প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সফর: নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সফর এলাকা
১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:১৯ এএম | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ১১:১৯ এএম

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিত ২০ নম্বর এলাকার চতুর্পাশ্ব অনেকটা পাহাড়বেষ্টিত। সেখানে একটি মাঠে তৈরি করা হয়েছে রোহিঙ্গাদের বসানোর জন্য বিরাট প্যান্ডেল। পুরো মাঠ জুড়ে ত্রিপল বিছানো হয়েছে। এই মাঠেই লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মাঠটির অন্য পাশে আরেকটি অংশে তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড। যার পার্শ্ববর্তী অন্য একটি সেন্টারে রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা, ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক ও নারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব। পুরো এলাকা নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা বলয়ে ঢাকা হয়েছে। স্তরে স্তরে তৈরি করা হয়েছে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে দেখা মেলেছে এসব দৃশ্য।
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসছেন, তাই এত প্রস্তুতি।
শুধু বর্ধিত ২০ নম্বর ক্যাম্পটি নয়, জাতিসংঘের মহাসচিব ১৮ নম্বর ক্যাম্পের লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সেবা এবং ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। তাই এসব স্থানের যাতায়াতের রাস্তাগুলো করা হয়েছে মেরামত, বসানো হয়েছে নতুন ইট। একই সঙ্গে নতুন করে সেজেছে পরিদর্শনের স্থানগুলো।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো কার্যক্রমগুলোর তত্ত্বাবধান করছেন সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন, জেলা প্রশাসন এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টার আগমন উপলক্ষে কয়েক স্তরে নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলে জানিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার (১৪ মার্চ) জাতিসংঘের মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে কার্যক্রমগুলো হবে তা তত্ত্বাবধান করছেন সেনাবাহিনী। পুলিশ কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ক্যাম্প পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখছি। কয়েক স্তরের বলয় থাকবে। মূলত এসএসএফ কক্সবাজার চলে এসেছেন, তারা সব বিষয় সমন্বয় করছেন। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কক্সবাজার শহর কেন্দ্রিক কিছু ভেন্যু রয়েছে, এসব ভেন্যুতেও কয়েক স্তরের নিরাপত্তার বলয় থাকছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আশ্রয়শিবিরে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘের মহাসচিবের সফর হবে ঐতিহাসিক। আর তাদের সঙ্গে ইফতারে লাখো রোহিঙ্গা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করবেন।
কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, উখিয়ার বর্ধিত ২০ নম্বর ক্যাম্পে জাতিসংঘের মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ইফতার করবেন। এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী হতে চলেছে। বাংলাদেশের জন্য এবং রোহিঙ্গাদের জন্যও তো বটেই। এই সুন্দর আয়োজনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যে বিশ্ব সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশও যে তাদের পাশে রয়েছে এটি প্রমাণিত হচ্ছে। এই সফরে আন্তর্জাতিক মহল রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আছে এবং তারা স্বদেশে ফিরবে এমন বার্তাবহ হবে বলে মনে করা হয়।
এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগমনকে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বসিত রোহিঙ্গারা।
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জমায়েত স্থলে রোহিঙ্গাদের মাঝে উৎসাহ, উদ্দীপনা, আগ্রহ ও আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান ড. ইউনূস সাহেব তাদেরকে দেখতে আসবেন এটাতেই তারা বেজায় খুশি। সাথে জাতিসংঘের প্রধান গুতেরেসও আসবেন, সেটাও তাদের জন্য আনন্দের, আশাবাদের। তারা অপেক্ষার প্রহর গুনছেন দুই প্রধান বিশ্ব বরেণ্য ব্যক্তিত্ব কখন তাদের মাঝে আসবেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা প্রথম সরাসরি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখতে পাবেন, কথা বলতে পারবেন, তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা, ক্যাম্পে তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা ড: মুহাম্মদ ইউনুস ও আন্তোনিও গুতেরেসকে জানাতে পারবেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

ইউক্রেন সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধানে রিয়াদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত

ট্রুডোর বিদায়, কানাডার ক্ষমতায় কার্নি

এমন ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের অপরাধ করার সাহস না পায় :তারেক রহমান

মানুষ জামায়াতকে নেতৃত্বে দেখতে চায় -মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

আ’লীগ ১৭ বছরে বিএনপিকে একটি ইফতার মাহফিলও করতে দেয়নি- ফখরুল ইসলাম

পারিবারিক বন্ধন জোরদার করুন

খাল কেটে কুমির আনার পরিণতি

জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে ঃ মিয়া গোলাম পরওয়ার

নারীর উপযুক্ত মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে

ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে

পঞ্চগড় থেকে একজন প্রধানমন্ত্রী হবেন, আশা সারজিসের

প্রশ্ন : আমার মা গত ২০১৭ সালে দীর্ঘ দিন কিডনি, ক্যান্সারসহ নানা জঠিল রোগে ভুগে আমার উপর বেশ রাগ, অভিমান নিয়ে মারা গেছেন। মা খুব অসহায় অবস্থায় মারা যান। বড় সন্তান হিসেবে তার প্রতি দায়িত্ব পালন করিনি। অনেক অবহেলা করেছি, রাগারাগি করেছি, তার চিকিৎসাও ঠিকমতো করিনি। আমি এখন খুব মর্মাহত, ক্ষমা পাওয়ার উপায় আছে কি?

কুরআনের মাস রমজান

মাহে রমজানে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অপরিসীম

তাকওয়া অর্জন ও গুনাহ থেকে পরিত্রাণের মাস রমজান

কুরআনের মাসে হোক কুরআনপ্রীতি

ফেসবুকে পড়শীর রান্নার রেসিপি

নতুন শিল্পীর সাথে গাইলেন আসিফ আকবর

বরখাস্ত কর্মীদের পুনর্বহাল করতে নির্দেশ মার্কিন আদালতের

পাকিস্তানের হানিয়া আমিরের বালিউড যাত্রা