ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

শাসকদের ভুল ও খামখেয়ালিপনায় দেশের অর্থনীতি বিপদের সম্মুখীন

Daily Inqilab ড. মইনুল ইসলাম

১৩ জুন ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪, ১২:০৯ এএম

দুই বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কয়েকটি বড় সঙ্কটে রয়েছে। সেগুলো হলো: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিপজ্জনক পতনের ধারা, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বেলাগাম মূল্যস্ফীতির প্রকোপ, প্রবাসী বাংলাদেশীদের রেমিট্যান্স প্রেরণে গেড়ে বসা হুন্ডি ব্যবসার ক্রমবর্ধমান প্রভাবে ফর্মাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহে স্থবিরতা, ডলার সঙ্কটের কারণে আমদানি এল/সি খুলতে জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হু হু করে ডলারের দাম বেড়ে ২০২১ সালের ৮৭ টাকা থেকে ২০২৪ সালের মে মাসে ১২৭ টাকায় উল্লম্ফন, বাংলাদেশি টাকার বৈদেশিক মানের প্রায় ৪৬ শতাংশ অবচয়ন, আমদানিতে ওভারইনভয়েসিং ও রফতানিতে আন্ডারইনভয়েসিং পদ্ধতিতে দেশ থেকে বিদেশে ব্যাপক পুঁজি পাচার, হুন্ডি পদ্ধতিতে দেশ থেকে বিদেশে ক্রমবর্ধমান ব্যাংকঋণ পাচার, খেলাপি ব্যাংকঋণ সমস্যার বিপজ্জনক অবনতি, রফতানি আয় দেশে ফেরত না এনে সেগুলো দিয়ে বিদেশে ঘরবাড়ি-ব্যবসাপাতি ক্রয়, দুর্নীতি, পুঁজি লুন্ঠন ও পুঁজি পাচার সম্পর্কে সরকারের অব্যাহত নিষ্ক্রিয়তা, দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের কারেন্ট একাউন্টে ঘাটতি পরিস্থিতি, ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের ফাইনেন্সিয়াল একাউন্টে ঘাটতি পরিস্থিতি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া। আরেকটু বিস্তৃতভাবে কয়েকটি সঙ্কটের বর্তমান ভয়াবহতা হলো:  দুই বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কয়েকটি বড় সঙ্কটে রয়েছে। সেগুলো হলো: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিপজ্জনক পতনের ধারা, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে বেলাগাম মূল্যস্ফীতির প্রকোপ, প্রবাসী বাংলাদেশীদের রেমিট্যান্স প্রেরণে গেড়ে বসা হুন্ডি ব্যবসার ক্রমবর্ধমান প্রভাবে ফর্মাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহে স্থবিরতা, ডলার সঙ্কটের কারণে আমদানি এল/সি খুলতে জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হু হু করে ডলারের দাম বেড়ে ২০২১ সালের ৮৭ টাকা থেকে ২০২৪ সালের মে মাসে ১২৭ টাকায় উল্লম্ফন, বাংলাদেশি টাকার বৈদেশিক মানের প্রায় ৪৬ শতাংশ অবচয়ন, আমদানিতে ওভারইনভয়েসিং ও রফতানিতে আন্ডারইনভয়েসিং পদ্ধতিতে দেশ থেকে বিদেশে ব্যাপক পুঁজি পাচার, হুন্ডি পদ্ধতিতে দেশ থেকে বিদেশে ক্রমবর্ধমান ব্যাংকঋণ পাচার, খেলাপি ব্যাংকঋণ সমস্যার বিপজ্জনক অবনতি, রফতানি আয় দেশে ফেরত না এনে সেগুলো দিয়ে বিদেশে ঘরবাড়ি-ব্যবসাপাতি ক্রয়, দুর্নীতি, পুঁজি লুন্ঠন ও পুঁজি পাচার সম্পর্কে সরকারের অব্যাহত নিষ্ক্রিয়তা, দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের কারেন্ট একাউন্টে ঘাটতি পরিস্থিতি, ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের ফাইনেন্সিয়াল একাউন্টে ঘাটতি পরিস্থিতি এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া। আরেকটু বিস্তৃতভাবে কয়েকটি সঙ্কটের বর্তমান ভয়াবহতা হলো: 
 
১) আইএমএফ-এর নিয়ম অনুযায়ী ২০২৪ সালের মে মাসের শেষে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার ‘গ্রস রিজার্ভ’ ১৯ বিলিয়ন ডলারে এবং নিট রিজার্ভ (ব্যয়যোগ্য) ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। অথচ ২০২১ সালের আগস্টে সরকারের দাবি অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৪৮.০৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। (আইএমএফ সরকারের এই দাবি মানেনি)। সংবাদপত্রে হেডলাইন হয়েছে যে দুই বছরে আমদানি ব্যয় ৪০ বিলিয়ন ডলার কমিয়েও রিজার্ভের পতন থামানো যায়নি।

২) ২০২১ সালের আগস্টে দেশে এক ডলারের দাম ছিল ৮৭ টাকা। গত দু’বছরে ডলারের দাম হু হু করে বেড়ে ২০২৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ‘ক্রলিং পেগ’ নীতি ঘোষণার পর দাঁড়িয়েছে ১২৭ টাকায়। এর মানে এই দুই বছরে টাকার বৈদেশিক মান কমপক্ষে ৪৬ শতাংশ অবচয়নের শিকার হয়েছে। টাকার এহেন অবচয়নের কারণে ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরে বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু জিএনআই ডলারের অংকে গত বছরের ২৭৬৫ ডলার থেকে সামান্য বেড়ে ২৭৮৪ ডলারে পৌঁছেছে। অথচ টাকার অংকে মাথাপিছু জিএনআই বেড়েছে ১২ শতাংশ।

