ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

নারীর ক্ষমতায়ন কেন দরকার

Daily Inqilab সানজিদা আমীন

২১ জুন ২০২৪, ১২:২০ এএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৪, ১২:২০ এএম

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) বেকার পুরুষের সংখ্যা ছিল ১৭.৪০ লাখ। অপরপক্ষে বেকার নারীর সংখ্যা ছিল ৮.৫০ লাখ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষ প্রধান। তবুও বিগত কয়েক বছর ধরে নারীদের নেতৃত্ব পরিবারের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থনীতিতে নারীদের ক্রমবর্ধমান অবদানের কথা উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা নারী বেকারত্বের হ্রাসকে ইতিবাচক হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর দক্ষতার উচ্চ চাহিদা রয়েছে এবং তারা পরিবারের মধ্যে নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, নারী ৩৬. ৩ শতাংশ। দেশে সরকারি চাকরিতে বর্তমানে ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন নারী-পুরুষ কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে নারী ৪ লাখ ৯১ হাজার।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে বাংলাদেশে নারীদের অগ্রযাত্রায় লক্ষ কোটি মা ও বোন অদম্য গতিতে তাদের উজ্জ্বল উপস্থিতি অধিকতর দৃশ্যমান করছে। বাংলাদেশ পুরুষ ও নারীর অনুপাত ১০৩১০০। সাক্ষরতার হার ৭৪.৭০ শতাংশ, তার মধ্যে ৭৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ পুরুষ ও ৭১.৯৫ শতাংশ নারী। গত কয়েক বছরে এসএসসি, এইচএসসির ফল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এক দশক আগে প্রতি ১০০ শিক্ষার্থীর মধ্যে মেয়ের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জনের মধ্যে, এখন তা ৭৩ ছাড়িয়েছে।

নারী-পুরুষের সমতা (জেন্ডার ইক্যুইটি) প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে নারী ক্ষমতায়নে নারী শিক্ষার প্রসার বড় ভূমিকা রেখেছে। প্রাথমিকের ক্ষেত্রে ভর্তির হার এখন ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বেশি। শুধু প্রাথমিক নয়, পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, উচ্চশিক্ষায় (টারশিয়ারি) নারীদের ভর্তির হার ১৭.১৯ শতাংশ। মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষা খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলে ছাত্রী সংখ্যা যেমন বেশি তেমনি সরকারি এবং বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও নারী শিক্ষকের সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশ নারীর জীবনমান উন্নয়নে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে মাতৃ মৃত্যুহার দুই-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পাশাপাশি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবার পরিকল্পনায় জোর দিয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণের ফলে বাংলাদেশ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি অন্যান্য সামাজিক সূচকে অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষত পরিবারে অর্থনৈতিক কান্ডে নারীর অংশগ্রহণের পাশাপাশি নারীরক্ষমতায়নে অবদান রেখেছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতি বেঁচে আছে গার্মেন্ট-নারীদের শ্রমের ঘামে। কৃষি ক্ষেত্রেও এগিয়ে এসেছে নারী শ্রমিকরা। অপ্রাতিষ্ঠানিক বা ইনফর্মাল সেক্টরেও আজ নারীর বিপুল উপস্থিতি লক্ষণীয়। মিস্ত্রি নারী, জোগালি নারী, সবজি বিক্রেতা নারী, আজ উপার্জনক্ষম নারী, স্বাবলম্বী নারীর মর্যাদায় অভিষিক্ত। নারী উন্নয়নের অন্যতম সূচক হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ। বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৮ শতাংশ, যা পাকিস্তানের ২৩ শতাংশ। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদন্ড হলো তৈরি পোশাক খাত। এ খাতের মোট শ্রমিকের ৭০ শতাংশের বেশি নারী। আবার দেশের বৃহত্তম সেবা খাত হলো স্বাস্থ্যসেবা। এখাতেও কর্মরতদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি নারী। বাংলাদেশে মোট দেশজ উৎপাদনের জিডিপি নারীর অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়ন সূচক যেমন-শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু মৃত্যুর হার, প্রত্যাশিত গড় আয়ুতে বাংলাদেশ প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছে। কর্মক্ষেত্রে নারীরা দক্ষতা প্রমাণ করছে, কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন, নেতৃত্বও দিচ্ছে। বর্তমানে বিচারপতি, সচিব, ডেপুটি গভর্নর, রাষ্ট্রদূত থেকে শুরু করে মানবাধিকার কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছে নারী। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে নারী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছে।

