নরেন্দ্র মোদি নিজেকে ঈশ্বর প্রেরিত দেবদূত বলে দাবি করেছেন : তারপরও কল্কে পাননি

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

১১ জুন ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২৪, ১২:০৭ এএম

ভারতীয় লোকসভার অষ্টাদশ নির্বাচনে এনডিএ ২৯৩টি আসন পেয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন। কেন্দ্রে মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ২৯৩টি আসন লাভ করায় তারা সংসদে মেজরিটি হয়েছে। এই সুবাদে এনডিএ সরকার গঠন করেছে। কিন্তু তারপরেও দেশি এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকগণ বলছেন, এনডিএ জোটগতভাবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে ২১টি বেশি আসন পেলেও এই নির্বাচনে পরাজয় ঘটেছে মোদি, তার দল বিজেপি এবং মোদির আদর্শ তথা আরএসএসের আদর্শের। আজকের এই কলাম লেখার আগে আমি বিদেশের সিএনএন, আলজাজিরা, নিউইয়র্ক টাইমস এবং ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া, দি হিন্দু, দি স্টেটস ম্যান এবং আনন্দবাজার পত্রিকা ঘাঁটাঘাঁটি করেছি। এছাড়া বাংলাদেশের পত্র পত্রিকা তো পড়েইছি। বাংলাদেশের গণমাধ্যম ছাড়া এই সবগুলো মিডিয়ার যে ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ সেগুলোকে সামারাইজ করলে যা দাঁড়ায় তা নিম্নরূপ:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার সমগ্র নির্বাচনী প্রচারে, বিশেষ করে বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত বড় বড় জনসভায় ওয়াদা করেছিলেন যে, এবার যদি তাকে দুই তৃতীয়াংশ বা তার বেশি আসন দেওয়া হয় তাহলে তিনি ভারতের সংবিধান পরিবর্তন করবেন। সংবিধান থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা ডিলিট করে ইন্ডিয়াকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করবেন। আর মোদি দুই তৃতীয়াংশের বেশি আসন পাওয়ার ব্যাপারে ওভার কনফিডেন্ট ছিলেন। কারণ, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপির উত্থান ঘটে ১৯৮৪ সালের নির্বাচনে। তখন লোকসভায় বিজেপি পায় মাত্র দুইটি আসন। বিজেপির সরব উত্থান ঘটে ২০১৪ সালের নির্বাচনে। তখনও জোট থাকলেও নরেন্দ্র মোদির বিজেপি এককভাবে পায় ২৮২টি আসন। অর্থাৎ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। ২০১৯ সালে বিজেপি এককভাবে পায় ৩০৩টি আসন। অর্থাৎ সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের চেয়ে ৩১টি আসন বেশি লাভ করে। ওই দুইটি নির্বাচনের ফলে বিজেপির তথা নরেন্দ্র মোদির আত্মবিশ^াস অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। সেজন্যই তিনি সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনী প্রচারণায় প্রধান শ্লোগান তোলেন, ‘আবকি বার, চার শ পার’। তার এই ওভার কনফিডেন্টসে ধোঁয়া দেয় এক শ্রেণীর হিন্দুত্ববাদী গণমাধ্যম এবং নির্বাচনের পূর্বকালীন ও বুথ ফেরত জনমত জরিপ।

এই চার শ পার অর্থাৎ ৪ শতের বেশি আসন লাভ করার জন্য মোদি হেন অপকৌশল নাই যার আশ্রয় গ্রহণ করেননি। তিনি এবং তার দক্ষিণ হস্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই মর্মে নির্বাচনী কৌশল প্রণয়ন করেন যে, ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা হলো ২০ কোটি। আর হিন্দু জনসংখ্যা হলো ১২১ কোটি। মুসলমানের ২০ কোটি ভোট সারা ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কিন্তু হিন্দু ভোট মোটামুটি সর্বত্রই কেন্দ্রীভূত। কাজেই, হিন্দু ভোট যদি বিপুল পরিমাণে পাওয়া যায় তাহলে মুসলমান ভোটের প্রয়োজন তাদের নাই। হিন্দু ভোট একচেটিয়া কব্জা করার জন্য আরএসএসের পরামর্শ মোতাবেক মোদি এবং অমিত শাহ ভারতজুড়ে জিগির তোলেন হিন্দুত্বের। এই জিগির তুলতে গিয়ে তিনি হেন অপরাজনীতি নাই, যার তিনি আশ্রয় নেননি। তার এই অপরাজনীতি শুরু হয়েছে ৯০ দশক থেকে। সেগুলোর ফিরিস্তি দিতে গেলে এই একটি কলামে চলবে না। তার জন্য অন্তত তিন থেকে চারটি কলামের প্রয়োজন হবে। আমরা আপাতত সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই।

হিন্দু শাস্ত্রমতে তাদের আদি শক্তি হলো ভগবান। ভগবান পৃথিবীতে তিন দেবতা পাঠিয়েছেন। তারা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব। ব্রহ্মা হলেন সৃষ্টির দেবতা। বিষ্ণু পালনকর্তা। আর শিব বা মহাদেব হলেন শক্তি ও প্রলয়ের দেবতা। এরা তাদের ধর্ম মতে ঈশ^র প্রেরিত দেবদূত। বিগত ২৯ এপ্রিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, (সাম্প্রতিক দেশকাল, ৮ জুন ২০২৪). ‘আমি কঠিন সিদ্ধান্ত নিই না, আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু মাঝে মাঝে আমি ভাবি, কীভাবে এসব সম্ভব। আমি যা করছি, তা একটি ঐশ্বরিক শক্তি দ্বারা অনুপ্রাণিত। এটা ঈশ্বরের উপহার হতে পারে। ঈশ্বর আমাকে দিয়ে এই কাজটি করাতে চান এবং আমাকে এখানে একটি উদ্দেশ্য নিয়েই পাঠিয়েছেন।’ এমনকি নিজের জন্ম সম্পর্কেও ঐশ্বরিক বক্তব্য প্রদান করেছেন মোদি।

ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘মা যত দিন বেঁচে ছিলেন আমার মনে হতো, হয়ত জৈবিকভাবেই আমার জন্ম হয়েছে। কিন্তু মায়ের মৃত্যুর পর নানা রকম অভিজ্ঞতা থেকে আমি নিশ্চিত, ভগবান আমাকে পাঠিয়েছেন। আমার মধ্যে যে শক্তি রয়েছে তা সাধারণভাবে জন্ম নেওয়া কোনো মানুষের থাকতে পারে না।’ ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনের আগে মোদি আবারও নিজেকে ‘ঈশ্বরের অবতার’ বলে দাবি করেন। গত ২৪ মে এনডিটিভিতে এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ঈশ্বর আমাকে বিশেষ কাজের দায়িত্ব দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।’ মোদি নিজেকে শুধু ‘ঈশ্বর প্রেরিত’ বলেই জাহির করেননি; তিনি বলেছেন, ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ার সংকল্প অপূর্ণ রেখে ফিরে গেলে পরমাত্মা তাকে গ্রহণ করবেন না। অতএব, ভোটারদের কাছে তার প্রার্থনা, এবারও জনতা তাদের জয়যুক্ত করুক।

॥দুই॥
দেবী দূর্গা, দেবী কালী, দেবী স্বরস্বতী, দেবী লক্ষ্মী, দেবতা গনেশ প্রমুখ দেব-দেবীগণ তিন ঈশ^র প্রেরিত দেবদূতগণের স্ত্রী বা সন্তান। নরেন্দ্র মোদি যে দাবি করেছেন সেটি নিজেকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু বা শিবের সমতুল্য বলে গণ্য করার শামিল। নরেন্দ্র মোদি যে দাবি করেছেন তাতে তিনি পরোক্ষে কল্কি অবতার বলে নিজেকে জাহির করেছেন। কল্কি অবতার পুরান যুগের অবসান ঘটাবেন এবং নতুন যুগের সূচনা করবেন।

কিন্তু নরেন্দ্র মোদির দেবতা সাজার দাবিকেও ভারতের হিন্দু জনগণও প্রত্যাখান করেছেন। কারণ, নরেন্দ্র মোদি ধর্ম নিরপেক্ষতা তুলে দিয়ে ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ২৪০টি আসন পেয়ে তার এই স্বপ্ন দিবাস্বপ্নই রয়ে গেল। তার প্রকাশিত ইচ্ছাকে জনগণ প্রত্যাখান করেছেন। অতদূর যাবো কেন?

১৯৯২ সালের প্রথম দিকে তৎকালীন বিজেপি সুপ্রিমো লালকৃষ্ণ আদভানি তাদের ভগবান রামের বিশাল ছবি নিয়ে সারা ভারত ঘুরে বেড়ান এবং হিন্দু ধর্ম পুনরুত্থানের জিগির তোলেন। সেই সূত্র ধরেই ১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বিজেপির ক্যাডার যথা করসেবক, আরএসএস প্রমুখ পেশী শক্তি বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কংগ্রেসের নরসিমা রাও। কংগ্রেস সরকার শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে এই ঐতিহাসিক মসজিদ ভাঙ্গা দেখতে থাকেন। সেই সময়কার বিজেপি নেতা আদভানি, মুরলি মনোহর যোশি প্রমুখ হিন্দুত্বের জিগির এতদূর উস্কে দিয়েছিলেন যে, কোনোরূপ প্রত্নতাত্বিক খনন বা গবেষণা ছাড়াই ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত রায় দেয় যে রাম মন্দিরের ওপরই বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। তাই বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা সঠিক হয়েছে এবং সেখানে রাম মন্দির স্থাপন করা যেতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের সূত্র ধরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে রাম মন্দির নির্মাণের উদ্বোধন করেন মোদি। উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি বলেন যে আজকের দিনকে ধরে (রাম মন্দির উদ্বোধন) ভারতে দুইটি ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটলো। একটি হলো ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট, যেদিন ভারত স্বাধীন হয়েছে। আর রাম মন্দির উদ্বোধন হলো ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ সাল। এই দুইটি ঘটনা ভারতবর্ষের ৭৬ বছরের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে।

কিন্তু নরেন্দ্র মোদির এই চরম হিন্দুপ্রীতিও হালে এবার পানি পেল না। অযোধ্যার যে স্থানে রাম মন্দির নির্মিত হয়েছে সেই এলাকাটির নাম হলো ফয়েজাবাদ। এই ফয়েজাবাদ আসনেও এবার বিজেপি প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। জয়লাভ করেছেন সমাজবাদি পার্টির আওয়াদেশ প্রসাদ। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ গং গৎবাঁধা সুরে বলে যাচ্ছিলেন যে, বিরোধীরা ক্ষমতায় এলে দেশ হিন্দুদের হাত থেকে আবার মুসলমানদের হাতে চলে যাবে। মোদির এসব মুসলিমবিরোধী বক্তব্য এবার তাঁকে সাহায্য তো করেইনি, উল্টো বুমেরাং হয়ে তাঁকে আঘাত করেছে বলে মনে হচ্ছে। এখন মোদিকে নির্ভর করতে হচ্ছে তার জোটের দুই বড় পার্টনার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ওপর। এই উভয় নেতা ৯ জুন ঘোষণা করেছেন যে, তারা ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ^াসী। তারা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার পক্ষপাতি নন। তাদের দুটি রাজ্যেই চাকরি বাকরি সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে মুসলমানদের জন্য যে কোটা নির্ধারিত হয়েছে সেটি তারা অব্যাহত ও অক্ষুণ্ন রাখবেন।

॥তিন॥
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গেও নরেন্দ্র মোদি এবং তার দলের জনপ্রিয়তায় ধ্বস নেমেছে। এবার মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে লাভ করেছে ২৯টি আসন। ২০১৯ সালে তৃণমূল কংগ্রেস লাভ করেছিল ২২টি আসন। এবার তাদের আসন বেড়েছে ৭টি। পক্ষান্তরে বিজেপি গতবার পেয়েছিল ১৮টি আসন। এবার পেয়েছে ১২ টি আসন। অর্থাৎ এখানে তারা ৬টি আসন হারিয়েছে। নির্বাচনের আগে এবং পরে মমতা ব্যানার্জী তেজদৃপ্ত ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে, তিনি যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন নরেন্দ্র মোদির নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং নাগরিক পঞ্জী আইন বাস্তবায়িত হতে দেবেন না। ২০১৯ সাল থেকেই মমতা ব্যানার্জী এই দুটি মুসলিম বিরোধী আইনের বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে রেখেছেন। এবার আরো বড় শক্তি নিয়ে তিনি উত্থিত হয়েছেন। বিহারের নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু নাইডুও মোদি অমিত শাহর মুসলিম বিরোধী এসব আইনে সমর্থন দেবে না। অতএব, সিএএ এবং নাগরিক পঞ্জীর ১২টা বেজে গেছে।

আরো অনেক কথা বলার ছিল। আমি এসম্পর্কে আরো দুই একটি কলাম লিখবো, ইনশাআল্লাহ। আজকে আরেকটি বিষয়ে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সেটি হলো এই যে এনডিএ জোট ২৯৩টি আসনে জয়লাভ করেছে। অথচ, এই ২৯৩টি আসনের মধ্যে একজনও মুসলমান নাই। আমি গভীর অনুসন্ধান করে দেখলাম যে বিজেপি এবং তার দুই মিত্র একজন মাত্র মুসলমানকে এই নির্বাচনে নমিনেশন দিয়েছিল। তিনিও হেরে গেছেন। এই হলো তাদের মুসলিম বিদ্বেষ।

॥চার॥
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা হরণ করে মোদি এটিকে কাশ্মীর ও লাদাখ এই দুই কেন্দ্র শাসিত রাজ্যে পরিণত করেছেন। তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে বিজেপি কোনো প্রার্থী দেওয়ারই সাহস করেনি। এমনকি লাদাখেও একজন হিন্দু প্রার্থী মুসলমানের কাছে হেরে গেছেন।
পাঞ্জাবে একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ঘটে গেছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে কারাগারে থেকেও জয় পেয়েছেন, দৈনিক সমকালের রিপোর্ট মোতাবেক, খালিস্তানপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা অমৃত পাল সিং। তিনি পাঞ্জাবের খাদুর সাহিব আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছিলেন। তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কুলবীর সিং জিরাকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ কানাডাতে গিয়ে নির্জর নামের যে খালিস্তান স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রধানকে হত্যা করেছে তার দক্ষিণ হস্ত হলেন নব নির্বাচিত এমপি অমৃত পাল। সমগ্র পাঞ্জাবে এখন খালিস্তান আন্দোলন অসাধারণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ভারতের বিভিন্ন বাহিনী জনগণের স্বাধীন মতামতের কণ্ঠরোধ করেছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঞ্জাবের খাদুর সাহিব লোকসভা আসন থেকে অমৃত পাল সিংয়ের বিজয় কেবল তাঁর জন্যই নয়, তাঁর ৪১ সহযোগীদের জন্যও স্বস্তির নিঃশ্বাসের মতো এসেছে, যারা রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতা এবং বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হয়েছিলেন। তারা এখনও পাঞ্জাব ও আসামের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি আছেন। নির্বাচনে বিজয়ের পর এই রিপোর্ট লেখার সময় অর্থাৎ ১০ জুন পর্যন্ত অমৃত পালকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এখন অমৃত পালের নির্বাচনী বিজয়ের পর তিনি এবং তার সহযোদ্ধা ৪১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে কিনা সেটি এখন দেখার বিষয়।

শেষ করার আগে দুইটি বিশ^ বিখ্যাত গণমাধ্যমের শিরোনাম। মোদির ২৭২ আসন পাওয়ার ব্যর্থতায় সিএনএন বলেছে, ‘মোদির একদলীয় রাষ্ট্রের স্বপ্ন প্রত্যাখান ভারতীয় ভোটারের’। নিউ ইয়র্ক টাইমসের শিরোনাম, ‘জেগে উঠছে ভারতের জনগণ’। ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় মন্তব্য, ‘মোদির হার, কিন্তু গণতন্ত্রের বিজয়’। তারা আরো মন্তব্য করেছে, এই ফলাফল থেকে বাংলাদেশের অনেক কিছু শিক্ষা গ্রহণ করার রয়েছে।

[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৮২ রানে থামিয়েও দিনশেষে অস্বস্তিতে ইংল্যান্ড

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

পদ্মায় নিখোঁজ নৌপুলিশের সন্ধান মেলেনি ৭ দিনেও

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

বেতাগী দরবারে ওরশ আজ

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

সন্ধ্যা হলেই দ্বিগুণ ভাড়া ভোগান্তিতে যাত্রীরা

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

কারফিউ শিথিল করায় টাঙ্গাইলে জনজীবনে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

নদী ভাঙনে ৪৫৮ পরিবারের আহাজারি

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

বিটিভি ভবনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে টুকুসহ বিএনপি জামায়াতের ৬ নেতা কারাগারে প্রেরণ

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

শনিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

গণবিরোধী কারফিউ দিয়ে মানুষের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে : ডা. মনীষা

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

নিহত রুদ্রের নামে শাবির প্রধান ফটকের নামকরণ

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

তিনটি গুলি খেয়ে বিনা চিকিৎসায় আমার ছেলেটা মরে গেছে’

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া ও প্রবাসী আর্ট মেলায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি

সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকুন- ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এমপি

কুড়িগ্রামে তিন লাশ দাফন, পরিবারের আহাজারি

কুড়িগ্রামে তিন লাশ দাফন, পরিবারের আহাজারি

কুষ্টিয়ায় বছরে পাটের আবাদ কমেছে ৯০ হাজার বিঘা জমিতে

কুষ্টিয়ায় বছরে পাটের আবাদ কমেছে ৯০ হাজার বিঘা জমিতে

ভাঙন আতংকে যমুনা পাড়ের মানুষ

ভাঙন আতংকে যমুনা পাড়ের মানুষ

দীর্ঘ পানিবদ্ধতায় হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলা

দীর্ঘ পানিবদ্ধতায় হাকালুকি হাওর তীরের ৩ উপজেলা

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

চুয়াডাঙ্গায় মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

সাভারে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কেউ ছাত্র ছিল না

সাভারে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী কেউ ছাত্র ছিল না