আস্থার সংকটে অর্থনীতি
০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৯ এএম
এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতি উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রপ্তানি কমে যাওয়া, ডলার সংকট, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিল করছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতা, কারফিউ জারি, ইন্টারনেট সেবা বন্ধের মতো কঠোর পদক্ষেপ অর্থনীতিকে আরও কঠিন অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। এর প্রভাব শিল্প, সেবা, কৃষিসহ অর্থনীতির প্রতিটি খাতে পড়েছে। অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে এসব খাত। রফতানিমুখী কারখানা বন্ধ থাকায় বাংলাদেশের বিশাল ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। সাথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বন্দরের সব কার্যক্রমও। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ইন্টারনেট ১০ দিন বন্ধ করে দেওয়ায় ডিজিটাল লেনদেনে ভাটা পড়েছে। বিশেষ করে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে। এছাড়া ইন্টারনেটভিত্তিক অন্যান্য লেনদেনও কমেছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। এই আন্দোলনে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এবং দেশে চলমান সহিংসতা ও কারফিউর কারণে গত এক সপ্তাহের বেশি কিছু সময়ে সামগ্রিক অর্থনীতিতে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন অনেক অর্থনীতিবিদ। অর্থনীতির ক্ষতির পাশাপাশি সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, বায়ার ও বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। দেশে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও চলমান কারফিউতে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়েছে আস্থাহীনতার সংকট, যার সামগ্রিক দায় বহন করতে হচ্ছে সরকার, বেসরকারি খাত ও সাধারণ মানুষকে।
এই আন্দোলনে বন্ধ ছিল প্রায় সব কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো অর্থনীতির চাকা। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় অর্থনীতির ক্ষতি বেশি হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট চালু না থাকায় এলসি খোলা যায়নি। কারণ, দেশের ব্যাংকগুলোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পুরোপুরি ইন্টারনেটনির্ভর। আমদানি-রফতানির ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য বিদেশি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ই-মেইলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হয়। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বিদেশি ব্যাংক ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। এই সময়টায় সরকারের প্রতিদিন রাজস্ব হারিয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা করে। এতে সরকারের সরাসরি আয় কমেছে। মানুষের আয় যেমন কমছে সরকারের আয় তেমন কমছে। আমাদের রাজস্বের যে পরিস্থিতি তা অত্যন্ত নাজুক। সব মিলিয়ে আমাদের যে মূল্যস্ফিতির পরিস্থিতি তা আরো উস্কে গেল। বাজারে সাধারণ মানুষের অবস্থা যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। এমনিতে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। নানা পদক্ষেপেও আসছে না নিয়ন্ত্রণে। আন্দোলন শুরু হওয়ার পর পরিবহন সংকটসহ নানা কারণে অনেক পণ্যের দাম আরও বেড়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে নিম্ন আয়ের মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জন্য খুব কঠিন হবে, এ ব্যাপারে সরকারকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে আর্থিক সংকটের কারণে সরকার পারবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আবার টাকার প্রবাহ বাড়লে মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কোভিড ছাড়া এই ধরনের অবস্থায় লম্বা সময় ধরে আমরা এর আগে পড়িনি। তখন সরকার নানা ধরনের ব্যবস্থাপনা নিয়েছিল এবং তখন তার সুযোগও ছিল সরকারের। কারণ, তখন মূল্যস্ফীতি কম ছিল। তখন সরকারের রিজার্ভ ছিল রেকর্ড পর্যায়ের। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এমনটা নেই। দীর্ঘদিন ধরে মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষের নাভিশ্বাস হয়ে আছে আর রিজার্ভের অবস্থাও টালমাটাল। এই পরিস্থিতির কারণে আগামী মাসগুলোতে ভোগ্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমে যেতে পারে। পাশাপাশি রপ্তানি আদেশ হারানোর ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে রপ্তানিমুখি গার্মেন্ট শিল্প প্রায় ৪০ শতাংশ রপ্তানি আদেশ হারিয়েছে। তাই অনেক কোম্পানি কর্মীদের সময়মতো বেতন দিতে হিমশিম খাবে। এর প্রভাব করোনা মহামারির চেয়েও মারাত্মক হবে। কারণ, মহামারিতে মানুষের ব্যবসা সচল ছিল। এছাড়া মহামারির সময় অনলাইনে পেমেন্ট করা যেত। সেখানে গত ১০ দিন ধরে ইন্টারনেট বিভ্রাটের কারণে সবকিছু বন্ধ ছিল।
বিভিন্ন পত্রিকায় তথ্য মতে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে তৈরি হওয়া অস্থিরতায় দু’শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এই হিসাব শুধু হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। তাই মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, পত্রিকাগুলো সব হাসপাতালের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি, এমন অনেক হাসপাতালে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও অনেকের বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের প্রিয়জনের মরদেহ সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে। অনেক সংবাদ মাধ্যম তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি। আবার অনেক হাসপাতাল মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করেনি, তারা মরদেহ আত্মীয়দের নিয়ে যেতে বলেছিল। এই ঘটনায় আমাদের দেশের ইমেজ বহির্বিশ্বে মারাত্মকভাবে নষ্ট হয়েছে এবং এসব কিছু বিদেশি ক্রেতাদের আস্থা কমাবে এবং দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করবে। ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী। এই ধাক্কা কতটা প্রবল হবে এবং কতদিন তার প্রভাব থাকবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। যদিও আমরা প্রাণহানির ক্ষতির কোনো সমীকরণ হয় না। এমন অচলাবস্থা বৈশ্বিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। আন্দোলন-সংঘাত ঘিরে সামগ্রিক অর্থনীতির ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনো নিরূপণ করা যায়নি। পরিপূর্ণভাবে নিরূপণ হয়নি রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। সীমিত পরিসরে খাতভিত্তিক কিছু হিসাব তুলে ধরছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আন্দোলনের পাঁচ দিনে পোশাকসহ পাঁচ খাতে বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে পোশাক খাতের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতেও প্রভাব পড়ে। ফলে প্রতিদিন এ খাতে ক্ষতি হয়েছে দেড়শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পোশাক খাতের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে পরিবহন খাত। বিপুলসংখ্যক সরকারি-বেসরকারি যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলন ও পরবর্তী কারফিউর কারণে টানা এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল যানবাহন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির হিসেবে, এক দিন বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ থাকলে ক্ষতি হয় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে এক সপ্তাহ যানবাহন বন্ধের কারণে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। শুধু উৎপাদনমুখী খাতে স্থবিরতা ছিল তাই নয়, ডেটা সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের কারণে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। সংঘাতের লাগাম টানতে আগে থেকেই বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। ফলে আমদানি-রপ্তানি থেকে শুরু করে বহির্বাণিজ্য পুরোদমে স্থবির হয়ে পড়ে। অন্যদিকে ইন্টারনেট সুবিধা বন্ধ থাকায় দেশের ফ্রিল্যান্সিং খাত কোনো ধরনের কাজই করতে পারেনি। এতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় বন্ধ ছিল রেমিটেন্স প্রবাহ এবং কৃষিপণ্যনির্ভর ই-কমার্সও ক্ষতির মুখে পড়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় শুধু কল সেন্টারে দৈনিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ডলার আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকভিত্তিক ই-কমার্স খাতে ক্ষতির পরিমাণ দৈনিক প্রায় ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। অন্যান্য খাতের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের পর্যটন খাত। একই সঙ্গে সারাদেশের হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি ঝুঁকির কারণে অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সেবা বন্ধ রাখে। আন্দোলন, সংঘাত ও পরবর্তী কারফিউর কারণে বন্ধ ছিল দোকানপাট। দেশের গুরুত্বপূর্ণ মোকামগুলো বন্ধ থাকায় সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়ে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বাজারব্যবস্থায়। একদিকে পণ্যের অভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রধান শহর ও বাণিজ্যিক নগরীগুলোয় সবজি ও কাঁচা পণ্যের দাম বেড়ে যায়; অন্যদিকে কৃষক ও উৎপাদক শ্রেণি পণ্য বিক্রি করতে না পেরে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গত কয়েক দিনের আন্দোলন-সংঘাত দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসে মূলত পাঁচটি খাত থেকে। উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, পরিবহন, নির্মাণ ও কৃষি। এ পাঁচটি খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংঘাতের কারণে। সরকারকে দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে, তা সমাধানে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে তার আগে সরকারকে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। দেশের স্বার্থে এই বিষয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তারপর অর্থনীতির ক্ষত নিয়ে ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে হবে। এমনিতেই দেশের অর্থনীতি আড়াই বছর ধরে দুর্বল অবস্থায় আছে। তার ওপর এখন এই অবস্থা। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় না ফিরলে অর্থনীতির জন্য কিছু করার চিন্তা করে লাভ হবে না। আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এ জন্য কারফিউ তুলে নেওয়া এবং নিরাপত্তাহীনতা দূর করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে বুঝা যাবে না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালুর পর পরিস্থিতির উন্নতি হলে তখন অর্থনীতি গতিশীল হবে। আর তখনই অর্থনীতির ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পদক্ষেপ নিতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময়টায় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোনো দিক থেকেই ভালো ছিল না। করোনার চেয়েও খারাপ সময় গেছে। করোনার সময় বাসায় বসে অনলাইনে কাজ করার সুযোগ ছিল। এখন যদি ও ইন্টারনেট চালু হয়েছে, তাতে কাজ করার মতো স্পিড নেই। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী করণীয় ঠিক করার সময় আসবে। সব কিছু স্বাভাবিক হলে তারপর অর্থনীতির যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে হবে। অর্থনীতির ক্ষতি হিসাব করতে গেলে বাদ দেওয়ার তেমন কিছুই নাই। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, মাঠে কৃষিকাজ ছাড়া অন্য কোনো খাত নেই যেখানে প্রভাব পড়েনি। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সব খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কোথাও কম বা বেশি। তবে সেবা ও শিল্প খাতে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। পরিবহন ও ব্যাংক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বিঘ্নিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ঠিকভাবে চলছে না। রাষ্ট্রীয় সম্পদের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগ করে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অনেক বড় ক্ষতি করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা ব্যাপক প্রাণহানি, আর্থিক ক্ষতি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ইমেজ নষ্ট হয়েছে বেশি। এই ঘটনায় বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে চিনলো অন্যভাবে। এতে বিশ্বব্যাপী আমাদের যে সুনাম ছিল, তা নষ্ট হয়ে গেলো, যা কাটিয়ে উঠা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
লেখক: অর্থনৈতিক বিশ্লেষক।
[email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অসিম কুমার পাল গ্রেফতার।
জাল স্টাম্প-কোর্ট ফি তৈরি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করতো চক্রটি
উত্তরায় শিকলে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ২ কিশোরকে নির্যাতন, আটক ২
শৈলকুপায় চাঞ্চল্যকর ‘ফাইভ মার্ডার’ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন
চাঁবিপ্রবি’র ভূমি অধিগ্রহণ বাতিল হলেও দীপু মনির চাপে গোপন রাখা হয়
ঢাকায় মানবাধিকার অফিস খুলতে চায় জাতিসংঘ : সমকামিতা প্রসারের আশঙ্কা
কুড়িগ্রামে নারী প্রতারক আটক
গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের বেতন-টিউশন ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত
জর্জির ১০০, দ. আফ্রিকার ২০০
আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার
ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে কাশ্মিরে গেরিলা যোদ্ধা নিহত ১
দুদকের চেয়ারম্যান মইনুউদ্দীনসহ দুই কমিশনারের পদত্যাগ
সৎ ছেলেকে হত্যার পরিকল্পনা, সৎ মা নিজেই হত্যার শিকার হয়
ফিলিপাইনের মাদকবিরোধী অভিযানে ‘ডেথ স্কোয়াড’, দুতার্তের স্বীকারোক্তি
হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস র্যাগিং ও মাদক মুক্ত ঘোষনা
রাজবাড়ীতে অস্ত্র মামলায় এক সন্ত্রাসীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জর্জি-স্টাবসের শতরানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
মহেশপুরে অসুস্থ্য গরুর মাংস বিক্রয়ের অপরাধে কসাই আটক, জেল-জরিমানা
ব্যবসা নয় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে হাজীদের সেবা করা
কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত