কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে পরিবারকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে

Daily Inqilab মো. সাইফুদ্দীন খালেদ

৩০ জুন ২০২৪, ১২:১০ এএম | আপডেট: ৩০ জুন ২০২৪, ১২:১০ এএম

শিশু-কিশোররাই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের উন্নতি ও অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে দেশ ও জাতির উন্নতি। সেই শিশু-কিশোরদের যথোপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য পরিবার, সমাজ, জাতি ও রাষ্ট্র সঠিক কর্মপন্থা ও নীতি আজও নিরূপণ করতে পেরেছে কি? সামাজিক শৃংখলা আর মূল্যবোধ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দীনতা প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো রয়েছে অবাধ আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন। ফলে অধিকাংশ শিশু, কিশোর-কিশোরীর মধ্যে সুকুমার বৃত্তির চর্চা তো দূরের কথা প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষাও অনুপস্থিত। উপযুক্ত শিক্ষার অভাবে তাদের মধ্যে বখাটেপনা এবং নিত্য-নতুন অপরাধ প্রবণতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ক্রমেই। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার, অর্থনৈতিক দৈন্যদশা, বস্তির প্রসার ও অপরিকল্পিত নগরায়ন, যৌথ পরিবার প্রথার বিলুপ্তি, যথাযথ অভিভাবকত্ব না থাকা, সামাজিক অস্থিরতা ও অবক্ষয় ইত্যাদি কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা এবং বখাটেপনার সৃষ্টি করছে। ছেলেমেয়েরা উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাওয়া এবং বখে যাওয়ার পেছনে অভিভাবকরাই অনেকাংশে দায়ী। তাদের উদাসীনতা এবং আস্কারাতেই সন্তানরা বখাটে হয়ে যাচ্ছে। পত্রিকার প্রতিবেদন মোতাবেক, দেশের বিভিন্ন স্থানে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক গ্রুপিং এবং প্রেম ইত্যাদি কারণে কিশোররা হামলা, নির্যাতন, হত্যা, অপহরণ, ছিনতাই প্রভৃতি অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে তাদের ভবিষ্যৎ বিপন্ন এবং পরিবারের শান্তি-স্বস্তি বিনষ্ট হওয়া ছাড়াও সমাজে নৈরাজ্য ও নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে।

বিশেষত সাম্প্রতিককালে কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা এ দেশে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা দল বাঁধছে এবং এক দল অন্য দলের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে। খুনের মতো সহিংসতায় মেতে উঠতে তাদের বাঁধছে না। তেরো-চৌদ্দ থেকে ষোলো-সতেরো বছরের কিশোররা এসব করছে। আইনের বিধান মতে, ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত যে কেউ শিশু হিসেবে বিবেচিত হবে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই শিশু-কিশোররা নানারকম বাজে আচরণ কিংবা দুর্ব্যবহারের শিকার হয়ে থাকে। যেমন স্কুলে কোনো ছেলেকে কেউ মারধর বা র‌্যাগিং করলে শিশুর মননে ক্ষোভের জন্ম নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্কুল কর্তৃপক্ষেরই উচিত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। পরিবারেরও এ বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। উঠতি বয়সী ছেলেমেয়ে তথা কিশোর-কিশোরীদের চলাফেরা, আচার-আচরণ, চাল-চলন, কথাবার্তা, পোশাক-আশাক, শারীরিক অঙ্গভঙ্গি ইত্যাদি বিষয়ে অভিভাবকমহল সচেতন না হওয়ায় তারা পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। সন্তান কোথায় যায়, কী করে, সময়মতো ক্লাসে গেল কিনা, ক্লাস শেষে সময়মতো বাসায় ফিরল কিনা, আবার স্কুলে গেল ঠিক কিন্তু মিথ্যা কোনো কারণ দেখিয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে গেল কিনা, কাদের সঙ্গে সখ্য করছে, আড্ডা দিচ্ছে এসব খোঁজ-খবর রাখা দরকার অভিভাবকদের। নিশ্চিত অধঃপতন ঠেকাতে সন্তানদের পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব সমানভাবে দেয়া প্রয়োজন। তা হতে হবে ব্যবহারিক কাজের মধ্যে, তাদের বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে অন্তর্ভুক্ত করে নষ্ট চিন্তা থেকে দূরে রাখতে হবে। তাছাড়া পাঠ্য বইয়ের বাইরেও শিক্ষামূলক গল্প কাহিনী পড়ায় আগ্রহী করে তোলা অনেক ক্ষেত্রেই মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। নৈতিক শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীর জীবনকে কোনো আদর্শের লক্ষ্যে পরিচালিত করে তার চরিত্রের উৎকর্ষ সাধন করে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করা। সত্য বলা, কথা দিয়ে কথা রাখা, মানুষ ও পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীলতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, দেশপ্রেম, নৈতিকতাবোধ, দয়া-করুণা, সহমর্মিতা, আত্মত্যাগ, শান্তি, মানবাধিকার, পারস্পরিক অধিকার ও মর্যাদা প্রদানের মানসিকতা ও অভ্যাস গড়ে তোলা ইত্যাদি সামাজিক কল্যাণমূলক ও দেশের মানোন্নয়নমূলক মানবীয় গুণাবলি প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে দেয়া হয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা।

সমাজ থেকে ধর্মীয় মূল্যবোধ আর নৈতিক শিক্ষাকে দূরে ঠেলে দিয়ে সভ্য ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব হয় না। একটি শিশুর প্রাথমিকভাবে নৈতিক ও মানবিক শিক্ষার গুণাবলি তার পরিবারের মাধ্যমেই শুরু হয়। পরিবারের, বিশেষ করে মায়ের কাছ থেকেই সে প্রাপ্ত হয় বিশেষ নৈতিক শিক্ষা। তারপরে তাকে শিক্ষা দেয় সামাজিক পরিবেশ এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। একজন প্রকৃত শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিতভাবে সেই সব শিক্ষা দেন, যা তার মধ্যে মূল্যবোধ তৈরি করতে সহায়তা করে। আধুনিক শিক্ষার মাপকাঠিতে বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক শিক্ষার আলাদা করে ক্লাস এখন খুবই জরুরি। শিক্ষকেরা বিষয়ভিত্তিক পড়ানোর সময় নিজেদের মতো করে নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই তা গ্রহণ করা বা না করা সম্পূর্ণভাবে সেই শিক্ষার্থীর ইচ্ছের উপর নির্ভর করে।

নৈতিকতা জোর করে কাউকে গ্রহণ করাতে বাধ্য করা যায় না। যদি না সে নিজে তা গ্রহণ করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে মা-বাবার দায়িত্ব অনেক। আবার অতি আদরের নামে সন্তানের আবদার রাখতে গিয়ে এমন কিছু জিনিস তাদের দিয়ে দেয়া হয়, যার দ্বারা সে খারাপ পথে চলে যেতে পারে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় স্মার্ট ফোনের কথা। এ ছাড়া সন্তানের চুলকাটা, নখ কাটা, রুচিশীল ও ভদ্রোচিত পোশাক পরাÑ এসব বিষয়েও আদেশ, উপদেশ বা কাউন্সিলিংয়ের অভাব রয়েছে। এখনকার কিশোর-তরুণ সমাজ কিংবা বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ কমে গেছে বলে মনে হয়। প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব যে কত ভয়ানক হতে পারে তা এখন পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন ছেলেমেয়েরা আগের মতো আর মাঠে খেলা করতে যায় না, পার্কে বিনোদনের জন্য যায় না, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যায় না কিংবা বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার গরজ বোধ করে না। এখন সব যেন ফেসবুকেই! ফেসবুক, টুইটার, ব্লগ, ইউটিউবের মতো গণমাধ্যমগুলো শিশু-কিশোরদের দারুণভাবে প্রভাবিত করে। তাই ওই মাধ্যমগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকরা যথেষ্ট সচেতন না হলে শিশু-কিশোররা অপরাধে লিপ্ত হতে পারে। বিশেষ করে কুরুচিপূর্ণ যৌন আবেগে ভরপুর বিষয় কিশোর-কিশোরীদের মন-মানসিকতার ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।

দরিদ্র ও সম্পদের প্রাচুর্য উভয়ই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কিশোর অপরাধ সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দরিদ্রতার কারণে মৌলিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়ে কিশোররা বিভিন্ন প্রকারের অপরাধে লিপ্ত হয়ে থাকে। অর্থনৈতিক অবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে কিশোরদের অপরাধ প্রবণতার মাত্রাকে প্রভাবিত করে। কিশোর অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে পারিপার্শিক সামাজিক পরিবেশের প্রভাব অপরিসীম বিধায় আবাসিক পরিবেশ, সঙ্গীদের প্রভাব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতা, সামাজিক শোষণ-বঞ্চনা ইত্যাদি সামাজিক উপাদানগুলো শিশু-কিশোরদের আচরণে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। কোন শিশু একবার অপরাধের পথে চলে গেলে তাকে ফিরিয়ে আনা সহজ নয়। তাই প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা প্রতিরোধের উত্তম স্থান হলো পরিবার। জন্মের পর শিশু পারিবারিক পরিবেশে মাতা-পিতার সংস্পর্শে আসে। শিশুর সামাজিক জীবনের ভিত্তি পরিবারেই রচিত হয়। তাই তাদের আচরণ ও ব্যক্তিত্ব গঠনে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। পরিবারের কেউ অপরাধপ্রবণতার সঙ্গে যুক্ত থাকলে শিশু-কিশোররাও তাতে প্রভাবিত হয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় কিশোররা সমাজে নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ে যেন জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দলমত নির্বিশেষে রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখাতে হবে নৈতিক মানের অবক্ষয় প্রতিরোধ করার জন্য এবং পরিবার-শিক্ষক সকলকেই সচেতন থাকতে হবে। সেই সাথে শিক্ষা ব্যবস্থা এমন হবে, যে শিক্ষা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞানী, দক্ষ ও ভাল-মন্দ বুঝার মতো করে গড়ে তোলার পাশাপাশি হৃদয়বান, রুচিশীল, নান্দনিক, নৈতিক ও মানবিক বোধসম্পন্ন, ধার্মিক, দেশপ্রেমিক ও সর্বোপরি আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।

লেখক: আইনবিদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।


বিভাগ : সম্পাদকীয়


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : হাইকোর্ট

দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে : হাইকোর্ট

মাগুরায় অজ্ঞাত গলা কাটা লাশ উদ্ধার

মাগুরায় অজ্ঞাত গলা কাটা লাশ উদ্ধার

মাগুরায় অজ্ঞাত গলা কাটা লাশ উদ্ধার

মাগুরায় অজ্ঞাত গলা কাটা লাশ উদ্ধার

মাগুরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালিত

মাগুরা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালিত

রাজশাহীর চারঘাট থানা চত্ত্বরে রাসেল ভাইপার সাপ

রাজশাহীর চারঘাট থানা চত্ত্বরে রাসেল ভাইপার সাপ

রাজশাহীর চারঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত, আহত ১

রাজশাহীর চারঘাটে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত, আহত ১

বগুড়ায় আবারো ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

বগুড়ায় আবারো ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত

মধ্য আকাশে শক্তিশালী ঝাঁকুনিতে স্প্যানিশ এয়ারলাইন্স, আহত ৩০ যাত্রী

মধ্য আকাশে শক্তিশালী ঝাঁকুনিতে স্প্যানিশ এয়ারলাইন্স, আহত ৩০ যাত্রী

তুরস্কের মন্ত্রিসভায় রদবদল

তুরস্কের মন্ত্রিসভায় রদবদল

চলতি মাসে বজ্রঝড়-লঘুচাপ-নিম্নচাপ-তাপপ্রবাহ-বন্যা- সবই হতে পারে

চলতি মাসে বজ্রঝড়-লঘুচাপ-নিম্নচাপ-তাপপ্রবাহ-বন্যা- সবই হতে পারে

বাগেরহাটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

বাগেরহাটে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছে ৭০০ পর্যটক

সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছে ৭০০ পর্যটক

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ

৭২ শতাংশ ব্রিটিশ সুনাককে আর চান না : জরিপ

৭২ শতাংশ ব্রিটিশ সুনাককে আর চান না : জরিপ

ইমরান খানের গ্রেপ্তার বিধিবহির্ভূত, আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন : ওয়ার্কিং গ্রুপ

ইমরান খানের গ্রেপ্তার বিধিবহির্ভূত, আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন : ওয়ার্কিং গ্রুপ

৪ ঘণ্টা পর খাগড়াছড়ির সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা পর খাগড়াছড়ির সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক

পেকুয়ায় পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু

পেকুয়ায় পৃথক ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যু

টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ টি ইউনিটে ১৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে

টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪ টি ইউনিটে ১৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে

সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও প্রকাশ চেয়ে রিটের শুনানি আজ

সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও প্রকাশ চেয়ে রিটের শুনানি আজ

কাজে যোগ দেননি এখনো, বরখাস্ত হতে পারেন মতিউর

কাজে যোগ দেননি এখনো, বরখাস্ত হতে পারেন মতিউর