৩) কঠোরভাবে আমদানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের পতনকে থামাতে চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। কারণ হুন্ডি ব্যবসা চাঙা হওয়ায় ফর্মাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গত ২০২০-২১ অর্থ-বছরের ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২-২৩ অর্থ-বছরে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল। বর্তমান অর্থ-বছরের শেষে ফর্মাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স হয়তো আবার ২৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। 

৪) কঠোরভাবে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে আমদানিকারকরা এল/সি খুলতে গিয়ে এখনো হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক আমদানিকারক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে ১৩০ টাকায় ডলার কিনে এলসি খুলছেন বলে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশের মূল্যস্ফীতিতে ঘৃতাহুতির শামিল। অবশ্য রফতানি আয়ের প্রবাহে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কিছুটা স্বস্তি মিলছে।

৫) আমদানির ওভারইনভয়েসিং, রফতানির আন্ডারইনভয়েসিং, রফতানি আয় দেশে ফেরত না আনা এবং হুন্ডি পদ্ধতিতে ব্যাংকঋণ বিদেশে পাচারÑ এই চারটি প্রধান অর্থপাচার প্রক্রিয়ায় দেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। সংখ্যায় এসব পুঁজিপাচারকারী কয়েক হাজারের বেশি হবে না। দুর্নীতিবাজ সিভিল আমলা, প্রকৌশলী, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির মালিক, বিত্তবান ব্যবসায়ী কিংবা মার্জিনখোর রাজনীতিবিদ হিসেবে বাংলাদেশের সমাজের উচ্চ-মধ্যবিত্ত, উচ্চ-বিত্তশালী ও ‘এলিট’ অংশে তাদের অবস্থান। তারা দেশের ব্যাংকিং সিস্টেমকে অপব্যবহার করে ব্যাংকঋণ নিয়ে তা বছরের পর বছর ফেরত না দিয়ে বিদেশে পাচার করে চলেছে। তারা ব্যাংকগুলোর ‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ হিসেবে ঋণ-লুটপাটকারীর ভূমিকা পালন করছে। তারা রাজনীতিক পরিচয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুন্ঠন করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী। তারা ৫৩ বছরের স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ‘এক নম্বর সমস্যা’ দুর্নীতি ও পুঁজিলুন্ঠনের মাধ্যমে অর্থবিত্তের মালিক হয়ে তাদের অবৈধ অর্থ বিদেশে পাচার করে কানাডার টরোন্টোর ‘বেগম পাড়া’ এবং মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম বানাচ্ছে।
৬) আমাদের মূল্যস্ফীতির হার সরকারের দাবি মোতাবেকই এখনো ৯.৬ শতাংশে রয়ে গেছে! সাধারণ ক্রেতাদের অভিজ্ঞতা সাক্ষ্য দেবে যে প্রকৃতপক্ষে মূল্যস্ফীতির হার আরো অনেক বেশি। ভারত ও শ্রীলংকা মূল্যস্ফীতিকে ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে সফল হলেও আমাদের ব্যর্থতা এক্ষেত্রে ন্যক্কারজনক।
উপরে উল্লিখিত সমস্যাগুলো বর্তমান শাসক মহলের ভুলের কারণেই সৃষ্ট। আমাদের বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে আমার মতে ‘প্রধানমন্ত্রীর একনায়কত্ব’ বলাই সমীচীন। আবার এটাকে প্রধানমন্ত্রী ও জনাকয়েক ধনকুবের ব্যবসায়ীর ‘অলিগার্কি’ অভিহিত করলেও ভুল হবে না। সরকার পরিচালনায় মন্ত্রীসভা বা শাসকদলের আর কারো মতামত নেয়া হয় না বলে ধারণা রয়েছে। উল্লিখিত সমস্যাগুলো সমাধানের অযোগ্য কোন বিষয় নয়। কিন্তু সমস্যাগুলো অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ভোগাচ্ছে। বিগত দিনগুলোতে সরকার খেলাপি ব্যাংকঋণ, পুঁজি পাচার, হুন্ডি পদ্ধতিতে রেমিট্যান্স প্রেরণ, দুর্নীতি দমন এবং স্বল্প-প্রয়োজনীয় মেগা-প্রকল্প গ্রহণের হিড়িকের ব্যাপারে যে ভুল অবস্থান গ্রহণ করে চলেছিল সেখান থেকে অবিলম্বে সরে আসতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলছি, ব্যাংকের প্রায় সাড়ে আঠার লক্ষ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ইতোমধ্যেই পাঁচ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি খেলাপিঋণে পরিণত হলেও রাঘব বোয়াল ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের’ বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করে নানারকম অযৌক্তিক ছাড় দিয়ে খেলাপিঋণ লুকিয়ে ফেলার সুবন্দোবস্ত করা হয়েছে। যার ফলে দেশের সুপরিচিত বড় বড় ঋণখেলাপি প্রায় সবাই এখন ‘ঋণখেলাপির তালিকা’ থেকে নিজেদের নাম লুকিয়ে ফেলতে সমর্থ হয়েছে। গত পাঁচ বছরে খেলাপিঋণ পুনরুদ্ধারে বিন্দুমাত্র কোন সফলতা অর্জিত হয়নি। বরং এই সমস্যা মোকাবেলার পরিবর্তে ব্যাংক মার্জার চাপিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে খেলাপিঋণের কারণে নিমজ্জমান ব্যাংকগুলোকে উদ্ধারের প্রয়াস নেয়া হয়েছে।

লেখক: ড. মইনুল ইসলাম, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ, বিশিষ্ট লেখক-কলামিস্ট, সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর অর্থনীতি বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা