আগাম মৌসমি ফল
০৮ মে ২০২৩, ০৮:০২ পিএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২৩, ১২:০৪ এএম

বর্তমানে দেশে ফলের মৌসুম চলছে। প্রায় শতকরা ৬০ শতাংশ ফল গ্রীষ্ম-বর্ষা ঋতুতে হয়। ফলের প্রধান মাস জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়। এ সময়ে বেশি ফল পাওয়া যায়। বিশেষ করে, আম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস, তরমুজ, পেঁয়ারা প্রভৃতি। কিন্তু এসব দেশীয় সুস্বাদু ফল পরিপক্ব হওয়ার আগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফার আশায় বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করে ফল পাকাচ্ছে, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক হুমকি। বাগানে আম পরিপক্ব না হলেও বাজারে বিভিন্ন জাতের আকর্ষণীয় পাকা আম শোভা পাচ্ছে। অপরিপক্ব আম পাকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্ষতিকারক কার্বাইড, ইথোফেন, ইথিকন ও রাইপেন জাতীয় রাসায়নিক। অপরিপক্ব আমের উপর স্প্রে করে ঢেকে দিলে ১২-১৫ ঘণ্টার মধ্যে আকর্ষণীয় কালার হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ ভোক্তার বুঝায় উপায় নেই এটি কৃত্রিমভাবে পাকানো আম। এতে করে যেমন আমের প্রকৃত স্বাদ ও পুষ্টি থেকে ভোক্তা বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনিভাবে বিভিন্ন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকছে। তেমনিভাবে লিচু বড় ও আকর্ষণীয় কালার তৈরি করতে লিচুর গুটি থাকতেই জৈব উজ্জীবক ট্রায়াকন্টানল, ম্যানকোজেব ছিটিয়ে গাছ ভিজিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ছত্রাকনাশক ল্যাম্বডা সাইহ্যালেথ্রিন প্রয়োগ করার পর ফল একটু বড় হলে নিয়মিত বিরতিতে কার্বেন্ডাজিম ও সাইফারমেথ্রিন নামের কীটনাশক ছিটানো হয়। লিচু রসাল হওয়ার কয়েক দিন আগে থেকে ম্যানকোজেব, ট্রায়াকন্টানল, বোরন ও হরমোনজাতীয় নানা ওষুধ ছিটানো হয়। এসব রাসায়নিকের সঠিক মাত্রা না জেনেই ইচ্ছামত ব্যবহার যেন আরও ভয়ংকর অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করছে। কাঠালের ব্যাপারেও ব্যতিক্রম নয়। অপরিপক্ব কাঁঠাল পাকাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্যালসিয়াম-কার্বাইড, ইথাইড, কপার সালফেট, পটাশের তরল দ্রবণ, কার্বনের ধোঁয়া, রাইপেন জাতীয় রাসায়নিক সরাসরি কাঁঠালের বোটা দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। ১৮-২০ ঘণ্টার মধ্যে অপরিপক্ব কাঁঠাল পেকে মিষ্টি গন্ধ ছাড়ায়। এসব রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফল খাওয়ার ফলে, বদহজমি, পেটেরপীড়া, পাতলা পায়খানা, জন্ডিস, গ্যাস্ট্রিক, শ্বাসকষ্ট, অ্যাঁজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়াসহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া মহিলারা এর প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিতে পারে। শিশুরা বিষাক্ত পদার্থের বিষক্রিয়ার ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই নিরাপদ ফল প্রাপ্তিতে সরকারের কঠোর ব্যববস্থা গ্রহণসহ বাজার মনিটরিং, ভোক্তা অধিকারের কার্যক্রম বাড়ানো, জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে উদ্যোগ প্রয়োজন।
শামীম আহমেদ
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ
বিভাগ : সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

মার্কিন উচ্চশিক্ষার চরম পতন

পরিশুদ্ধ-পরিবর্তিত বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে-সাহাদাত হোসেন সেলিম

গাজায় ইহুদী হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

রাজনৈতিক দল গঠন এখন ছেলেখেলা!

সাভারে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নর্থ সাউথে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

কোরআনবিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাবনা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পাকিস্তান-ভারতকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখাতে বলল জাতিসংঘ

‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

নারী কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে

তারেক রহমান ‘নিয়তির সন্তান’

অতিদারিদ্র্য বৃদ্ধির শঙ্কা

২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার ১০৭২ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার

পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ রিমান্ডে

আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সন্তোষ কুমার রিমান্ডে

চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মহিলার মৃত্যু

রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের দাবি মোটরসাইকেল চালকদের

জুলাই আন্দোলনের ৪ সংগঠকের উপর হামলা ঢাবির ৪ শিক্ষার্থী গ্রেফতার