্রত্যাশা। সেইসঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নে সক্ষমতাও বৃদ্ধি পাক, সেটিও চাওয়া।

লেখক : মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদ, সাবেক চেয়ারম্যান রাজউক, উপদেষ্টা, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আর কে চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, সসাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এফবিসিসিআই, মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ ও ৩ নং সেক্টরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি

কুড়িগ্রামে তিন লাশ দাফন, পরিবারের আহাজারি

কুড়িগ্রামে তিন লাশ দাফন, পরিবারের আহাজারি

কুষ্টিয়ায় বছরে পাটের আবাদ কমেছে ৯০ হাজার বিঘা জমিতে

কুষ্টিয়ায় বছরে পাটের আবাদ কমেছে ৯০ হাজার বিঘা জমিতে

ভাঙন আতংকে যমুনা পাড়ের মানুষ

ভাঙন আতংকে যমুনা পাড়ের মানুষ

দীর্ঘ পানিবদ্ধতায় হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলা

দীর্ঘ পানিবদ্ধতায় হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলা

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

সাভারে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কেউ ছাত্র ছিল না

সাভারে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কেউ ছাত্র ছিল না