ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর : অগ্রাধিকার পেয়েছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং রেল ট্রানজিট

Daily Inqilab মোবায়েদুর রহমান

২৫ জুন ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:০৫ এএম

গত ৯ জুন শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন। ১০ জুন বিকালে তিনি ঢাকা ফিরে আসেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য দিল্লি গেলেও সেখানে তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে ২০ মিনিট ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করেন।

৯ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের পর ধারণা করা হয়েছিল যে, অতঃপর তিনি চীনের রাজধানী বেইজিং সফরে যাবেন। চীন অনেক আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়ে রেখেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে চীন এবং ভারত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ। যদিও বিশে^র একমাত্র পরাশক্তি হিসেবে আমেরিকারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকার কথা, যেটা হয়নি। হয়নি ভূরাজনীতির কারণে। গত ৯ জুন দুই দিনের জন্য যেহেতু তিনি ভারত সফর করেছেন তাই তার পরবর্তী সফর হবে গণচীন, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল এটাই ধারণা করেছিলেন।

কিন্তু অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করা গেল যে, ভারত থেকে ফিরে আসার ঠিক ১০ দিন পরেই ২১ জুন প্রধানমন্ত্রী তার বিশাল সফরসঙ্গী নিয়ে দুই দিনের জন্য রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি গমন করেন। দুই সফরের ব্যবধান মাত্র ১০ দিনের হলেও প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে দুই দেশে বিশেষ করে ভারতের প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। সেই জল্পনা-কল্পনার ঢেউ বাংলাদেশেও আঘাত করে। তবে যারা নিরপেক্ষ এবং ধীরস্থির বুদ্ধিজীবী তারা পূর্বাহ্নেই অনেক কিছু টের পেয়েছিলেন। তারা বিশেষ করে গুরুত্ব দিয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার কিছুদিন আগের ঢাকা সফরের ওপর। দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে বলা হয়েছে যে, মি. কোয়াত্রার সফর ছিল নেহায়েত সৌজন্য সফর। বাস্তবে দেখা গেল, এটি হলো বাংলাদেশ-ভারত রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। বিনয় কোয়াত্রা যাওয়ার সময় কিছুই বললেন না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বললেন যে, ভারত তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায়। স্বাভাবিকভাবেই নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক মহল প্রশ্ন তুললেন যে, ২০১৯ সাল থেকেই তিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে চীন। প্রাথমিক পর্যায়ে একটি সার্ভে রিপোর্টও হয়েছে। ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইতোমধ্যেই খরচ হয়েছে। এই প্রজেক্ট রিপোর্টকে আরো বিস্তারিত এবং বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উপকার হতে পারে, এমনভাবে প্রজেক্ট রিপোর্টকে সংশোধন করতে বলেছে বাংলাদেশ। আর চীনও এখন সেই প্রজেক্ট রিপোর্ট সংশোধন করছে। এরমধ্যে হঠাৎ করে তিস্তার পানি দেওয়ার বদলে তিস্তা প্রজেক্টে অর্থায়ন করার জন্য ভারত দুই কদম এগিয়ে আসলো কেন? যারা আকলমন্দ, তারা যা বোঝার তা ঠিকই বুঝে ফেলেন। সোজা কথা, চীনের তিস্তা প্রজেক্টে ভারত অগ্রিম বাগড়া দিয়ে রাখলো।

\দুই\
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১ জুন রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি গিয়েছিলেন এবং পরের দিন ২২ জুন সন্ধ্যার স্পেশাল ফ্লাইটে ঢাকা ফিরে আসেন। তিনি কেন দিল্লি গিয়েছিলেন? তার এই রাষ্ট্রীয় দিল্লি সফরে কার লাভ হলো? আর কে লাভবান হলো না? এসম্পর্কে আমরা আমাদের নিজস্ব মূল্যায়ন একটু পরে করবো। তার আগে এই সফর সম্পর্কে বিএনপির প্রতিক্রিয়া দেখা যাক।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তাদের স্বার্থে চুক্তি হয়েছে, কিন্তু আমাদের স্বার্থে চুক্তি হয়নি। ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়ে দুই দিন থেকে ভারতের স্বার্থেই ১০টি চুক্তি করেছেন। রোববার (২৩ জুন) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, একটা স্মারক চুক্তি করেছেন। এছাড়া, অনেকগুলো কারিগরি চুক্তি করেছেন। এগুলো দেখতে ভারত থেকে প্রতিনিধি দল আসবে। কিন্তু আমরা যে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছি না, সেই ব্যাপারে কোনও চুক্তি হয়নি।

তিনি আরও বলেন, উপরন্তু কী হয়েছে? তিস্তা প্রকল্পে তারা বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছে। আমাদের কথা পরিষ্কার... তিস্তার পানির ন্যায্য বণ্টন চাই। অভিন্ন সব নদীর পানির ন্যায্য বণ্টন চাই। এটা আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের অধিকার। এই কথাগুলো বলতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তারা আজকে ভারতের কাছে সেবাদাসে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শুধু ভারত নয়, এই সরকার প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে পুরোটাই নতজানু হয়ে আছে। মিয়ানমার থেকে গুলি আসে, অথচ সরকার কিছুই বলে না। এই রকম নতজানু সরকার আমাদের বুকের ওপর চেপে বসে আছে। এই সরকার সমগ্র দেশটাকে বিকিয়ে করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

\তিন\
প্রধানমন্ত্রীর এই সফর কি বাংলাদেশের স্বার্থে হয়েছে? নাকি ভারতের স্বার্থে হয়েছে? এটি কি দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় আলোচনার সফর? নাকি এটি ছিল দিল্লির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জিও পলিটিক্স বা ভূরাজনীতিকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সফর? আওয়ামী লীগ পন্থী এমপি বিশিষ্ট শিল্পপতি এ কে আজাদের মালিকানাধীন বাংলা দৈনিক পত্রিকা সমকালে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার এ সফরে নিরাপত্তা নিয়ে দিল্লিকে আশ^স্ত করেছে ঢাকা। দুই দেশ একমত হয়েছে, অভ্যন্তরীণ মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সহযোগিতার।’ রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে ঢেলে সাজানো নিয়ে বাংলাদেশের ফোর্সেস গোল ২০৩০ অর্জনে সক্ষমতা বাড়ানো ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে দিল্লি আগ্রহী।’ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ইতোপূর্বে ভারত বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে অস্ত্র বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে। সেই ঋণ এখনো ব্যবহার করা হয়নি। এবার দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে ঐ ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে ভারতীয় অস্ত্র ক্রয়ের প্রসঙ্গও এসেছে।

দৈনিক সমকালে আরো বলা হয়েছে, ‘অন্য ইস্যুর পাশাপাশি গুরুত্ব পেয়েছে নিরাপত্তার বিষয়টি। ঢাকা এ ব্যাপারে দিল্লিকে আশ^স্ত করেছে। স্পষ্ট ভাষায় রিপোর্ট করা হয়েছে যে, নিরাপত্তা নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই সরকার প্রধানের বৈঠকে। দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেন, ভারতের প্রস্তাব মোতাবেক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।’

\চার\
দৈনিক সমকালের একজন সিনিয়র সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন। তিনি বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনের শ্রী রাধা দত্তের ইন্টারভিউ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, শ্রী রাধা দত্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এই সাক্ষাৎকারে শ্রী রাধা দত্ত বলেন, ‘এবারে শেখ হাসিনার সফরে প্রতিরক্ষা খাতে সংযুক্তির কথা এসেছে। দুই প্রধানমন্ত্রীর সমঝোতা স্মারকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এটি।’ তিনি বলেন, ‘উত্তর পূর্ব ভারতে বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে ভারতীয় কার্গো নিরবিচ্ছিন্নভাবে যেতে পারবে। বাংলাদেশের মংলা বন্দরে রেল সংযোগ এবং কার্গো টার্মিনাল হবে।’

যেকথা বিনয় মোহন কোয়াত্রা বলেছেন সে কথার প্রতিধ্বনি শ্রী রাধা দত্তও করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সার্ক ছিল রিজিওনাল বা আঞ্চলিক সহযোগিতার ফোরাম। কিন্তু সেটি কাজ করেনি। তাই এখন ভারত চারটি দেশকে নিয়ে সাব রিজিওনাল বা উপ আঞ্চলিক ফোরাম গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই চারটি দেশ হলো, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান। বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিট দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কলকাতার জাহাজযোগে আগরতলায় পণ্য পাঠিয়েছে। মোংলা বন্দরের কাজ শেষ হলে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতেও ভারত মালপত্র নিতে পারবে।

\পাঁচ\
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই যে, মুখে স্বীকার না করলেও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিরও সম্ভাবনার মৃত্যুঘণ্টা এই বৈঠকে বেজে উঠেছে। তাই দৈনিক সমকাল প্রথম পৃষ্ঠায় ডাবল কলামে যে এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট করেছে তার শিরোনাম হলো, ‘ভারত চায় তিস্তা ব্যবস্থাপনা/বাংলাদেশ চায় পানি বণ্টন চুক্তি।’
ভারতের এই চাওয়া তার এত বছরের অবস্থানের সম্পূর্ণ ইউটার্ন। এতদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর দোহাই দিয়ে ভারত তিস্তা চুক্তি ঝুলিয়ে রেখেছিল। ভারতের মতিগতি যারা বছরের পর বছর ধরে গভীর মনোযোগের সাথে পর্যবেক্ষণ করেন তারা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন যে, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার আশা বাংলাদেশের জন্য দূরাশা মাত্র। এই কলামের প্রথমেই বলেছি যে সেই ২০১৯ সাল থেকেই চীন তিস্তা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে। এখন ৫ বছর পর যখন তিস্তা প্রজেক্ট বাস্তবায়নে চীন হাত দিতে যাচ্ছে, ঠিক তখন ভারত এসে প্রকল্পে অর্থায়নের নাম করে প্রকল্পে বাগড়া দিলো। এর অর্থ কী? শুধুমাত্র তিস্তাই নয়, সমগ্র সফর, সমঝোতা চুক্তি এবং যৌথ বিবৃতির ওপর ডেইলি স্টার যে রিপোর্ট করেছে তার শিরোনাম হলো, Connectivity, defence, figure high in Hasina-Modi talks; focus shifts to Teesta project from water sharing. অর্থাৎ হাসিনা মোদি আলোচনায় সংযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা অগ্রাধিকার পেয়েছে। তিস্তার পানি বণ্টন থেকে দৃষ্টি সরে গেছে তিস্তা প্রজেক্টে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, তিস্তার ন্যায্য পানি বণ্টন এবার স্থায়ীভাবে হিমাগারে চলে গেল। ডেইলি স্টারের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত নিজস্ব ভাষ্যে বলা হয়েছে, Not surprisingly, the talks featured defence cooperation -- a crucial aspect in the context of South Asian geopolitics, in the form of defence production to modernise the armed forces.অর্থাৎ এটা কোনো বিস্ময়ের ব্যাপার নয় যে, আলোচনা কেন্দ্রীভ‚ত ছিল প্রতিরক্ষা সহযোগিতায়। দক্ষিণ এশিয়ার ভ‚রাজনীতিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকীকরণ ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন ছিল আলোচনার মূল বিয়ষ।

রেল সংযুক্তির বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আগামী মাস থেকে (জুলাই) পরীক্ষামূলকভাবে একটি মালবাহী ট্রেন চলাচল করবে পশ্চিমবঙ্গের গেদে-দর্শনা (বাংলাদেশ)-চিলাহাটি-হলদিবাড়ি। এছাড়া রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত এবং কলকাতা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করবে। কিন্তু এই দুটি ট্রেন কোথা থেকে শুরু করে একদিকে রাজশাহী হয়ে এবং অন্যদিকে চিটাগাং হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে সেসম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। বিনয় কোয়াত্রা বলেন, Once India is allowed rail transit through Bangladesh under the new MoU, its trains will be operated from one part of India to another via Bangladesh. অর্থাৎ এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে বাংলাদেশের মাধ্যমে একবার ভারতকে রেল ট্রানজিট দিলে এদের রেলগাড়িসমূহ ভারতের এক প্রান্ত থেকে ভারতের অপর প্রান্তে যাবে বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে।

সোমবার সকালে ইংরেজি ডেইলি নিউ এজের প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম খবরের শিরোনাম,China, India in tug of war over Teesta/Chinese minister to meet PM today. অর্থাৎ তিস্তা নিয়ে চীন ও ভারতের রশি টানাটানি/আজ (সোমবার) প্রধানমন্ত্রীর সাথে চীনের মন্ত্রী দেখা করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে সফর দুই দিনের হলেও এর ঋধষষ ড়ঁঃ বা তার ফলাফল সুদূর প্রসারী। এসম্পর্কে সঠিক জ্ঞান আহরণ করা প্রয়োজন। আজকের এই একটি কলামে স্থানাভাবে সে সম্পর্কে আর কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে বা দেশের বাইরে খুব বড় কোনো ঘটনা না ঘটলে আগামী সপ্তাহে আলোচ্য সফর নিয়ে আরো কিছু তথ্য প্রমাণাদিসহ বিস্তারিত আলোচনা করবো।

[email protected]


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা