দেশে প্রতিবছর চার লাখেরও বেশি মানুষকে সাপে কাটে, যাদের মধ্যে সাত হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বর্তমানে আতঙ্ক বিরাজ করছে রাসেল ভাইপার নামের বিশেষ সাপকে নিয়ে, যা চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত। চলতি বছর এর কামড়ে ১০ জন মারা গেছে। রাসেল ভাইপারের বিষ হেমাটোটক্সিক, যার কারণে দংশন করার সাথে সাথে আক্রান্ত স্থানে পঁচন ধরে, পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফুলে যায় ক্ষত স্থাান এবং ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রতঙ্গ অকেজো হয়ে যায়। অন্যান্য সাপ মানুষ দেখলে পলায়নের চেষ্টা করে, কিন্তু এই রাসেল ভাইপার পুরো ব্যতিক্রম, সে উল্টো তেড়ে এসে দংশন করে এবং ফস ফস করে আওয়াজ করে। সাধারণতভাবে অন্য সাপ বংশ বিস্তার করে, প্রথমে ডিম পাড়ে এরপর বাচ্চা হয়। কিন্তু রাসেল ভাইপার সরাসরি বাচ্চা প্রসব করে, একসাথে বিশ, চল্লিশ কিংবা আশিটি পর্যন্ত বাচ্চা প্রসব করার রেকর্ড রয়েছে। এমন বিষাক্ত সাপ দেশের প্রায় ২৮টি জেলায় দেখা গিয়েছে এবং আতঙ্কে রয়েছে মানুষজন। এমতাবস্থায় এখনও যদি সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ না করা হয় তাহলে সারাদেশে এর প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়বে এবং অনেক লোক প্রাণ হারাবে। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যেন রাসেল ভাইপারের এন্টিভেনম ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি রাসেল ভাইপার সাপের বংশবৃদ্ধি যাতে ঠেকানো যায় সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে।

মো. আব্দুল করিম গাজী
শরণখোলা, বাগেরহাট।