খেলাধুলায় বাংলাদেশের মেয়েদের সাফল্য রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে ফুটবল, ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলায় তারা ভালো করছে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচিতির ক্ষেত্রে যত অর্জন তার একটি অংশ দেশের খেলাধুলার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। এক্ষেত্রে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের অর্জনও অনেক। খেলাধুলায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হতে ১৯৭২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মহিলা ক্রীড়া সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার মেয়েদের খেলাধুলার উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অনেক অর্জন রয়েছে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদে নারীর জন্য জাতীয় সংসদে আসন সংরক্ষণের বিধান রাখা হয় এবং এক্ষেত্রে ৬৫(২) অনুচ্ছেদের প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত ৩০০ আসনে নারীর অংশগ্রহণেও কোন বাধা রাখা হয়নি। এছাড়াও সংবিধানের ১৯(৩) অনুচ্ছেদে জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুযোগ সমতা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ২০২০ সাল নাগাদ সব রাজনৈতিক দলের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা পরিষদে একজন নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং তৃণমূল পর্যায়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেও ৩৩ শতাংশ আসন নারীর জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের তিন দশকের বেশি সময় ধরে নারী নেতৃত্ব দেশ পরিচালনা করছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নারী। এমন নজির পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আর নেই। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম স্থানে। নারী অধিকার ও ক্ষমতায়নে প্রতিবেশী দেশগুলো তো বটেই, উন্নত অনেক দেশ থেকেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

সাধারণত নারীরা ঘর-সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকে এবং তাদের এই কাজে কোনো মূল্যায়ন করা হয় না কিন্তু নারী পুরুষের সম অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে দেশকে উন্নত বিশ্বে পৌঁছানো সম্ভব নয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার জেন্ডার রেসপনসিভ বাজেট পূরণ করছে। নারীর অর্থনৈতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের ১০% সুদে বিনা জামানতে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন প্রদানের সুযোগ রেখেছে। তৃণমূলের নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য তাদের জীবন দক্ষতামূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকার নারীদের আত্মকর্মসংস্থান এবং কর্ম ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং গ্রহণ করে আয় করতে পারায় তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীদের ব্যবসায় উৎসাহ প্রদান সহ উদ্যোক্তা সৃজনী সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপ রয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা করতে স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস (এসএমই) ঋণ প্রাপ্তি সুবিধার্থে নারী উদ্যোক্তাদের নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। দুস্থ, অসহায় ও পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ভিজিএফ, ভিজিডি, দুস্থ ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ও গর্ভবতী মায়েদের ভাতা, অক্ষম মা ও স্বামী পরিতোক্তাদের জন্য ভাতা, বিধবা ভাতা, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে সরকার।

সমাজ উন্নয়ন ও নারী উন্নয়নের বিষয়টি ওতোপ্রোত জড়িত। নারীর ক্ষমতায়েন তাই আজ শুধু একটি আধুনিক প্রপঞ্চ নয় বরং একই সঙ্গে বৈশ্বিক ও সর্বজনীন প্রপঞ্চ। বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী বিধায় নারী-পুরুষের সমান অংশীদারী ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। নারীর ক্ষমতায়ন তখনই সম্ভব যখন কোথাও কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই নারীরা শিক্ষা, কর্মজীবন এবং নিজেদের জীবনধারায় পরিবর্তন আনার জন্য বিদ্যমান সুযোগ সুবিধাগুলো ব্যবহারের সুযোগ পায়। নারী ক্ষমতায়িত হলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

লেখিকা: তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা