গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮ এএম | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮ এএম
মো. দেলোয়ার হোসেন, গাজীপুর থেকে : গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানায় নুরুল ইসলাম নামে এক ঔষধ ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার ঘটনা ফাঁসি হয়ে পড়েছে। এই ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থানার ওসি নজরুল ইসলামকে স্বপদে বহাল রেখে ঘুষের অভিযোগ এনে ৩ এসআইকে ক্লোজ ও ওসি তদন্তকে বদলি করা হয়েছে।
ওষুধ ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে ধরে নিয়ে অস্ত্র ও হত্যা মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে অর্থগ্রহণের অভিযোগ ওঠে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি নজরুল ইসলাম। ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম কোনাবাড়ী হাউজিং এলাকার হোসেন আলী মুন্সীর ছেলে। কোনাবাড়ী বাজার এলাকায় তার ওষুধের দোকান রয়েছে।
একাধিকপ্রাপ্ত তথ্য ও ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামের (৪৫) অভিযোগ অনুযায়ী জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কোনাবাড়ীতে ওষুধের দোকান থেকে তাকে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ উঠিয়ে নেয়।
পরে ৫ লাখ টাকা থেকে দেন-দরবারর করে ২ লাখ টাকায় বিষয়টি সুরাহা হয় বলে অভিযোগ করেন নুরুল ইসলাম। আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে ধার দেনা করে নিয়ে ২ লাখ টাকা দেয়ার পরও তাকে ছেড়ে না দিয়ে মেট্রোপলিটন অধ্যাদেশ আইনে পরদিন ৪ জানুয়ারি সকালে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত থেকে সে জামিনে মুক্তি পান।
বিষয়টি নিয়ে নূরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ মাধ্যমে ওসি নজরুল ইসলামের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ওসি নজরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ৫ লাখ টাকা থেকে দেন-দরবার করে ২ লাখ টাকা নেয়া হয় শামীম ও আজিজের মাধ্যমে।
তবে এ ব্যাপারে ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন ওসি নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বাসন থানার যুবদলের লোকজন ওই ব্যবসায়ীকে ধরে থানায় আনে। পরে কোনাবাড়ী থানা বিএনপির লোকজন ও ছাত্র সমন্বয়কেরা বলে, সে বিএনপি করে, তাকে ছেড়ে দেন। আবার প্রথমপক্ষ বলতেছিল, তাকে ছাইড়েন না, চালান দেন। পরে আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে, তাদের পরামর্শে প্রসিকিউশন নিয়ে আদালতে পাঠাই। থানা থেকে কেন ছেড়ে দিলাম না, এ কারণে এখন তারা আমার বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছে। এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে টাকা নেয়ার বিষয় ফাস হয়ে পড়লে ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরে গত রবিবার রাতে কোনাবাড়ী থানার তিন এসআইকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে জিএমপি। প্রত্যাহার করা পুলিশ সদস্যরা হলেন কোনাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল সাহা, উপপরিদর্শক (এসআই) হানিফ মাহমুদ ও উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম। উল্লেখিত ৩ এসআইকে ক্লোজ করার আগে কোনাবাড়ি থানার ওসি তদন্ত আতিকুল ইসলামকে বদলি করা হয় টঙ্গী পূর্ব থানায়।
এ ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দু লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠার পরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ৩ এসআইকে ক্লোজ ও ওসি তদন্তকে বদলি করার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন ও সচেতন মহলে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের