’৭২-এর সংবিধান ‘রক্তে লেখা’ নয় : ধর্মনিরপেক্ষতা সেক্যুলারিজম ও সমাজতন্ত্র অনাহুত
৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৯ এএম
আজ ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার পাঠকরা যখন এই লেখাটি পড়বেন তার কিছুক্ষণ পর বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নতুন বাংলাদেশের রূপরেখা দেওয়া হবে। একটি প্রোক্লামেশন বা ঘোষণাপত্র আকারে এই রূপরেখা দেওয়া হবে। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জানা গেছে যে, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে ১৫৮ জন সমন্বয়ক এবং সহসমন্বয়ক নতুন বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেবেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন যে, এই প্রোক্লামেশনের সাথে সরকারের কোনো সম্পর্ক নাই। তবে আয়োজকদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে যে, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এই সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। আরেকটি মহল থেকে বলা হয়েছে যে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে শপথ গ্রহণ করা হবে সেখানে নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদও শপথ গ্রহণ করবেন। এই সমাবেশে বিগত জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে নিহত এবং আহতদের অনেকের পরিবারও অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।
গত ২/৩ দিন ধরে আজ বিকালে অনুষ্ঠিতব্য প্রোক্লামেশনের দিকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব মহলই তাকিয়ে আছে। কারণ, পত্রপত্রিকায় ইতোপূর্বে এসম্পর্কে যে খবর বেরিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে যে, ১৯৭২ সালের মুজিববাদী সংবিধানের কবর রচনা করা হবে। ডেইলি স্টারে গতকাল ৩০ অক্টোবর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রধান সংবাদের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, 1972 ‘Mujibist’ constitution will be buried- Say student
coordinators about proclamation of July Revolution. ঐ খবরের ইনসেটে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লার একটি উক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে। উক্তিটির বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘এই ঘোষণাপত্র ব্যাখ্যা করবে কীভাবে মুজিববাদী সংবিধান জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে চুরমার করেছে এবং ছাত্র সমাজ কিভাবে সেই আশা-আকাক্সক্ষার পুনর্জাগরণ চায়।’
আমি একটু আগেই বলেছি যে, এই প্রোক্লামেশনকে ঘিরে সর্বমহলে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ডেইলি স্টারের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রধান সংবাদের পাশাপাশি আরেকটি ডাবল কলাম শিরোনাম প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনামটি হলো, Students’ Proclamation Move/ BNP, others raise questions, Jamaat welcomes it. যেহেতু এই ঘোষণাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষিত হয়নি তাই সেই প্রোক্লামেশনের কনটেন্ট সম্পর্কে আমি কিছুটা জানলেও সেটি নিয়ে মন্তব্য করবো না। কারণ, এসব গুরুত্বপূর্ণ দলিলে শেষ মুহূর্তে অনেক সময় কিছুটা সংযোজন অথবা বিয়োজন হয়। তবে এখানে দুটি বিষয় আলোচনার দাবি রাখে। একটি হলো, ছাত্রদের দাবি অর্থাৎ ১৯৭২ সালের মুজিববাদী সংবিধান জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে চুরমার করেছে। অন্যদিকে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘শহীদের রক্তের ওপর দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সেই সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয়, তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস আরও বলেছেন, ‘অনুরোধ করব, বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করবেন। ভুল বুঝবেন না। কবর দিয়ে ফেলব, মেরে ফেলব, কেটে ফেলবÑ এ সমস্ত কথা ভালো কথা নয়। এ ধরনের কথা ফ্যাসিবাদের মুখ থেকে আসে।’
’৭২ সালের সংবিধান সম্পর্কে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিবির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন যে, ৭২ এর সংবিধানে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে যে চারটি স্তম্ভ গৃহীত হয়েছে, সেগুলি সমগ্র জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন। সেই ৭২ এর সংবিধান বাতিল বা সংশোধনের কথা বললে জনআকাক্সক্ষার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি, সিপিবি বা অন্যদের মন্তব্য সম্পর্কে আমি ঠিক এই মুহূর্তে কিছু বলবো না। সম্ভবত আগামী মঙ্গলবারের কলামে এসম্পর্কে আলোচনা করবো। কিন্তু ৭২ এর সংবিধানের উৎপত্তি এবং গোড়ার কথা নিয়ে অত্যন্ত নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে এখানে কিছু কথা বলা চেষ্টা করব।
॥দুই॥
সংবিধান বাতিল, সংশোধন বা নতুন সংবিধান রচনার বিষয়টিকে মোটেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। আমরা যদি পাকিস্তান কায়েমের একেবারে গোড়ায় চলে যাই তাহলে দেখবো যে, এই সংবিধান প্রণয়নকে কেন্দ্র করেই ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। তখন অবশ্য নাম দেওয়া হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। পাকিস্তান কায়েমের পর ৯ বছর পর্যন্ত দেশটির কোনো শাসনতন্ত্র ছিল না। তখন সংবিধানকে বলা হতো শসনতন্ত্র, জাতীয় সংসদকে বলা হতো জাতীয় পরিষদ এবং প্রাদেশিক আইনসভাকে বলা হতো প্রাদেশিক পরিষদ। সংবিধান প্রণীত না হওয়ায় ১৯৪৬ সালের নির্বাচিত সদস্যরাই স্বাধীন পাকিস্তানে গণপরিষদ হিসেবে কাজ করেন। সংবিধানের অভাবে নির্বাচন না হওয়ায় ঐ গণপরিষদই পার্লামেন্ট হিসেবেও কাজ করে। তবে তাদের প্রধান কাজ ছিল স্বাধীন পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনা।
১৯৪৯ সালে গণপরিষদ অবজেক্টিভ রেজুলুশন পাশ করে। ১৯৫০ সালে অবজেক্টিভ রেজুলুশনের অধীনে প্রণীত ও প্রকাশিত হয় মূলনীতি কমিশনের রিপোর্ট। এটিকে বলা হয় বিপিসি কমিটির রিপোর্ট। এই রিপোর্ট বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী মুসলিম লীগের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। কারণ আওয়ামী লীগ সাবেক পূর্ব বাংলার (১৯৫৬ সাল থেকে পূর্ব পাকিস্তান) জন্য যে পরিমাণ স্বায়ত্তশাসন দাবি করেছিল সেটি গৃহীত হয়নি। এর পাল্টা হিসেবে ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে ১৯৫০ সালের ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড ন্যাশনাল কনভেনশন। এই কনভেনশনে পাকিস্তানের নাম করা হয় ‘ইউনাইটেড স্টেটস অব পাকিস্তান’ বা পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র। এই গ্র্যান্ড কনভেনশনে স্বায়ত্তশাসনের যে রূপরেখা দেওয়া হয় সেটি ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব ঘোষিত ৬ দফা প্রস্তাবের সাথে প্রায় হুবহু মিলে যায়।
গ্র্যান্ড ন্যাশনাল কনভেনশনে গৃহীত প্রস্তাবে আওয়ামী মুসলিম লীগ ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের কথা বলেনি। ১৯৫৪ সালে শুধুমাত্র পূর্ব বাংলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মুসলিম লীগের নুরুল আমীন। মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি, মওলানা ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বাধীন (তখন ভাসানী ও সোহরাওয়ার্দী এক দলেই ছিলেন) আওয়ামী লীগ, মওলানা আতাহার আলীর নেতৃত্বাধীন নেজামে ইসলাম পার্টি এবং অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বাধীন খেলাফতে রাব্বানী পার্টি মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। নির্বাচনে ২১ দফা ভিত্তিক যুক্তফ্রন্ট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু এই ২১ দফাতে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না।
১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে শেখ মুজিব বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসন হিসেবে ৬ দফা প্রস্তাব পেশ করেন। এই ৬ দফাতেও ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না।
১৯৭০ সালে সারা পাকিস্তান ভিত্তিতে সর্বপ্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ সারা পাকিস্তান ভিত্তিতে শুধুমাত্র একক সংখ্যাগরিষ্ঠতাই লাভ করেনি, বরং সারা পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না।
১৯৭০ সালে যখন নির্বাচন হয় তখন দেশে চলছিল সামরিক শাসন। প্রধান সামরিক শাসক ছিলেন জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান। ইয়াহিয়া খান যে লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডার (এলএফও) ঘোষণা করেন, তার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এলএফওর অধীনে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেটি ছিল মূলত গণপরিষদ গঠনের নির্বাচন। কারণ, জেনারেল আইয়ুব খানের কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করে জেনারেল ইয়াহিয়া খান আইয়ুব খানের শাসনতন্ত্র বাতিল করেন। এই গণপরিষদের প্রধান কাজ ছিল পাকিস্তানের জন্য একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন। যত দিন না সেই শাসনতন্ত্র প্রণীত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত গণপরিষদ জাতীয় পার্লামেন্ট হিসেবেও কাজ করবে।
॥তিন॥
১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংঘঠিত হয়। এই গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তি ছিল ১১ দফা প্রস্তাব। এই ১১ দফার কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না। নির্বাচনের পর শেখ মুজিব ঢাকায় একটি বিরাট জনসভা করেন। সেখানেও ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিব যে বক্তৃতা করেন সেই বক্তৃতা বহুবছর ধরে বহুবার বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে প্রচার করা হয়েছে। সেই বক্তৃতার কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না। সবশেষে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের স্বাধীনতারা যে ঘোষণাপত্র দেওয়া হয় সেখানেও ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না।
॥চার॥
আমরা ১৯৪৮ সাল থেকে সংবিধান রচনার সংক্ষিপ্ত ধারাবিবরণী দিলাম। এসবের কোথাও ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার কোনো ওয়াদা ছিল না। গ্র্যান্ড ন্যাশনাল কনভেনশন, ২১ দফা, ৬ দফা, ৭০ এ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মেনিফেস্টো এবং মুজিবনগরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রÑ কোথাও ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ছিল না। কিন্তু ১৯৭২ সালে যে, সংবিধান দেওয়া হলো সেখানে অকস্মাৎ রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ অন্তর্ভুক্ত হলো। শুধু তাই নয়, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ঐ সংবিধানে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু নাস্তিক্যবাদী কমিউনিস্ট পার্টি রাজনীতি করার অনুমতি পায়। এটিকেই সাবেক সচিব মোহাম্মদ আসাফুদ্দৌলা বর্ণনা করেছেন এভাবে, ‘এই সংবিধানে মোহাম্মদ (স.) নিষিদ্ধ হলেন, কিন্তু মার্কস রাজনীতির যোগ্য হলেন।’
ওপরের এই আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ৭০ এর নির্বাচনে যে সংসদ গঠিত হয় তার কাজ ছিল পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র রচনা, বাংলাদেশের সংবিধান রচনা নয়। আইনের কঠিন বিচারে বাংলাদেশের সংবিধান রচনার জন্য প্রথমে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত ছিল নির্বাচনের মাধ্যমে গণপরিষদ গঠন।
যাই হোক, পাকিস্তানের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত সদস্যরা যখন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা করলেন তখন তারা ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার ম্যান্ডেট কোথায় পেলেন? তাই আজ যারা বলেন যে, জনগণের রক্তের ওপর দিয়ে ৭২ সালের সংবিধান প্রণীত হয়েছে তারা সঠিক কথা বলেন না, বরং উল্টা কথা বলেন। অনুরূপভাবে যারা বলেন যে, ৭২ এর সংবিধান জনগণের আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করেছে তখন তারাও সঠিক কথা বলেন না। বস্তুত ৭২ এর সংবিধানের ঐ তিনটি রাষ্ট্রীয় মূলনীতি এবং ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিধান জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এগুলো ছিল জনগণের ইচ্ছার সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে।
মাত্র ৩ বছর পর ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সব দল নিষিদ্ধ করে শুধুমাত্র একটি দল অর্থাৎ বাকশালকে রাখা হয়। এই পদক্ষেপ ছিল গণবিরোধী এবং গণতন্ত্র বিরোধী। চতুর্থ সংশোধনীতে সংসদের মেয়াদ ৫ বছরের জায়গায় ৭ বছর করা হয়। এছাড়া ৫৪ অনুচ্ছেদের (খ) উপঅনুচ্ছেদে শেখ মুজিবকে ‘জাতির পিতা’ বলে সম্বোধন করা হয়। পরবর্তীতে জেনারেল জিয়া যে সংবিধান প্রণয়ন করেন সেখানে শেখ মুজিবের নামের পাশে জাতির পিতা শব্দগুলি বিলোপ করেন। আবার পঞ্চদশ সংশোধনীতে ৭ মার্চের ঘোষণা, ২৬ জানুয়ারি শেখ মুজিবের কথিত স্বাধীনতা ঘোষণা এবং শেখ মুজিবকে জাতির পিতা ঘোষণা করারও কোনো ম্যান্ডেট জনগণ ঐ সংসদকে দেয়নি। এগুলোর জন্য জনগণের কোনো ম্যান্ডেট ছিল না।
সুতরাং আবার বলছি, ৭২ এর সংবিধান জনগণের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয় কিংবা জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাও ধারণ করে না।
Email: [email protected]
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
৭ উইকেট ছেলেকে দিলেন তাসকিন
প্রধান উপদেষ্টার রাজবাড়ী সফর স্থগিত
ভিসা সত্যায়নের বেড়াজালে বিপুল সংখ্যক সউদীগামী কর্মী বায়রা নেতৃবৃন্দের সাথে বিএমইটির ডিজি
মোবাইলের ব্যাককভারে প্রিন্ট করা ছবি লাগানো প্রসঙ্গে
প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন জনপ্রিয় গায়ক আরমান মালিক
সরকারি দপ্তরে তদবির বন্ধে সচিবদের উদ্দেশে পত্র দিয়ে তথ্য উপদেষ্টার অনন্য দৃষ্টান্ত
ফুলপুরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ৫ পরিবহনকে জরিমানা
গরুর গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতায় উৎসবের আমেজ
সাইবার আক্রমণ: আসিফ-সাদিক-হান্নানের ফেসবুক আইডি সচল
গোয়ালন্দে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ উপহার
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ২৩৪ অবৈধ অভিবাসী আটক
১৫% ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করুন মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত
নোয়াখালীতে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
লিভ টুগেদার ইস্যুতে এবার স্বাগতাকে উকিল নোটিশ
টাঙ্গাইলে ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যাচার ও শিবির সভাপতির উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ
আমরা একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই: হাসনাত আবদুল্লাহ
উষ্ণতম বছর, উষ্ণতম দশক! আশঙ্কার বর্ষবরণ বিশ্বজুড়ে
মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসি. এর সাথে শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটাল লি. এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর